সহেলি মিত্র, কলকাতাঃ নভেম্বর মাসে এ যেন এক আলাদাই অশনি সংকেত! আশঙ্কা সত্যি করে দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরের ওপর একটি নিম্নচাপ সৃষ্টি হল বলে জানাল আইএমডি। এই নিম্নচাপটি পরবর্তীতে শক্তি বাড়িয়ে ঘূর্ণিঝড়ের রূপ নেবে। বর্তমান পরিস্থিতি অনুযায়ী এখনও পর্যন্ত ঘূর্ণিঝড়টির দিক নির্দেশ করা সম্ভব নয়। তবে এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব রাজ্যে পড়ার সম্ভাবনা অনেকটাই রয়েছে বলে খবর। আজ রবিবার ছুটির দিন কেমন থাকবে আবহাওয়া (Weather Today)? বাংলায় বৃষ্টির পূর্বাভাস জারি করেছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। আরও বিশদে জানতে চোখ রাখুন আজকের এই প্রতিবেদনটির ওপর।
দক্ষিণবঙ্গের আবহাওয়া
আইএমডি জানিয়েছে, বঙ্গোপসাগরের উপর একটি নিম্নচাপ অঞ্চল তৈরি হয়েছে এবং ২৪ নভেম্বরের দিকে এটি তীব্রতর হয়ে নিম্নচাপে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। যদিও আজ থেকে আগামী দু’দিন দক্ষিণবঙ্গের কলকাতা শহরে শীতের আমেজ বিরাজ করবে। তাপমাত্রা থাকবে প্রায় ১৮ থেকে ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি। অপরদিকে পশ্চিমের কিছু জেলা যেমন বাঁকুড়া, পুরুলিয়া জেলায় শীতের আমেজ থাকবে। ঠান্ডা থাকবে পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম ও মুর্শিদাবাদ জেলাতেও। তাপমাত্রা থাকতে পারে ১৪ থেকে ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি ।
উত্তরবঙ্গের আবহাওয়া
এবার আসা যাক উত্তরবঙ্গের আবহাওয়া প্রসঙ্গে। উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে ঠান্ডার ভালো মতো আমেজ রয়েছে। এদিকে আজ রবিবার ছুটির দিন বৃষ্টি হতে পারে উত্তরের জেলাগুলিতে। দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি , কালিম্পং জেলায় হালকা বৃষ্টি হতে পারে। ঘন কুয়াশার দাপটে দৃশ্যমানতা কমে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে।
ফের তৈরি নিম্নচাপ
“একটি ঘূর্ণাবর্ত সঞ্চালনের প্রভাবে, দক্ষিণ আন্দামান সাগরের উপর মালাক্কা প্রণালীর কাছে একটি নিম্নচাপ অঞ্চল তৈরি হয়েছে। এটি পশ্চিম-উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে ২৪ নভেম্বর দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর এবং সংলগ্ন দক্ষিণ আন্দামান সাগরের উপর একটি নিম্নচাপে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে,” আইএমডি একটি বিশেষ বুলেটিনে জানিয়েছে। যদিও আইএমডি বিজ্ঞানীরা নিশ্চিত নন যে নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে কিনা, তারা বলেছেন যে আবহাওয়া সংস্থা কোনও সিস্টেম গঠনের অনেক আগেই মানুষকে আপডেট করবে।
মৎস্যজীবীদের জন্য বিশেষ সতর্কতা
এদিকে নিম্নচাপের কথা মাথায় রেখে মৎস্যজীবীদের উদ্দেশ্যে বিশেষ সতর্কতা জারি করেছে হাওয়া অফিস। সমুদ্র উত্তাল থাকবে, বইবে ঝোড়ো হাওয়া। আগামি ২৪ নভেম্বর থেকে নিম্নচাপের প্রভাবে মৎস্যজীবীদের দক্ষিণ-পূর্ব, পূর্ব মধ্য, দক্ষিণ মধ্য, বঙ্গোপসাগর ও আন্দামান সাগরের দিকে না যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।