প্রীতি পোদ্দার, পাটনা: বিহারের অধিকাংশ বুথফেরত সমীক্ষা বা এক্সিট পোল ঘিরে বেশ চাপা উত্তেজনা ছড়িয়েছে জেলায় জেলায়। ফের আরও একবার এনডিএ-এর ক্ষমতায় প্রত্যাবর্তনের পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। আর এই ফলাফলের নিরিখে সকলের নজরে এবার এগিয়ে এল দ্বারভাঙার আলিনগর আসনটি। কারণ বিহার নির্বাচনে আলিনগর আসন থেকে এই প্রথমবার বিজেপি প্রার্থী মৈথিলী ঠাকুর (Maithili Thakur) এগিয়ে রয়েছেন। সর্বকনিষ্ঠ বিধায়ক হওয়ার দৌড়ে ইতিহাস গড়তে চলেছেন তিনি।
কে এই মৈথিলী ঠাকুর?
বিহারের মিথিলা অঞ্চলের বাসিন্দা হলেন মৈথিলী ঠাকুর। মধুবনীর বেনিপট্টিতে তাঁর বাড়ি। লোকগীতির জগতে অল্প বয়সেই বেশ জনপ্রিয়তা অর্জন করেছিলেন তিনি। বাবা লোক সংগীতশিল্পী রমেশ ঠাকুরের মতোই গানকেই কেরিয়ার হিসেবে বেছে নিয়েছিলেন তিনি। লিটল চ্যাম্প, ইন্ডিয়ান আইডল-এর মতো একাধিক গানের রিয়ালিটি শোয়ের মঞ্চে নিজের সুরেলা কণ্ঠের জাদুতে মুগ্ধ করেছেন তিনি। একাধিক অনুষ্ঠানে গাইতে দেখা গিয়েছে মৈথিলীকে। মৈথিলীরা তিন ভাই-বোন। ভোজপুরি, হিন্দি-সহ বেশ কয়েকটি ভাষায় গান করেছেন মৈথিলী। ২০২৪ সালে মা শবরীকে নিয়ে মৈথিলীর গান প্রধানমন্ত্রীকে মুগ্ধ করেছিল। মৈথিলীর ভূয়সী প্রশংসা করেন তিনি। তবে এবার রাজনীতিবিদ হিসেবে ইতিহাস গড়তে চলেছেন মৈথিলী ঠাকুর।
কমবয়সি বিধায়ক হতে চলেছেন মৈথিলী!
গণনার প্রাথমিক ট্রেন্ড অনুযায়ী এইমুহুর্তে আলিনগর আসন থেকে আরজেডি প্রার্থী বিনোদ মিশ্রের থেকে ৮,৫৪৪ ভোটে এগিয়ে রয়েছেন মাত্র ২৫ বছর বয়সী বিজেপি প্রতিদ্বন্ধী প্রার্থী মৈথিলী ঠাকুর। আশা করা যাচ্ছে যদি এই ধারা বজায় থাকে তাহলে তিনি বিধানসভা নির্বাচনে জয়ী তো হবেনই তার সঙ্গে তিনিই হবেন সবচেয়ে কমবয়সি বিধায়ক। শুধু তাই নয় তাঁর হাত ধরেই এবারই প্রথম আলিনগর আসনে পদ্ম ফুটবে। জানা গিয়েছে নির্বাচনে জয়ী হলে মৈথিলী ঠাকুর নাকি ওই অঞ্চলের মেয়েদের শিক্ষার উন্নয়ন এবং বেকার যুবকদের কর্মসংস্থানকে অগ্রাধিকার দেবে। এর আগে বিহারের সবচেয়ে কমবয়সি বিধায়ক ছিলেন ২০০৫ সালে জয়ী ২৬ বছরের নির্দল প্রার্থী তৌসিফ আলম। এরপর ২০১৫ সালে ২৬ বছর বয়সে রাঘোপুর থেকে জয়ী হয়েছিলেন তেজস্বী যাদব।
আরও পড়ুন: হারিয়েছেন রাবড়ি দেবীকে, তাঁর সামনেই পরাজয়ের মুখে তেজস্বীও! কে এই সতীশ কুমার?
প্রথমবার নির্বাচনে দাঁড়িয়ে এত ভালো ফলাফল আশা করতে পারেনি মৈথিলী ঠাকুর। তিনি এক সাক্ষাৎকারে বলেন, “এটা সত্যিই স্বপ্নের মতো। মানুষ আমার প্রতি অনেক প্রত্যাশা রেখেছে… এটা আমার প্রথম মেয়াদ হবে MLA হিসেবে, আর আমি আমার এলাকার জন্য প্রাণপণ চেষ্টা করবো। আমি আমার মানুষদের মেয়ে হয়ে তাদের জন্য কাজ করব। এখন আমার চোখে শুধু আলিনগর, আর কীভাবে ওদের জন্য সবচেয়ে বেশি কাজ করতে পারবো, সেটাই ভেবে চলেছি।”