হিন্দুদের উপর অত্যাচার বাড়ছে বাংলাদেশে! ইউনূসের ব্যর্থতার প্রতিধ্বনি ব্রিটেনের সংসদে

Bangladesh Humanitarian Crisis in Bangladesh petition presented in Britain parliament

বিক্রম ব্যানার্জী, কলকাতা: শেখ হাসিনার শাসন শেষ হতেই বাংলাদেশের (Bangladesh) সংখ্যালঘুদের উপর নেমে এসেছে বিপদের কালো ছায়া। মুখে বললেও, আদতে হিন্দু সংখ্যালঘুদের উপর হওয়া নির্মম অত্যাচার আটকাতে পারেননি ওপার বাংলার প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনূস।

বিশ্বের একাধিক দেশ বাংলাদেশে হওয়া হিন্দু অত্যাচার নিয়ে সরব হলেও টনক নড়েনি ওপারের প্রধানের। ঠিক সেই আবহে এবার, বাংলাদেশের মানবিক পরিস্থিতি নিয়ে ওকিং এলাকার বাসিন্দাদের পক্ষ থেকে ব্রিটেনের পার্লামেন্টে একটি আবেদনপত্র জমা পড়ল। তাতে হিন্দুদের উপর হওয়া ভয়াবহ অত্যাচার নিয়ে উদ্বেগের ছবি ধরা পড়েছে।

আবেদনপত্রে ঠিক কী বলা হয়েছে?

ওকিং এলাকার বাসিন্দাদের তরফে ব্রিটেনের সংসদে যে আবেদনপত্র জমা পড়েছে তাতে মূলত বলা হয়েছে, বাংলাদেশে অন্তর্বর্তীকালীন প্রধান উপদেষ্টা ইউনূসের আমলে সাধারণ মানুষের উপর অত্যাচার বেড়েছে। প্রতিমুহূর্তে সে দেশের সংখ্যালঘুরা নিপীড়ন এবং আক্রমণের মুখোমুখি হচ্ছে। আবেদনপত্রে জানানো হয়, আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষণের অভাবে বাংলাদেশে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়েছে।

UK পার্লামেন্টের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, আবেদনকারীরা সংসদে জানিয়েছিলেন, বাংলাদেশের চরমপন্থী সহিংসতা এবং রাজনৈতিক আক্রমণ ক্রমশ বেড়ে চলেছে। ধর্মীয় এবং জাতিগত সংখ্যালঘুরা প্রতিমুহূর্তে নির্যাতিত হচ্ছেন। নারীদের উপর অত্যাচার বাড়ছে। আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষণের অভাব থাকলে আগামী দিনে দেশটিতে পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে।

প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, আবেদনকারীরা ব্রিটিশ পার্লামেন্টে এও আবেদন জানান, ব্রিটিশ সরকারকে বাংলাদেশের সংঘটিত মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনাকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দিতে হবে। জাতিসংঘের কাছে স্বাধীন তদন্তের দাবি জানিয়ে আন্তর্জাতিক চাপ তৈরি করতে হবে। পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্তদের ন্যায় বিচার প্রদানের জন্য সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ নিতে হবে। এছাড়াও দোষীদের কঠোরতম শাস্তি এবং জবাবদিহির বিষয়টি নিয়ে ভাবার জন্যও ব্রিটিশ পার্লামেন্টের কাছে আবেদন জানান বহু মানুষ।

অবশ্যই পড়ুন: রাশিয়াও করবে বিশ্বাসঘাতকতা? মোদি চিন ছাড়তেই পাকিস্তানকে অংশীদার বললেন পুতিন!

ব্রিটেন সরকারের প্রতিক্রিয়া

বাংলাদেশে ধর্ম এবং জাতিগত সংখ্যালঘুদের উপর হওয়া অত্যাচারের ঘটনা নিয়ে আবেদনের ভিত্তিতে ব্রিটেনের পররাষ্ট্র, কমনওয়েলথ এবং উন্নয়ন বিষয়ক উপমন্ত্রী ক্যাথেরিন ওয়েস্ট জানিয়েছেন, ব্রিটেন মানবাধিকার এবং ধর্মীয় স্বাধীনতা রক্ষায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তাঁর বক্তব্য, গত ফেব্রুয়ারি মাসে ব্রিটেনের মানবাধিকার দূত এলিনর স্ট্যান্ডার্স বাংলাদেশ সফর করেছিলেন। সেই সময়ে তিনি অন্তর্বর্তী সরকারের সাথে স্বাধীনতা এবং জবাবদিহিতা নিয়ে আলোচনা করেন। রিপোর্ট অনুযায়ী, গত নভেম্বরে এই ক্যাথেরিন বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা ইউনূসের সাথে মানবাধিকারের বিষয়টি নিয়েও সরাসরি আলোচনা করেছিলেন। সবশেষে ব্রিটেন সরকার জানিয়ে দেয়, বাংলাদেশের সুশাসন এবং গণতন্ত্র রক্ষা করার জন্য ব্রিটিশ সরকার তাদের সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে।

Leave a Comment