প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: গতকাল অর্থাৎ সোমবার ছিল শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের ২৬ এর বিধানসভা নির্বাচনের আগে শেষ সমাবেশ। তাইতো এদিন শহিদ তর্পণের মাঝেই দলের কর্মী, সমর্থকদের রাজনৈতিক বার্তা দিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এককথায় বলা যায় এই সমাবেশ থেকেই ভোটের ময়দানে লড়াইয়ের পুঁজি সংগ্রহ করে থাকেন তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা। তাইতো প্রতিবছর তৃণমূলের শহিদ দিবসের সমাবেশ স্থলে লক্ষ-লক্ষ মানুষের জমায়েত হয়। এবছরও তাঁর ব্যতিক্রম হয়নি।
সমাবেশের শেষে সভাস্থল পরিষ্কার!
প্রতি বছর যেমন তৃণমূল কর্মী সমর্থকদের ব্যাপক ভিড় চোখে দেখা যায়, এবারেও সেই ভিড় দেখা গিয়েছে। সমাবেশ স্থলে লক্ষ-লক্ষ মানুষের জমায়েত হওয়ার পাশাপাশি আশপাশের এলাকাতেও ছিল লোকারণ্য। তার সঙ্গে চলেছে দেদার খাওয়া-দাওয়া ৷ আর তার জেরে ধর্মতলা ও তার আশপাশের অঞ্চল ভরে গিয়েছিল বিপুল পরিমাণ আবর্জনায়। কিন্তু সেই আবর্জনার স্তূপ নিয়ে কোনো সমস্যাই পোহাতে হল না সাধারণ মানুষদের। কারণ মুহূর্তের মধ্যেই সমস্ত আবর্জনা ধুয়ে মুছে সাফ করে দিল কলকাতা পুরনিগমের জঞ্জাল সাফাই বিভাগ।
জঞ্জালমুক্ত সভাস্থল
গতকাল, ২১ জুলাইয়ের সমাবেশ শেষ হতেই কলকাতা পুলিশের তরফে সমস্ত তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের মুহূর্তের মধ্যে সভাস্থল থেকে ধীরে ধীরে লাইন করে বাইরে পাঠানো হয়। এরপর সভাস্থল ফাঁকা হয়ে গেলেই সেখানে কলকাতা পুরনিগমের জঞ্জাল সাফাই বিভাগের কর্মীরা কাজ শুরু করে দেন ৷
KMC-র কয়েকশো কর্মী রাস্তায় নেমে পড়েন৷ শিয়ালদা, হাওড়া থেকে মিছিল ও কলকাতা, বিভিন্ন জায়গায় যেখানে আগে থেকে রাত্রিবাস করেছে তৃণমূল কর্মীরা, সেইসব জায়গা আবর্জনায় ভর্তি হয়েছিল। মুহূর্তেই তা পরিষ্কার হয়ে যায়।
আরও পড়ুন: ২১-এ শহিদ দিবসে বৃষ্টি না হওয়ায় অশনি সংকেত? প্রখর রোদ্দুর নিয়ে যা জানালেন মমতা
রাস্তায় ফেলে রাখা প্লাস্টিক বোতল, কাগজের প্লেট, প্লাস্টিকের ব্যাগ, খবরের কাগজ, গ্লাস, চায়ের ছোট-ছোট কাপ, শালপাতা, ফলের খোসা-সহ আরও নানা আবর্জনা সরিয়ে নেওয়া হয় সঙ্গে সঙ্গে। রীতিমত রাস্তাঘাট ঝকঝকে অবস্থা। পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে এদিন রাস্তায় একাধিক হ্যান্ড কার্ট, ২৫ টি অটো ট্রিপার বা ব্যাটারি চালিত গাড়ির মাধ্যমে আবর্জনা সরিয়ে ফেলার কাজ শুরু হয়।
পাশাপাশি রাস্তায় নামানো হয় পাঁচটি মেকানিক্যাল সুইপার গাড়ি৷ পরবর্তী সময়ে সেই আবর্জনা বেশ কয়েকটি ডাম্পারে করে ধাপায় নিয়ে যাওয়া হয়। গোটা বিষয়টি তদারকি করেন জঞ্জাল সাফাই বিভাগের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা ৷