সহেলি মিত্র, কলকাতাঃ ‘সুফল বাংলা’ (Sufal Bangla) নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য সরকার। এবার দিনের পাশাপাশি রাতেও মিলবে সুলভ মুল্যে জিনিসপত্র। হ্যাঁ একদম ঠিক শুনেছেন। এমনিতে ‘সুফল বাংলা’ ব্র্যান্ড খুচরা শৃঙ্খলের মাধ্যমে গ্রাহকদের কাছে যুক্তিসঙ্গত মূল্যে ভালো মানের তরতাজা কৃষিপণ্য এবং মাছ সরবরাহ করার জন্য, রাজ্য সরকার ৩৫০টি অতিরিক্ত আউটলেট খোলার প্রস্তাব করেছিল। যদিও যত সময় এগিয়েছে ততই আরও বেশি বেশি আউটলেট শুরু হয়েছে বাংলার বিভিন্ন দিকে দিকে। সাধারণ মানুষের মধ্যে এই সুফল বাংলা স্টলের জনপ্রিয়তা তুঙ্গে রয়েছে। প্রত্যেকে চাইছেন তাঁদের এলাকায় যেন এই জিনিস থাকে। এহেন পরিস্থিতিতে এবার রাজ্য সরকার বড় সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
এবার রাতেও খোলা থাকবে ‘সুফল বাংলা’ স্টল
এতদিন দিনের বেলায় সুফল বাংলার স্টল দেখা মিলত। কিন্তু এবার রাতেও এই স্টলগুলি খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। বৃহস্পতিবার নবান্নে টাস্ক ফোর্সের বৈঠক হয়েছিল। সেই বৈঠক শেষে রাজ্যের কৃষি বিপণণমন্ত্রী বেচারাম মান্না জানান যে দিনের পাশাপাশি এবার সন্ধেবেলাতেও স্টলগুলি খোলা থাকবে। অর্থাৎ এবার রাতেও কম দামে মিলবে জিনিসপত্র। পাশাপাশি সুফল বাংলার ভ্রাম্যমাণ গাড়ি এবং স্টলের সংখ্যাও আরও ৫০টি বাড়বে বলে জানিয়েছেন বেচারাম মান্না। আপাতত কলকাতাতেই এই সময়টা বাড়ানো হয়েছে।
বাড়বে স্টলের সংখ্যা
অনেক মানুষ আছেন যারা সকালে সময় পান না, ফলে সন্ধেবেলায় বাজার করতে পছন্দ করেন। এবার সেইসকল মানুষের কথা ভেবে সরকার বড় সিদ্ধান্ত নিয়েছে। মন্ত্রী সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বলেন, ‘শুধু সকালে নয়, এখন প্রচুর মানুষ সন্ধ্যাবেলাতেও বাজার করেন। তাঁদের কথা ভেবেই সন্ধ্যাতেও কলকাতার একাধিক বাজারের বাইরে সুফল বাংলার স্টল বসানো হবে। থাকবে ভ্রাম্যমাণ গাড়িও। একইসঙ্গে ৫০টা স্টল বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। বর্তমানে ৭৫০টি মতো স্টল রয়েছে। এবার তা বাড়িয়ে ৮০০ করা হবে।’ এদিকে স্টলের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ার ফলে সাধারণ মানুষের সুবিধাও হবে বলে আশাবাদী সরকার।
শীত পড়তে না পড়তেই হু হু করে জিনিসপত্রের দাম বাড়তে শুরু করেছে। মাছ, মাংস, ডিম, আনাজপাতির দাম আকাশছোঁয়া। আর সেসব কিনতে গিয়ে রীতিমতো নাভিশ্বাস উঠে যাচ্ছে সাধারণ আমজনতার। এহেন পরিস্থিতিতে কীভাবে সাধারণ মানুষকে স্বস্তি দিয়ে জিনিসের দাম কমানো যায় সেই বিষয়ে বৃহস্পতিবার রাজ্যের মুখ্যসচিব মনোজ পন্থের নেতৃত্বে বৈঠক হয়। সেখানে ছিলেন টাস্কফোর্সের সদস্যরাও। সেখানেই এই সুফল বাংলার স্টলের সংখ্যা বৃদ্ধি এবং সন্ধেবেলাতেও স্টল খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে খবর। যদিও এই বৈঠকে আর কী কী সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে সে বিষয়ে কিছু জানা সম্ভব হয়নি।