হাদির মৃত্যুর মাঝেই খুলনায় গুলিবিদ্ধ এনসিপি নেতা, অবস্থা আশঙ্খাজনক!

Bangladesh NCP Leader

সৌভিক মুখার্জী, কলকাতা: ঢাকায় ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ওসমান হাদিকে গুলি করার ঘটনায় একেবারে উত্তাল বাংলাদেশের রাজ্য রাজনীতি। তবে এবার জাতীয় নাগরিক পার্টি অর্থাৎ এনসিপি খুলনা বিভাগের প্রধান ও শ্রমিক শক্তির কেন্দ্রীয় সংগঠক মোতালেব শিকদারকে গুলি করেছে দুষ্কৃতীরা (Bangladesh NCP Leader)। হ্যাঁ, তাঁর মাথায় গুলি করা হয়েছে। আশঙ্খাজনক অবস্থায় তাঁকে খুলনা মেডিকেল কলেজে ভর্তি করা হয় বলে খবর।

এনসিপি নেতাকে গুলি

ওপার বাংলার সংবাদমাধ্যম যুগান্তরের প্রতিবেদন অনুযায়ী, সোমবার অর্থাৎ ২২ ডিসেম্বর বেলা ১১টা ৪৫ মিনিট নাগাদ সোনাডাঙ্গা এলাকায় দুষ্কৃতীরা তাঁর মাথা লক্ষ্য করে গুলি চালিয়েছে। সোনাডাঙ্গা মডেল থানার তদন্ত কর্মকর্তা অনিমেষ মন্ডল এ বিষয়ে বলেছেন, মোতালেব নামের এক ব্যক্তিকে দুষ্কৃতীরা গুলি করে চলে গেছে। উপস্থিত জনতা তাঁকে উদ্ধার করে প্রথমে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছে। তবে পরে তাঁর মাথা সিটি স্ক্যান করার জন্য শেখপাড়া সিটি ইমেজিং সেন্টারে নিয়ে আসা হয়। ওনার বাড়ি নগরীর সোনাডাঙ্গা থানাধীন পল্লীমঙ্গল স্কুল এলাকায়। অবস্থা খুব একটা ভালো নয়।

এই ঘটনার পরপরই পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তদন্ত শুরু করেছে। এমনকি হামলার কারণ ও উদ্দেশ্য সনাক্ত করার কাজ চলছে। এ বিষয়ে ছাত্র আন্দোলনের খুলনা জেলা শাখার সদস্য সচিব সাজিদুল ইসলাম বাপ্পি জানিয়েছেন, প্রশাসনের নীরবতা এবং নিষ্ক্রিয়তা আমাদের জীবন ঝুঁকির মুখে ঠেলে দিচ্ছে। এভাবে আর চলে না। খুলনা এখন কিশোর গ্যাং আর সন্ত্রাসীদের নগরে পরিণত হচ্ছে। পুলিশ যে কজন সন্ত্রাসীকে আটক করেছে, তারা আবার কোর্ট থেকে সহজেই জামিন নিয়ে সন্ত্রাসমূলক কার্যকলাপে লিপ্ত হচ্ছে। আর এই সব কিছু সন্ত্রাসী গ্রুপ শেখবাড়ি ও আওয়ামী নেতাদের মদতপুষ্ট। আমাদের প্রাণ ঝুঁকির মুখে। নিষিদ্ধ সংগঠন আওয়ামী নেতাদের মদতেই সন্ত্রাসীরা খুলনাকে অশান্ত করার চেষ্টা করছে। আমরা সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা চাই।

আরও পড়ুন: পারমাণবিক খাতে বেসরকারি বিনিয়োগ, সম্মতি দিলেন খোদ রাষ্ট্রপতি! কী এই SHANTI বিল?

প্রসঙ্গত, এর আগে গত ১২ ডিসেম্বর রাজধানীর পুরানা পল্টনের বক্স কালভার্ট রোড এলাকায় শরিফ ওসমান হাদিকে মাথায় গুলি করেছিল দুষ্কৃতীরা। আশঙ্খাজনক অবস্থায় তাঁকে প্রথম ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় এবং পরে এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসা চলে। তবে অবস্থার অবনতি হলে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে চিকিৎসার জন্য তাকে ১৫ ডিসেম্বর সিঙ্গাপুরে নিয়ে গেলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ১৮ ডিসেম্বর তাঁর মৃত্যু হয়, যা নিয়ে বাংলাদেশের রাজ্য-রাজনীতি এখন তোলপাড়।

Leave a Comment