বিক্রম ব্যানার্জী, কলকাতা: হঠাৎ জম্মু ও কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণ রেখা বা LOC তে সেনা সমাবেশ বাড়াচ্ছে পাকিস্তান (India Pakistan Tension)। মোতায়েন করা হচ্ছে একের পর এক ড্রোন বিধ্বংসী ইউনিট। গোয়েন্দা সূত্রে খবর, ভারত সীমান্তে নিয়ন্ত্রণ রেখার গা ঘেঁষেই রাওয়ালকোট, ভিম্বর সেক্টরগুলিতে কাউন্টার আনম্যানড এরিয়াল সিস্টেমের নতুন ইউনিট মোতায়েন করা হয়েছে। কিন্তু ঠিক কোন উদ্দেশ্যে ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে প্রস্তুতি সারছে আসিম মুনিরের পাকবাহিনী?
কোন উদ্দেশ্যে নিয়ে সীমান্তে লম্ফঝম্প পাকিস্তানের?
আচমকা জম্মু ও কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণ রেখায় পাক ফৌজের সক্রিয় হয়ে ওঠা এক গভীর বার্তা দিচ্ছে বলেই মনে করছেন অনেকে। যদিও এ প্রসঙ্গে, পর্যবেক্ষকদের একটা বড় অংশের দাবি, অপারেশন সিঁদুরে ধাক্কা খাওয়ার পর সেই শিক্ষা মাথায় রেখেই প্রতিরক্ষা আরও জোরদার করতে চাইছে পাকিস্তান। মূলত সে কারণেই প্রতিরক্ষামূলক অবস্থান নিতে ইতিমধ্যেই নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর কম করে 30টি বা তারও বেশি অ্যান্টি ড্রোন ইউনিট মোতায়েন করা হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ অপারেশন সিঁদুরের সময় ভারতীয় সেনার মুখে খাবার তোলা ১০ বছরের শ্রবণ পেল বাল পুরস্কার
ইন্ডিয়া টুডের এক রিপোর্ট অনুযায়ী, পাকিস্তান সেনাবাহিনীর সর্বাধিনায়ক মুনিরের নির্দেশে পশ্চিমের সেনাবাহিনী জম্মু ও কাশ্মীরের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর একের পর এক ড্রোন বিধ্বংসী ইউনিট মোতায়েন করার মধ্যে দিয়ে মূলত LOC র কাছাকাছি আকাশ সীমায় নজরদারি বাড়াতে চাইছে। এছাড়াও ইলেকট্রনিক যুদ্ধে তারা কতটা সক্ষম সেটাও একবার হাতে কলমে যাচাই করে দেখতে চাইছে পাকিস্তান সেনা। এক কথায় বলাই যেতে পারে, অপারেশন সিঁদুরে ভারতীয় ড্রোনের ধাক্কায় কুপোকাত হওয়ার পর এবার আকাশ সীমায় বিশেষ নজরদারির মধ্যে দিয়ে ভবিষ্যতের জন্য নিজেদের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা জোরদার করছে পাকিস্তান।
অবশ্যই পড়ুন: অনুশীলনের পর্যাপ্ত বল না পেয়ে রেগে মাঠ ছাড়লেন দুই কোচ, BPL-এ চূড়ান্ত নাটক!
প্রসঙ্গত, জম্মুর পুঞ্জে অর্থাৎ নিয়ন্ত্রণ রেখার ওপারে পাক অধিকৃত কাশ্মীরের রাওয়ালকোটে মোতায়েন করা পাক ফৌজের দ্বিতীয় আজাদ কাশ্মীর ব্রিগেড বিশেষ তৎপরতার মূল ভরকেন্দ্র। রিপোর্ট অনুযায়ী, গত মে মাসে সিঁদুর অভিযানের কারণে পাকিস্তানের একাধিক বিমান ঘাঁটি একপ্রকার গুঁড়িয়ে গিয়েছিল। সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বিষয়, ভারতীয় আকাশ বাহিনী যে প্রত্যাঘাত চালিয়েছিল তাতে মুরিদের প্রধান ভবন ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। মূলত সেই সব বিষয়গুলিকে মাথায় রেখে আগামী দিনে নিজেদের বাঁচাতে সীমান্তে প্রস্তুতি বাড়িয়েছে মুনির ব্রিগেড।