প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: দিল্লির লালকেল্লার উপর ভয়ংকর বিস্ফোরণ (Delhi Blast) কাঁপিয়ে দিয়েছে গোটা বিশ্ব। তবে জঙ্গিরা শুধু যে এই বিস্ফোরণ দিল্লিতেই করতে চেয়েছিল তা কিন্তু নয়, এরকম বিস্ফোরণ দেশের আরও চারটে শহরে ঘটানোর ব্যাপক পরিকল্পনা করেছিল তাঁরা। যার মধ্যে অন্যতম হল এই কলকাতা। আর তাইতো বিস্ফোরণ আটকাতে এবার দফায় দফায় নাকা চেকিং শুরু করার নিদান দিল লালবাজার পুলিশ। দেশজুড়ে নিরাপত্তার কড়াকড়ির মধ্যেই হাই অ্যালার্ট জারি করা হল শিয়ালদা ও হাওড়া স্টেশন চত্বরে।
বাড়িয়ে দেওয়া হল RFF-দের কাজের সময়
সাধারণত শিয়ালদা হল কলকাতার প্রাণকেন্দ্র। প্রতিদিন প্রায় হাজার হাজার যাত্রী এই স্টেশন দিয়ে যাতায়াত করেন। ঠিক এমন ভাবেই শিয়ালদার মতোই প্রতিদিন হাওড়া স্টেশন দিয়ে যাতায়াত করেন অসংথ্য মানুষ। ভিনরাজ্য থেকে এরাজ্যে ঢোকার অন্যতম গেটওয়ে এই দুটি স্টেশন। তাই এবার পুলিশ সতর্কতার নজরে দেখছে এই দুই স্টেশনকে। স্টেশন চত্বরে চলছে নাকা তল্লাশি। RPF-এর পাশাপাশি নজরদারি করা হচ্ছে বম্ব স্কোয়াডের তরফেও। রেলমন্ত্রকের তরফে এক নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে, আপাতত হাওড়া ও শিয়ালদা স্টেশনে RFF কর্মীদের কাজের সময় বাড়িয়ে ১২ ঘণ্টা করা হয়েছে। পাশাপাশি সব স্টেশনেই সিসি ক্যামেরার নজরদারির ওপর জোর দেওয়া হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে।
সশস্ত্র অবস্থায় ডিউটির নির্দেশ জওয়ানদের
যাত্রীদের ব্যাগ থেকে স্টেশনমুখী গাড়িগুলিতে দফায় দফায় তল্লাশি চালানো হচ্ছে। যাত্রীদের লাগেজ স্নিফার ডগ দিয়ে পরীক্ষা থেকে শুরু করে সন্দেহজনক কিছু মনে হলেই চলছে জিজ্ঞাসাবাদ। দুই স্টেশনের নিরাপত্তা জোরদার করতে দিল্লি থেকে ১৮ দফা নির্দেশিকা পাঠানো হয়েছে। প্রত্যেক জওয়ানকে সশস্ত্র অবস্থায় ডিউটির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। গোটা শহর জুড়ে যেন আতঙ্কের আবহ তৈরি হয়েছে, প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, এখনও পর্যন্ত কোনও সন্দেহজনক বস্তু বা কার্যকলাপ ধরা পড়েনি। তবে পরিস্থিতি কতটা জটিল হতে পারে, তা মাথায় রেখেই নিরাপত্তা বলয় আরও শক্ত করতে চাইছে রেল কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুন: অনলাইনেই মিলছে EWS সার্টিফিকেট! জানুন আবেদন প্রক্রিয়া ও কী কী নথি দরকার
প্রসঙ্গত, গত সপ্তাহে দিল্লিতে লাল কেল্লা মেট্রো স্টেশনের কাছে বিস্ফোরণ ও উদ্ধার হওয়া বিস্ফোরকের যে একটা যোগসূত্র আছে তা বেশ ভালই বুঝতে পারছে গোয়েন্দা সংস্থা। ইতিমধ্যেই গত শনিবার, দিল্লিতে বাজেয়াপ্ত বিস্ফোরক পরীক্ষা করতে গিয়েই ফেটে গিয়েছে শ্রীনগরের নওগাম থানায়। সেই ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে কমপক্ষে ন’জনের, আহত অনেকে। এই ঘটনার সঙ্গে দিল্লি বিস্ফোরণের কোনো যোগসূত্র আছে কিনা তাও তদন্ত করা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে।