সিঙাড়া-জিলিপি নিয়ে কেন্দ্রের সতর্কীকরণ! ‘রাজ্যে কার্যকর হবে না’, জানিয়ে দিলেন মমতা

প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: এবার সিঙাড়া-জিলিপি নিয়ে ‘সতর্কীকরণ’ করল কেন্দ্রীয় সরকার! দেশবাসীর স্বাস্থ্যের কথা মাথায় রেখে সিঙাড়া, জিলিপির মতো খাবারগুলি নিয়ে সম্প্রতি একটি নির্দেশিকা জারি করেছে কেন্দ্রের স্বাস্থ্য মন্ত্রক। যেখানে স্পষ্ট বলা হয়েছে, এই ধরনের খাবারে কত পরিমাণ চর্বি (ফ্যাট), শর্করা (সুগার) থাকে, তাতে কী ক্ষতি হতে পারে।

খাবার নিয়ে সতর্কতা কেন্দ্রের!

সম্প্রতি স্বাস্থ্যমন্ত্রক সমস্ত কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জন্য একটি নতুন নির্দেশিকা জারি করেছে। যেই নির্দেশিকায় জিলিপি-সিঙাড়ার মতো খাবার খাওয়ার বিষয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির ছাত্রছাত্রী-শিক্ষকশিক্ষিকা এবং অভিভাবকদের সতর্ক করতে বলা হয়েছে। এবং স্পষ্ট নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, এই ধরনের অস্বাস্থ্যকর খাবারে ঠিক কত পরিমাণ ক্যালোরি আছে, কতটা চিনি ব্যবহার করা হয়েছে কিংবা কী পরিমাণ ট্রান্স-ফ্যাট রয়েছে-তা জানাতে হবে সংস্থাকে।

ক্ষোভ প্রকাশ তৃণমূলের

শুধু তাই নয়, স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তরফে এও জানানো হয়েছে যে ক্যান্টিনগুলোতে বিভিন্ন ক্যাফেটেরিয়া, জনবহুল জায়গায় সিঙাড়া, জিলিপির মতো খাবারে ‘শারীরিক ঝুঁকি’র বিষয়ে বিজ্ঞাপন দিয়ে সতর্ক করতে হবে মানুষকে। যদিও কোনও ভাবেই এই খাবারগুলি নিষিদ্ধ করার কথা বলা হয়নি নির্দেশিকায়। এমনকি এই ধরনের খাবার বিক্রির উপরেও কোনওরকম নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়নি। তবে এনিয়ে এবার ক্ষোভ প্রকাশ করল শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। এই নির্দেশিকাকে ‘খাদ্যাভাসে হস্তক্ষেপ’ বলে মনে করছে তৃণমূল।

আরও পড়ুন: সূচিতে হালকা বদল, দুর্গাপুরে ৩ কিমি রোড শো করবেন প্রধানমন্ত্রী মোদী, শুরু প্রস্তুতি

কী বলছেন কুণাল ঘোষ?

কেন্দ্রের এই নির্দেশিকাকে কেন্দ্র করে সরব হলেন তৃণমূলের অন্যতম রাজ্য সাধারণ সম্পাদক তথা মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। তিনি টুইটারে লেখেন, “সিঙাড়া, জিলিপি নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের ফতোয়া মানবে না রাজ্য সরকার। @MamataOfficial র রাজ্য মনে করে কে কী খাবেন, স্বাধীনতা তাঁর। খাদ্যের গুণমান ঠিক থাকলে খাদ্যবস্তুর উপর কোনো বিধিনিষেধ বা হস্তক্ষেপ উচিত নয়। বাংলায় এসব হবে না।”

ওদিকে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও এই নিয়ে টুইটারে আপত্তি জানিয়েছেন। তিনি লিখেছেন, ‘কিছু সংবাদমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়েছে যে, স্বাস্থ্য মন্ত্রকের নির্দেশে এখন থেকে নাকি সিঙ্গাড়া/জিলিপি খাওয়া যাবে না। এটা পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কোনো বিজ্ঞপ্তি নয়। আমরা সব বিষয়ে হস্তক্ষেপ করি না। আমরা এই বিজ্ঞপ্তি কার্যকরও করব না। আমার মনে হয়, সিঙ্গাড়া এবং জিলিপি অন্যান্য রাজ্যেও জনপ্রিয়। সেইসব রাজ্যের মানুষরাও এই খাবারগুলি ভালোবাসেন। মানুষের খাদ্যাভ্যাসে হস্তক্ষেপ করা সঠিক কাজ নয়।’

Leave a Comment