হারিয়ে গেল দেশের বীরপুত্র! তেজস যুদ্ধবিমান দুর্ঘটনায় শহিদ পাইলটকে চেনেন?

Tejas Jet Crash in Dubai

সৌভিক মুখার্জী, কলকাতা: গতকাল দুবাইতে এয়ার শো চলাকালীন ভয়াবহ দুর্ঘটনার শিকার হয়েছে ভারতের তেজস যুদ্ধবিমান (Tejas Jet Crash in Dubai)। আর এতে প্রাণ গিয়েছে ভারতীয় বায়ুসেনার উইং কম্যান্ডার নমংশ স্যালের। তাঁর অকাল প্রয়াণে হিমাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী সুখবিন্দর সিং সুকু ইতিমধ্যেই শোক প্রকাশ করেছেন। পাশাপাশি গোটা দেশবাসীর মধ্যেই নেমে এসেছে শোকের ছায়া।

কে এই উইং কম্যান্ডার নমংশ স্যালে?

বেশ কয়েকটি রিপোর্ট অনুযায়ী জানা গিয়েছে, উইং কম্যান্ডার নমংশ স্যালে হিমাচল প্রদেশের কাংড়া জেলার বাসিন্দা। ভারতীয় বায়ুসেনার পাইলট হিসাবেই পরিচিতি তাঁর। এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় তাঁর অকাল প্রয়াণে মুখ্যমন্ত্রী সুখবিন্দর সিং সুকু শোক প্রকাশ করে বলেছেন, ভারতীয় বীরপুত্রের অকাল মৃত্যু অত্যন্ত দুঃখজনক এবং হৃদয়বিদারক। ভারতমাতা একজন বীর যোদ্ধাকে হারাল। এক কর্তব্যপরায়ণ এবং সাহসী পাইলট পৃথিবী ছেড়ে চলে গেল। তাঁর শোকার্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাই। বলাবাহুল্য, তাঁর মৃত্যুর খবর প্রকাশে আসার দুবাই এয়ার শো-র মধ্যকার একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। আর সেখানে তাঁকে ভারতীয় প্রতিনিধিদের সঙ্গে হাসিমুখে ছবি তুলতে দেখা গিয়েছিল। তবে মুহূর্তের মধ্যে এত বড় দুর্ঘটনা ঘটবে কেই বা জানতো!

জেনে রাখা ভাল, ভারতের তেজস যুদ্ধবিমান একটি ইঞ্জিন এবং পাইলট সহ সর্বাধিক ৪০০০ কেজি অস্ত্র বহন করতে পারে। আর এটি টেক অফের সময় সর্বাধিক ওজন হতে পারে মোটামুটি ১৩,৩০০ কেজি। ১৯৮৩-৮৪ সালে এই দেশীয় যুদ্ধবিমান তৈরির পরিকল্পনা করা হয় এবং ২০০৩ সালে তা বাস্তবে রূপ নেয়। যদিও ১৯৯৮ সালে পরমাণু পরীক্ষার পর আমেরিকা এই যুদ্ধ বিমানের চুক্তি থেকে সরে গিয়েছিল। কিন্তু ভারত দেশীয় প্রযুক্তি ব্যবহার করে একাই নির্মাণ করে ফেলে এই অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমান।

আরও পড়ুনঃ বিয়ের মরসুমে সোনা, রুপোর দামে পতন! আজকের রেট

জানা যাচ্ছে, বর্তমানে ভারতের কাছে তিনটি ভেরিয়েন্টের তেজস রয়েছে। আর সেগুলি হল মার্ক-১, মার্ক-১এ এবং মার্ক-২। প্রথমবার ২০১৬ সালে এটি ভারতীয় বায়ুসেনার ৪৫ নম্বর স্কোয়াড্রনে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল আর বর্তমানে ভারতীয় বায়ুসেনার দু’টি স্কোয়াড্রনে এই অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমানটিকে ব্যবহার করা হচ্ছে। এমনকি চলতি বছর আগস্ট মাসে ভারত সরকার আরও ৯৭টি তেজস মার্ক-১ ভেরিয়েন্টের যুদ্ধবিমান কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আর এটি মূলত একটি ৪.৫ প্রজন্মের মাল্টিরোল যুদ্ধবিমান, যাকে বিশেষজ্ঞরা সবথেকে হালকা এবং ছোট বিমান বলেই মনে করছেন। তবে দুবাইতে চলাকালীন আকস্মিক এই দুর্ঘটনাতে এই যুদ্ধবিমানের নিরাপত্তা নিয়েও উঠতে শুরু করে নানানরকম প্রশ্ন।

Leave a Comment