প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: বিগত কয়েকদিন ধরেই বাংলাভাষী পরিযায়ী শ্রমিকদের বিভিন্ন রাজ্যে হেনস্থা হতে হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠে আসছে। আর তা নিয়েই রাজনৈতিক মহলে বেশ বাকবিতণ্ডা শুরু হয়েছে। এমতাবস্থায় ফের কেরলে বাংলার পরিযায়ী শ্রমিকের রহস্য মৃত্যুর খবর উঠে এল শিরোনামে। ইচ্ছাকৃত খুনের অভিযোগ দায়ের করল মৃত শ্রমিকের পরিবার।
ঘটনাটি কী?
সংবাদ প্রতিদিনের রিপোর্ট অনুযায়ী, আলিপুরদুয়ার ফালাকাটা পুরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের কলেজ পাড়ার শেষ সীমানায় বাড়ি ছিল বছর ২৭ এর আবুল হোসেন নামে মৃত শ্রমিকের। জানা গিয়েছে, গত ২৭ জুলাই কেরলে কাজের উদ্দেশ্যে পাড়ি দেন ওই যুবক। সেখানে রং মিস্ত্রির কাজ করতেন। কিন্তু পরিবারের অভিযোগ গত বৃহস্পতিবার থেকে তাঁর সঙ্গে ফোনেযোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে কিছুতে তা সম্ভব হচ্ছিল না। শেষে গত শুক্রবার অর্থাৎ ৮ আগস্ট কেরলের কত্তাকাল থানার অধীন একটি ঝোপ থেকে আবুল হোসেনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। বাড়ির ছেলের এই অস্বাভাবিক মৃত্যুতে কান্নায় ভেঙে পড়েছে গোটা পরিবার। ময়নাতদন্তের পর গতকাল অর্থাৎ রবিবার সেখানেই আবুলের শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
তদন্তের দাবি পরিবারের
মৃত যুবকের কাকা আমিনুল হক কেরলে ভাইপো আবুল হোসেনের এমন অস্বাভাবিক মৃত্যুতে মর্মাহত হয়ে পড়েছেন এবং তিনি অভিযোগ জানিয়েছেন যে, “হাত-পা বাঁধা অবস্থায় মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে বলে জানতে পেরেছি আমরা। এটি একটি খুনের ঘটনা। কারা ওকে খুন করল, তা তদন্ত করছে পুলিশ। আমরা ঘটনার উচ্চপর্যায়ের তদন্ত দাবি করছি।” এদিকে এই ঘটনা ফের ভিন রাজ্যে বাঙালি নির্যাতনের প্রসঙ্গ টেনে আনছে। তবে কি জাতি এবং ভাষা বিদ্বেষই খুন হতে হল এই পরিযায়ী শ্রমিককে? আবুলের এই অকাল মৃত্যুতে ফালাকাটায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
আরও পড়ুন: SIR বিরোধিতায় তোলপাড় রাজধানী! আন্দোলনের মাঝেই জ্ঞান হারালেন মহুয়া
অন্যদিকে ফালাকাটা টাউন ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি শুভব্রত দে গতকাল অর্থাৎ রবিবার মৃত শ্রমিক আবুল হোসেনের পরিবারে গিয়ে মৃত যুবকের স্ত্রীর সঙ্গে কথা বলে পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন। এই প্রসঙ্গে ফালাকাটা পুরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ভগীরথ মণ্ডল জানিয়েছেন যে, “বাঙালি শ্রমিকদের নিগ্রহের ঘটনা ঘটছে। এক্ষেত্রেও তেমন কিছু হয়েছে কিনা তা খোঁজ নিচ্ছি। পরিবারটি খুবই দরিদ্র। আমরা যথাসাধ্য পরিবারের পাশে থাকার চেষ্টা করব। ”