স্বামী বাংলাদেশি, স্ত্রী মায়ানমার বাসিন্দা! পরিচয় লুকিয়ে কাকদ্বীপে অনুপ্রবেশকারীর বসবাস

Kakdwip

প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: সামনেই ২৬ এর বিধানসভা নির্বাচন, তাই তালিকা থেকে ভুয়ো ভোটার তাড়াতে ময়দানে নেমেছে নির্বাচন কমিশন। এদিকে রাজ্যে ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সংশোধন বা SIR প্রক্রিয়া শুরুর পর থেকেই তৃণমূল এবং বিজেপির মধ্যে কাদা ছোঁড়াছুঁড়ি লেগেই রয়েছে। এমনকি SIR প্রক্রিয়া নিয়ে নির্বাচন কমিশনকেও কাঠগড়ায় তুলেছে তৃণমূল। যদিও বিজেপি চুপ থাকেনি, দিয়েছে পাল্টা জবাবও। এবার খবরের শিরোনামে উঠে এল অভিনব ঘটনা। বাংলাদেশী অনুপ্রবেশকারীর হইচইয়ের মধ্যেই কাকদ্বীপে (Kakdwip) এমন এক দম্পতির হদিশ পাওয়া গেল, যেখানে স্বামী বাংলাদেশি আর স্ত্রী মায়ানমারের।

মায়ানমারের ভোটার কাকদ্বীপে!

স্থানীয় রিপোর্ট মোতাবেক, কাকদ্বীপের গণেশপুরের গৃহবধূ কৃষ্ণা দাসের বিরুদ্ধে উঠে এল অনুপ্রবেশের অভিযোগ। জানা গিয়েছে বর্তমানে তিনি পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা। সেখানে সকল প্রসূতি মায়েদের স্বাস্থ্য সুরক্ষিত রাখতে স্থানীয় উপ স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে স্বাস্থ্য কার্ডের ব্যবস্থা করা হয়েছে। কিন্তু কৃষ্ণাদেবীর ওই কার্ড ছিল না। আর সেক্ষেত্রে সাব সেন্টারে নথিপত্র যাচাই করতে গিয়েই উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য। জানা যায়, তিনি দু’মাস আগে নাকি স্বামীর সঙ্গে মায়ানমার থেকে কাকদ্বীপে এসেছেন। তাঁর আসল নাম আই থান্দার। এখন তিনি কৃষ্ণা দাস হয়েছেন। এমনকি কৃষ্ণা দেবীর কাছে মায়ানমারের ভোটার কার্ডও রয়েছে।

ভুয়ো পরিচয়পত্র বানিয়ে দুই মাস ধরে বসবাস

অভিযোগ উঠছে কৃষ্ণা দাসের স্বামী রাম দাস বাংলাদেশে থাকতেন। কিন্তু তাঁর বাবা রাজু দাস ও মা সুমতি দাস প্রায় ১৫ বছর আগে সীমান্ত পেরিয়ে কাকদ্বীপে চলে আসেন। এরপর মায়ানমার থেকে অনুপ্রবেশ করে মিজোরাম হয়ে কৃষ্ণা দেবী ভুয়ো পরিচয়পত্র বানিয়ে দুই মাস ধরে গণেশপুরে বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকছেন তিনি। স্থানীয়দের কথায়, বেশ কিছুদিন যাবৎ কাকদ্বীপের বিভিন্ন এলাকায় তৈরি হয়েছে ছোট ছোট বেশ কিছু কলোনি। কোনও পরিচয়পত্র ছাড়াই সেখানে নাকি ঘর ভাড়া পাওয়া যায়। আর এই সুযোগ কাজে লাগিয়েই ওই মহিলা এখানে থাকছিলেন।

আরও পড়ুন: ওয়েবসাইটে বাবার নাম ভুল! মালদায় হৃদরোগে মৃত্যু এক তৃণমূল কর্মী বরকত শেখের

কাকদ্বীপে অনুপ্রবেশের এই ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন রামের মা সুমতি দাস এবং কৃষ্ণাদেবী। প্রশ্ন উঠছে নিরাপত্তা নিয়ে। সকলের প্রশ্ন সীমান্তে কড়া নজরদারি থাকা সত্ত্বেও কী ভাবে ওই মহিলা কাকদ্বীপে এসে পৌঁছোলেন। এই ব্যাপারে কাকদ্বীপের মহকুমা শাসক প্রীতম সাহার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘বিষয়টি শুনেছি। আইনত ব্যবস্থা নেওয়া হবে শীঘ্রই।’

Leave a Comment