সহেলি মিত্র, কলকাতা: শহর হোক কিংবা জেলা, সর্বত্রই অনুভূত হচ্ছে শীতের ভালো রকম আমেজ। সন্ধ্যেবেলা হোক কিংবা ভোরবেলা, ঘন কুয়াশার আড়ালে ঢেকেছে অধিকাংশ জায়গা। তবে এতকিছুর পরেও বাংলার পিছন ছাড়তে চাইছে না বৃষ্টি এবং একের পর এক নিম্নচাপ। আজ বুধবার যেমন দক্ষিণবঙ্গে বেশ কিছু জেলায় বৃষ্টির জারি করল আলিপুর আবহাওয়া দফতর (Weather Today)। শীতের হালকা এই আমেজের মধ্যে যদি একবার বৃষ্টির ফোঁটা গায়ে লাগে তাহলে তো আর রক্ষে নেই।
আলিপুর আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, উত্তর পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় ঘনীভূত হচ্ছে গভীর নিম্নচাপ। নিম্নচাপটি পরবর্তী পর্যায়ে আরো শক্তিশালী হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। নিম্নচাপের প্রভাবে ৫ ও ৬ নভেম্বর দক্ষিণবঙ্গের উপকূলীয় এলাকায় মেঘাচ্ছন্ন আকাশ তো থাকবেই, এর বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। উপকূলীয় এলাকায় দমকা হাওয়ার দাপট দেখা যেতে পারে।
দক্ষিণবঙ্গের আবহাওয়া
প্রথমেই আসা যাক দক্ষিণবঙ্গের আবহাওয়া প্রসঙ্গে। আলিপুর আবহাওয়া অফিসের তরফে জারি করা বুলেটিন অনুযায়ী, বুধবার বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টি হতে পারে কলকাতা, হাওড়া, উত্তর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগণা জেলায়। হ্যাঁ একদম ঠিক শুনেছেন।
উত্তরবঙ্গের আবহাওয়া
দক্ষিণবঙ্গের কিছু জেলায় বৃষ্টি হলেও উত্তরবঙ্গের কোথাও তেমন বৃষ্টি বা দুর্যোগের সম্ভাবনা নেই। বরং সেখানে ঠাণ্ডা বাড়বে বলে খবর। হাওয়া অফিস সূত্রে জানা গিয়েছে, উত্তরবঙ্গের দার্জিলিং এবং কালিম্পং সহ জেলাগুলিতে ভোরে এবং সন্ধ্যায় কুয়াশা দেখা যেতে পারে। আগামী দুই দিনে উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে তাপমাত্রা ২ থেকে ৩ ডিগ্রি কমে যাবে।
বৃহস্পতিবার থেকে সে দক্ষিণবঙ্গ হোক বা উত্তরবঙ্গ, কোথাও বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। বরং তাপমাত্রা কমবে হু হু করে। এক কথায় মনোরম পরিবেশ থাকবে সর্বত্র। দাপট থাকবে কুয়াশার।
বইবে ৫৫ কিমি বেগে হাওয়া
আইএমডি ৪ থেকে ৫ নভেম্বরের মধ্যে উত্তর আন্দামান সাগরে ঝোড়ো আবহাওয়ার সতর্কতা জারি করেছে। হাওয়ার গতিবেগ ঘণ্টায় ৩৫ থেকে ৪৫ কিলোমিটার এবং সর্বোচ্চ বেগ ঘণ্টায় ৫৫ কিলোমিটার পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে। এই সময়কালে সমুদ্রের পরিস্থিতি উত্তাল থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে। ফলে আপাতত মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে না যাওয়ার পরামর্শ দিয়ে একটি কঠোর সতর্কতা জারি করা হয়েছে হাওয়া অফিসের তরফে।