প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: সম্প্রতি দিল্লির লালকেল্লায় বিস্ফোরণ কাণ্ড (Delhi Blast) গোটা দেশকে নাড়িয়ে দিয়েছে। চারিদিকে এই বিস্ফোরণ জনিত কারণে ভয়ের এক বাতাবরণ তৈরি হয়েছে। একাধিক রাজ্যেও জঙ্গি হামলার সতর্কতা পাঠানো হয়েছে। আর এই আবহে দিল্লি বিস্ফোরণ ঘটনা সম্পর্কিত একের পর এক তথ্য বেরিয়ে আসছে। জানা গিয়েছে আত্মঘাতী বোমারু উমর উন-নবির ছিলেন একজন কট্টরপন্থী মানসিকতার ব্যক্তি। তাই সেক্ষেত্রে কট্টর ভাবে ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চলতে না-দেখলেই উমর খুবই অসন্তুষ্ট হতেন, এমনকি শাসনে রাখতেন মহিলাদেরকেও।
মহিলা রোগীদের হিজাব নিয়ে প্রশ্ন
জম্মু ও কাশ্মীরের অনন্তনাগের গভর্নমেন্ট মেডিক্যাল কলেজের হাসপাতালে কর্মরত চিকিৎসক ছিলেন দিল্লির লালকেল্লায় বিস্ফোরণ কাণ্ডের আত্মঘাতী বোমারু উমর নবি। পড়াশোনায় অত্যন্ত ভালো থাকলেও মানসিকতা ছিল তীব্র কট্টরপন্থী। তাঁর সহকর্মীরা জানিয়েছেন, হাসপাতালের মহিলা রোগীদের পোশাক নিয়ে মাঝেমধ্যে আপত্তি জানাতেন উমর। মাঝেমধ্যেই নাকি হাসপাতালের কিছু মহিলা রোগীকে নিয়মের বাইরে কোনো কাজ করলেই চিহ্নিত করতেন এবং প্রশ্ন করতেন কেন তাঁরা নিজেদের মাথা ঢাকেননি।” আবার কেউ হিজাব না পড়লে তাঁদের কাছে গিয়ে জিজ্ঞাসা করতেন, কেন সে হিজাব পরেননি? এছাড়াও দিনে কে কত বার নমাজ পড়ে সেই নিয়েও নানা প্রশ্ন বাকিদের জিজ্ঞেস করতেন উমর।
আল-ফালাহ্ বিশ্ববিদ্যালয়ে বসেই বিস্ফোরণের ছক
জানা গিয়েছে উমর চিকিৎসার পাশাপাশি রোগী এবং সহকর্মীদের নানা ভাবে তাঁর আচরণের জন্য বিরক্ত করতেন। সেই কারণে অনেকেই তাঁর বিরুদ্ধে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে নালিশ করেছিলেন। এর পরেই কাশ্মীরের অনন্তনাগের হাসপাতাল থেকে উমরের চাকরি চলে গিয়েছিল। এরপরেই উমর নাকি কাশ্মীর ছেড়ে সোজা চলে এসেছিলেন হরিয়ানার ফরিদাবাদে। সেখানে আল-ফালাহ্ বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরি পেয়ে যান ওই আত্মঘাতী। তদন্তকারীদের অনুমান, সেখানে বসেই উমর তার সহকর্মীদের নিয়ে দিল্লি-সহ একাধিক শহরে বিস্ফোরণের ছক কষেছিলেন।
আরও পড়ুন: বাদ ভারতসুন্দরী মণিকা বিশ্বকর্মা! মিস ইউনিভার্স ২০২৫-র খেতাব জয় মেক্সিকোর ফাতিমা বোশের
তদন্তকারীদের তরফে জানা গিয়েছে, সিসিটিভি ফুটেজ মারফৎ জানা গিয়েছে দিল্লি বিস্ফোরণের দিন আত্মঘাতী বোমারু উমর উন-নবি বিস্ফোরণের আগে নাকি প্রায় তিন ঘণ্টা ধরে ঘটনাস্থলের কাছে পার্কিংয়ে বসেই বোমা বানিয়েছিল। বিকেল ৩টে ১৯ মিনিটে উমর তার গাড়ি নিয়ে পার্কিংয়ে ঢোকে এবং ৬টা ২৮ মিনিটে বেরিয়ে আসে। ঠিক তার ২৫ মিনিট পর, সন্ধে ৬টা ৫২ মিনিটে ঘটে ভয়াবহ বিস্ফোরণ হয়, যে ঘটনায় মৃত্যু হয় ১৩ জনের, আহত হয়েছেন অন্তত ২০ জন। তবে তদন্তকারীদের কাজ এখনও শেষ হয়নি। উমরের সঙ্গে জড়িত হ্যান্ডলাররা কারা এবং কীভাবে পরিকল্পনা সাজানো হয়েছিল- সেইসব খতিয়ে দেখা হচ্ছে।