হম্বিতম্বিই সার, সিন্ধু জলচুক্তি নিয়ে ভারতের কাছে হার মেনে বিকল্প প্ল্যান পাকিস্তানের

বিক্রম ব্যানার্জী, কলকাতা: সিন্ধু জল বন্টন চুক্তি নিয়ে অবশেষে পরাজয় স্বীকার করে নিল কান কাটা পাকিস্তান! মঙ্গলবার, ভারতের বিরুদ্ধে জল চুক্তি নিয়ে একাধিক কুমন্তব্যের পর পাক প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ জানিয়েছেন, নয়াদিল্লির জলের অস্ত্রীকরণ মোকাবিলায় পাকিস্তানের জল সঞ্চয় ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য এবার বড়সড় পদক্ষেপ নিতে চলেছে ইসলামাবাদ। আর এরপরই, নানা মহলে উঠছে একটাই প্রশ্ন, হার মানল পাকিস্তান?

শেষমেষ না পেরে নিজস্ব জলাধার তৈরি করবে পাকিস্তান

বিগত দিনগুলিতে ধাক্কা খেয়েও বারংবার ভারতের কাছে সিন্ধু জল বন্টন চুক্তি নিয়ে কেঁদেকেটে একাধিক চিঠি দিয়েছিল পাকিস্তান। কিন্তু তাতে কি আর কাজ হয়? প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বহু আগেই জানিয়ে দিয়েছেন, রক্ত এবং জল একসাথে বইতে পারেনা। মূলত সেই কারণে, ইসলামাবাদের শত বায়না সত্ত্বেও পুরনো অবস্থান থেকে সরে দাঁড়ায়নি দিল্লি।

যদিও দিল্লির অনড় অবস্থান ভাঙতে পাকিস্তানের নেতা মন্ত্রী থেকে শুরু করে সাংসদরা দিয়েছিলেন একাধিক হুমকি। সম্প্রতি পাকিস্তানের প্রাক্তন বিদেশ মন্ত্রী বিলাওয়াল ভুট্টো বলেন, ভারত সিন্ধু জল চুক্তি নিয়ে সিদ্ধান্ত না নিলে যুদ্ধের জন্য তৈরি ইসলামাবাদ। তবে তারপরও নরম হয়নি দিল্লি। কাজেই ভারতের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময়ে গলা ফাটিয়ে কাজ না হাওয়ায় শেষমেষ হার মেনে নিল কাঙালের দেশ।

মঙ্গলবার পাকিস্তানের জাতীয় জরুরি অবস্থা অপারেশন সেন্টার পরিদর্শনে গিয়ে পাক প্রধানমন্ত্রী বলেন, একতরফাভাবে চুক্তি স্থগিত করে রাখার কোনও অধিকার নেই ভারতের। এই পদক্ষেপকে দিল্লির দুষ্ট পরিকল্পনা হিসেবে দেখছে পাকিস্তান। পাকিস্তানের জনপ্রিয় সংবাদ মাধ্যম ডনের প্রতিবেদন অনুযায়ী, এদিন নাকি পাক প্রধানমন্ত্রী শরীফ বলেছিলেন, পাকিস্তানের বিরুদ্ধে শত্রুরা খারাপ পরিকল্পনা করছে, মূলত সেই কারণেই এবার জলযুক্তির বিরুদ্ধে বড় পদক্ষেপ নিতে চলেছি ইসলামাবাদ।

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী স্পষ্ট জানিয়ে দেন, ভারত জলবন্টন চুক্তি নিয়ে একতরফা সিদ্ধান্তে অনড়! তাই পাক সরকার এবার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পাকিস্তানেই তৈরি হবে বৃহৎ জলাধার। তবে নতুন জলধর তৈরির ঘোষণার পাশাপাশি ভারতকে দুষে একাধিক মন্তব্য করেছিলেন শরীফ। এদিন পাক প্রধানমন্ত্রীর গলায় শোনা গিয়েছিল, ভারত জলকে অস্ত্রে পরিণত করার চেষ্টা করছে। আমরা তা হতে দেব না! তাই এবার নিজস্ব জলাধার তৈরি করবে ইসলামাবাদ। আগামী কয়েক বছরের মধ্যেই আমরা নিজস্ব সম্পদ দিয়ে এই সিন্ধু জল বন্টন চুক্তির বিরোধিতা করব।

অবশ্যই পড়ুন: এই দিনই গড়াবে এশিয়া কাপের ভারত বনাম পাকিস্তান ম্যাচ! প্রকাশ্যে বড় আপডেট

উল্লেখ্য, সিন্ধু এবং চেনাব থেকে প্রায় 80 শতাংশ জল সরবরাহ হতো পাকিস্তানে। যা ছিল পশ্চিমের দেশের কৃষিকাজের অন্যতম রসদ। তবে ভারতের সিদ্ধান্তে তা বন্ধ হয়েছে। যার জেরে ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছে পাকিস্তান। দীর্ঘদিন সিন্ধু জল বন্টন চুক্তি পুনর্বহাল করার দাবি তুলেও লাভ হয়নি। তাই শেষমেষ গলা উঁচিয়ে পেছনের রাস্তা দিয়ে পালাতে হচ্ছে ইসলামাবাদকে।

Leave a Comment