হাসপাতালে ভর্তি থাকলে রোজ মিলবে ৮০০০ টাকা, জানুন LIC-র এই প্ল্যান সম্পর্কে

LIC

সৌভিক মুখার্জী, কলকাতা: আজকালকার দিনে রোগ ব্যাধি যেকোনো সময় হানা দিতে পারে। তবে অসুস্থ হলে চিকিৎসার খরচ সামলানো অনেক পরিবারের কাছে মাথা ব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। ঠিক সেই পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে লাইফ ইন্সুরেন্স কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়া (LIC)। হ্যাঁ, তাদের জীবন আরোগ্য পলিসি এবার এমন এক স্বাস্থ্যবীমা পরিকল্পনা হয়ে দাঁড়িয়েছে, যা শুধুমাত্র চিকিৎসার খরচ সামলাচ্ছে না, বরং পরিবারের জন্য আর্থিক নিরাপত্তাও দিচ্ছে।

কী এই LIC-র জীবন আরোগ্য পলিসি?

আসলে এটি একটি নন-লিঙ্কড হেলথ ইন্স্যুরেন্স প্ল্যান, যা মূলত হাসপাতাল সংক্রান্ত বিভিন্ন খরচ মেটাতে সাহায্য করে। এই পলিসির মূল বিশেষত্ব হল, এতে শুধুমাত্র নিজেকে নয়, বরং স্ত্রী থেকে শুরু করে সন্তান, বাবা-মা এমনকি শশুর শাশুড়িকেও অন্তর্ভুক্ত করা যায়। অর্থাৎ, গোটা পরিবারকেই এক ছাতার নীচে পরিষেবা দেওয়া যায়।

কত প্রিমিয়াম জমা দিতে হয়?

এখানে মূলত প্রিমিয়ামের অংক নির্ভর করে বয়সের উপর। যেমনটা জানা যাচ্ছে, ২০ বছর বয়সে যদি এই স্কিমে আবেদন করা যায়, তাহলে বার্ষিক ১৯২২ টাকা প্রিমিয়াম দিতে হয়। আর ৫০ বছর বয়সে তা বেড়ে দাঁড়াতে পারে ৩৭৬৮ টাকা পর্যন্ত। তবে হ্যাঁ, এই প্রিমিয়াম বছরে একবারই দিতে হয়।

কোন কোন খরচ কভার করবে?

জানা যাচ্ছে, এই পলিসির আওতায় ছোট বড় দুই ধরনের হাসপাতালের খরচ মেলে। ভর্তি হলে ৫০% টাকা সঙ্গে সঙ্গে মেলে। পাশাপাশি শুধুমাত্র বিলের ফটোকপি দিলেই টাকা ফেরতের সুবিধা পাওয়া যায়। এমনকি দুর্ঘটনা বা বড় কোনো অপারেশনের ক্ষেত্রে জরুরী সাহায্য নেওয়া যায় এবং অ্যাম্বুলেন্স চার্জের জন্য সর্বোচ্চ ১০০০ টাকা পর্যন্ত কভার দেওয়া হয়।

পাশাপাশি সাধারণ হাসপাতালে ভর্তি হলে প্রতিদিন ১০০০ টাকা থেকে ৪০০০ টাকা পর্যন্ত সুবিধা মেলে। আর এই সুবিধা সর্বোচ্চ ৭২০ দিন পর্যন্ত পাওয়া যায়। এমনকি আইসিইউতে ভর্তি হলে দৈনিক ৮০০০ টাকা পর্যন্ত সাহায্য করা হয়, যা সর্বোচ্চ ৩৬০ দিন পাওয়া যাবে। আর বছরে পাঁচবার পর্যন্ত এই সুযোগ নেওয়া যাবে। পাশাপাশি দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে ক্লেইম নিস্পত্তি হয় দিনের দিন।

আরও পড়ুনঃ মার্ক জুকারবার্গের বিরুদ্ধেই মামলা করল মার্ক জুকারবার্গ! কারণ জানলে ভিমড়ি খাবেন

মোদ্দা কথা, এলআইসিআই জীবন আরোগ্য পলিসি এমন একটি সুরক্ষা যা হঠাৎ করে অসুস্থতা বা দুর্ঘটনার সময় পরিবারের আর্থিক বোঝা অনেকটাই কমাতে সাহায্য করে। শুধুমাত্র চিকিৎসা খরচ নয়, বরং এই পলিসি যেকোনো কঠিন সময়ে পরিবারকে অর্থনৈতিক সমস্যা যাতে না পোহাতে হয় তাও নিশ্চিত করে।

Leave a Comment