সিন্ধু জলচুক্তি অতীত, কাঙাল পাকিস্তানকে আরও বিপাকে ফেলল ভারত

সৌভিক মুখার্জী, কলকাতা: পাকিস্তানকে হামাগুড়ি খাইয়ে বিরাট সিদ্ধান্ত ভারতের! বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বহু পুরনো ইন্দাস জলশক্তি (Indus Water Treaty)। শুধু তাই নয়, এবার ভারত বিশ্বব্যাঙ্ককে অনুরোধ করেছে, যাতে জন্মু ও কাশ্মীরের কিশানগঙ্গা ও রাটলে জলবিদ্যুৎ প্রকল্প সংক্রান্ত বিবাদে তাদের মধ্যে মধ্যস্থতাও বন্ধ করে দেওয়া হয়।

পাকিস্তানকে হুঁশিয়ারি ভারতের

সম্প্রতি পাকিস্তানের প্রাক্তন বিদেশ মন্ত্রী বিলাওয়াল ভুট্টো জাতীয় সংসদে দাঁড়িয়ে বলেছেন, আমরা যুদ্ধ চাই না। তবে ভারত জলকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে। যদি তাইই করে, তাহলে পাকিস্তানও যোগ্য জবাব দিতে প্রস্তুত। তবে ভারতের স্পষ্ট বক্তব্য, জলচুক্তিতে আর আমরা ফিরব না। অমিত শাহ আগে জানিয়ে দিয়েছিলেন, দেশের নিরাপত্তা এবং সার্বভৌমত্বের ক্ষেত্রে কোনোরকম টালবাহানা চলবে না।

বলে রাখি, 1960 সালে ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে এই ঐতিহাসিক সিন্ধু জলচুক্তি স্বাক্ষরিত হয়, যা ইন্দাস জলচুক্তি নামেও পরিচিত। আর এই চুক্তির আওতায় ভারতকে ইন্দাস নদী ব্যবস্থার পূর্বাঞ্চলের তিনটি নদী বিয়াস, রবি ও সাতলুজ ব্যবহার করতে দেওয়া হয়। ওপরদিকে পশ্চিম দিকের তিন নদীর সিন্ধু, ঝেলম ও চেনাব পাকিস্তানের জন্য উন্মুক্ত ছিল। এমনকি এই চুক্তির মধ্যস্থতায় ছিল বিশ্ব ব্যাঙ্ক।

তবে এই মুহূর্তে জম্মু-কাশ্মীরে চেনাব নদীর ওপর চারটি বড় বড় জলবিদ্যুৎ প্রকল্প নিয়ে ভারত দ্রুত কাজ করছে। আর সেগুলি হল- পাকাল ডুল, যার ক্ষমতা হবে 1000 মেগাওয়াট; রাটলে, যার ক্ষমতা হবে 450 মেগাওয়াট; কিরু, যার ক্ষমতা হবে 624 মেগাওয়াট এবং কোয়ার, যার ক্ষমতা হবে 540 মেগাওয়াট।

শুধু তাই নয়, এর পাশাপাশি বাগলিহার ও সলাল বাঁধে প্রথমবার ফ্লাশিং অপারেশনে চালানো হয়েছে। আর এতে করে বাঁধের নীচে জমে থাকা পলি সরিয়ে দ্রুত বিদ্যুৎ উৎপাদন করা যাবে বলে মনে করছে বেশ কিছু বিশেষজ্ঞ।

আরও পড়ুনঃ যেকোনও সময়ে বাঁধতে পারে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ! নিরাপদ আশ্রয়ের ঠিকানা এই দেশগুলিই

বিশ্ব ব্যাঙ্কের মধ্যস্থতায় ইতি টানতে চলেছে ভারত

জানিয়ে রাখি, বিশ্ব ব্যাঙ্কে নিযুক্ত ফরাসি ইঞ্জিনিয়ার মিশেল লিনো কিশানগঙ্গা এবং রাটলে প্রকল্পগুলির দায়িত্বে ছিলেন। এমনকি সম্প্রতি তিনি পাকিস্তানের মতামত জানতে চাইলে ভারত আপত্তিও জানায় এবং পুরো প্রক্রিয়া বাতিল করার আবেদন জানায়। ভারতের বক্তব্য, যতদিন না পাকিস্তান সীমান্তে সন্ত্রাস বন্ধ হবে, ততদিন এই জলচুক্তি স্থগিত থাকবে।

Leave a Comment