সহেলিও মিত্র, কলকাতাঃ বহু মানুষের সুবিধার্থে এবার হাত মেলাল EPFO এবং পোস্ট অফিস (Post Office)। আর এই দুইয়ের যুগলবন্দীতে আপনার জীবন আরও সহজ হয়ে উঠবে। নিশ্চয়ই ভাবছেন কীভাবে? আসলে কর্মচারী ভবিষ্যনিধি তহবিল সংস্থা (EPFO) তাদের পেনশনভোগীদের জন্য একটি বড় পরিষেবা চালু করেছে। বিশদে জানতে চোখ রাখুন আজকের এই প্রতিবেদনটির ওপর।
পেনশনপ্রাপকদের জন্য রইল সুখবর
এবার থেকে পেনশন প্রাপকদের ডিজিটাল লাইফ সার্টিফিকেট জমা দেওয়ার জন্য ব্যাংক বা EPFO অফিসে যেতে হবে না। এর জন্য, EPFO ইন্ডিয়া পোস্ট পেমেন্টস ব্যাংক (IPPB) এর সঙ্গে মৌ স্বাক্ষর করে অংশীদারিত্ব করেছে। এই অংশীদারিত্বের অধীনে, পেনশনভোগীরা এখন তাদের ঘরে বসেই একটি ডিজিটাল জীবন শংসাপত্র বা লাইফ সার্টিফিকেট মাত্র কয়েক মিনিটেই পেতে সক্ষম হবেন। এখন ডিজিটাল জীবন শংসাপত্রের জন্য কোথাও ছুটোছুটি করতে হবে না বয়স্ক মানুষদের। সমস্ত কাজ বাড়ি থেকেই করা যাবে।
লাইফ সার্টিফিকেট কী?
লাইফ সার্টিফিকেট বা জীবন শংসাপত্র হল আধার-ভিত্তিক একটি ডিজিটাল শংসাপত্র যা প্রমাণ করে যে পেনশনভোগীরা জীবিত। প্রতিটি ডিজিটাল জীবন শংসাপত্রের জন্য একটি অনন্য নম্বর বরাদ্দ করা হয়। এই শংসাপত্রটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে পেনশন বিতরণকারী সংস্থার কাছে পাঠানো হয়, যা পেনশনের ধারাবাহিকতা নিশ্চিত করে। ইন্ডিয়া পোস্ট পেমেন্টস ব্যাংক সারা দেশে ১.৬৫ লক্ষেরও বেশি ডাকঘর এবং ৩ লক্ষেরও বেশি ডাক কর্মীর মাধ্যমে এই পরিষেবা প্রদান করবে। এই কর্মীরা ঘরে ঘরে গিয়ে ডিজিটাল লাইফ সার্টিফিকেট তৈরি করতে পারবেন। তাদের কাছে এমন সরঞ্জাম থাকবে যা মুখ এবং আঙুলের ছাপের বায়োমেট্রিক সিস্টেম অন্তর্ভুক্ত। সর্বোপরি, EPFO থেকে পেনশনভোগীদের জন্য এই পরিষেবা সম্পূর্ণ বিনামূল্যে হবে।
কীভাবে লাইফ সার্টিফিকেট তৈরি করবেন?
এই সার্টিফিকেট পাওয়া খুবই সহজ। এটি নিকটবর্তী যেকোনো জীবন প্রমাণ কেন্দ্র থেকে পাওয়া যাবে। এই কেন্দ্রগুলি সিএসসি, ব্যাংক এবং সরকারি অফিসে অবস্থিত। এছাড়াও, এটি একটি মোবাইল ফোন, ল্যাপটপ বা ট্যাবলেট ব্যবহার করেও পাওয়া যেতে পারে। আপনি jeevanpramaan.gov.in ওয়েবসাইটে গিয়ে আপনার নিকটতম কেন্দ্রের অবস্থান জানতে সক্ষম হবেন। এই লাইফ সার্টিফিকেট জমা দেওয়ার শেষ দিন হল ৩০ নভেম্বর, ২০২৫।