স্ত্রীর হৃদপিণ্ড হাতে নিয়ে এলাকা ঘুরলেন স্বামী! হাড়হিম করা ঘটনা জলপাইগুড়িতে

jalpaiguri

সহেলি মিত্র, কলকাতা; এক রোমহর্ষক ঘটনা ঘটে গেল বাংলায়। স্ত্রীর দেহ থেকে হৃদপিণ্ড কেটে তা হাতে নিয়ে ঘুরে বেড়ালেন স্বামী! শুনে চমকে গেলেন তো? কিন্তু এটাই দিনের আলোর মতো সত্যি। ঘটনাটি ঘটেছে জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri) জেলার ময়নাগুড়ি ব্লকের ব্যাংকান্দি এলাকায়।

স্ত্রীর হৃদপিন্ড হাতে নিয়ে ঘুরলেন স্বামী!

শুক্রবার সকালটা একটু অন্যভাবে শুরু হয় ব্যাংকান্দি এলাকার মানুষজনের। ঘুম থেকে উঠেই যে তাঁরা এরকম ভয়ানক দৃশ্য দেখবেন সেটা হয়তো কেউ ভাবতেও পারেননি। এই এলাকার বাসিন্দা রমেশ রায় স্ত্রী দীপালি রায় (৪৫)-এর হৃদপিণ্ড সঙ্গে আরও অঙ্গ প্রত্যঙ্গ নিয়ে এলাকায় ঘুরে বেড়াচ্ছিলেন। আবার স্থানীয় মানুষদের সেটা ডেকে ডেকে সেটা দেখাচ্ছিলেনও বলে অভিযোগ সকলের। এহেন হাড়হিম করা ঘটনাকে ঘিরে স্বাভাবিকভাবেই চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে সর্বত্র।

শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, রমেশ রায় বর্তমানে পলাতক। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রমেশ তার স্ত্রী দীপালিকে (৪৫) তাদের বাড়িতে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ রয়েছে। এক পুলিশ কর্তা জানান, “তারপর সে তার দেহ কেটে টুকরো টুকরো করে একটি ব্যাগে ভরে ফেলে। প্রত্যক্ষদর্শীরা দাবি করেছেন যে সে এলাকার ঘরে ঘরে গিয়ে হতবাক প্রতিবেশীদের কাছে তার স্ত্রীর অঙ্গপ্রত্যঙ্গ দেখিয়েছে।”

তদন্ত শুরু পুলিশের

স্থানীয় বাসিন্দা বাবলু রায় বর্ণনা করেন, “আজ সকালে রমেশ একটি ব্যাগ নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছিল। সে একটি বাড়িতে গিয়ে ব্যাগের ভেতর থেকে তার স্ত্রীর হৃদয় দেখাল। তারপর স্থানীয় একজন ব্যক্তি আমাকে খবর দিল। আমি তার বাড়িতে গিয়েছিলাম তার স্ত্রী ঠিক আছে কিনা দেখতে। তখনই বিছানায় রক্ত দেখতে পেলাম। তারপর আমি পুলিশকে খবর দেওয়ার জন্য প্রধানকে খবর দিলাম। রমেশই তার স্ত্রীকে হত্যা করেছে।”

খবর পেয়ে ময়নাগুড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান নীলিমা রায় তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশের সাথে যোগাযোগ করেন। তিনি বলেন, “স্থানীয়রা আমাকে জানায় যে আমার পাড়ার এক ব্যক্তি একটি ব্যাগের ভেতরে দেহের অংশ নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে। তারা প্রতিবেশীদের বাড়িতে গিয়ে তাদের দেখিয়েছে। বিষয়টি জানার পর আমি পুলিশকে খবর দেই। মৃতদেহটি উদ্ধার করা হয়েছে। খুনি পলাতক রয়েছে।” ময়নাগুড়ি থানার ইন্সপেক্টর-ইন-চার্জ সুবল চন্দ্র ঘোষের নেতৃত্বে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে দম্পতির বাড়ি থেকে দীপালীর দেহের অংশগুলি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জলপাইগুড়ি সরকারি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠানো হয়।

Leave a Comment