প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: এবার স্বপ্নের বাড়ি নির্মাণ হবে আরও সহজ! মাত্র ৫০০ স্কোয়ার ফুট জায়গাতেও বাড়ি তৈরির ছাড় দেওয়া হবে সকলকে, এমনই জনদরদী সিদ্ধান্ত নিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। গতকাল মন্ত্রিসভার বৈঠকে বাড়ি তৈরির নিয়মে একাধিক বদল আনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আর সেই নিয়েই এবার সরাসরি সাংবাদিকদের সামনে মুখ খুললেন রাজ্যের পুরমন্ত্রী তথা মেয়র ফিরহাদ হাকিম।
বাড়ি তৈরির নিয়মে একাধিক বদল
কলোনি, ঠিকা টেনান্সি বা বস্তি এলাকায় এক কাঠা বা তারও কম জমিতে বাড়ি তৈরির স্বপ্ন এতদিন অধরাই ছিল। কারণ, পুর আইনে স্পষ্ট বলা হয়েছে যে, বাড়ির চারপাশে অন্তত চার ফুট করে খোলা জায়গা রাখতে হবে। এদিকে এক কাঠা জমি মানে ৭২০ বর্গফুট এলাকা। যার ফলে অনেকে অসুবিধায় পড়ছিলেন।এবার সেই সমস্যা নির্মূল করতে নির্বাচনের আগেই সাধারণের জন্য এক অসাধারণ সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য সরকার। গতকাল অর্থাৎ সোমবার নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে মন্ত্রিসভার এক বৈঠকের আয়োজন হয়েছিল। আর সেখানেই বাড়ি তৈরির নিয়মে একাধিক বদল আনার কথা হয়। তাতে অনেকটাই স্বস্তি বোধ করছে সাধারণেরা।
রাখা হবে না কোনো ‘মিনিমাম’
সংবাদ প্রতিদিনের রিপোর্ট অনুযায়ী, গতকাল অর্থাৎ সোমবার, নবান্নে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন মেয়র ফিরহাদ হাকিম এবং অরূপ বিশ্বাস। সেখানে ফিরহাদ হাকিম বলেন, বাড়ি তৈরির ক্ষেত্রে এখন থেকে জমি অনুযায়ী ৫০০ স্কোয়ার ফুট জায়গাতেও বাড়ি তৈরির ছাড় দেওয়া হতে চলেছে। রাখা হবে না কোনো ‘মিনিমাম’। সমস্ত যোগ্যতা মেনেই দেওয়া হবে এই ছাড়। তবে দমকলের নিয়ম অনুযায়ী বড় জমির ক্ষেত্রে যা ছাড় আছে, তা মানা হবে। কিন্তু ছোট জমির ক্ষেত্রে থাকছে না। এছাড়াও আবেদনের ক্ষেত্রে বারবার পুরসভার দ্বারস্থ হওয়ার কোনো প্রয়োজন নেই, কারণ এখন থেকে এই সকল কাজ সবটাই হবে অনলাইনে।
আরও পড়ুন: বিপদসীমা ছাড়াল ফরাক্কার জলস্তর, ভাসবে বাংলাদেশ? জারি সতর্কতা
গতকাল মেয়র ফিরহাদ হাকিম বাড়ি তৈরির প্রসঙ্গে আরও বলেছেন যে, গ্রাহকরা এখন থেকে বাড়ি তৈরির জন্য অনলাইনে আবেদন করার পর ভিতের কাজ শুরু করতে পারবেন। আর আবেদনের পরেই পুরসভার তরফে যাবতীয় সমীক্ষার কাজ শুরু করা হবে। আর এই পুরো প্রক্রিয়াটাই করা হবে মাত্র ১৫ দিনের মধ্যে। অর্থাৎ এককথায় বাড়ি তৈরির ক্ষেত্রে মানুষ আর কোনো সমস্যার মধ্যে পড়বেন না বলেই আশা করা হচ্ছে। এছাড়াও শহরের নিম্নবিত্ত মানুষের ঘর তৈরির স্বপ্ন বাস্তবে রূপ দিতে পুরসভার এই পদক্ষেপ আগামী দিনে রাজ্যের অন্যান্য পুরসভাতেও কার্যকর করার ভাবনা করা হচ্ছে।