বিক্রম ব্যানার্জী, কলকাতা: ভারতের সেরা দল, হয়তো সেই দম্ভ থেকেই ডার্বির আগে হুঙ্কার ছেড়েছিলেন মোহনবাগানের অন্যতম ভরসাযোগ্য ফুটবলার অজি বিশ্বকাপার জেসন কামিংস। তাঁর বক্তব্য ছিল, ইস্টবেঙ্গলকে পরোয়া করিনা।
তবে রবিবার লাল হলুদের কাছে নাকের জলে চোখের জলে হতেই, ইস্টবেঙ্গলের সেলিব্রেশনের মাঝে একপ্রকার দূরবীন দিয়েও খুঁজে পাওয়া যায়নি কামিংসকে। তবে ম্যাচ শেষের পর টিম বাস থেকে ভক্তেদের উদ্দেশ্যে মধ্যমা দেখিয়ে অসভ্যতার পরিচয় দেন বাগান তারকা। আর তারপর থেকেই তাঁকে নিয়ে শুরু হয়েছে সমালোচনা।
ফুটবল প্রেমীদের একটা বড় অংশের দাবি, আর যাই হোক, মোহনবাগান প্লেয়ার অজি বিশ্বকাপার জেসন কামিংসের মতো বড় মাপের ফুটবলারের কাছ থেকে অন্তত এ ধরনের আচরণ একেবারেই কাম্য নয়। প্রশ্ন উঠছে, ইস্টবেঙ্গলের কাছে হার সহ্য করতে পারছেন না বাগান তারকা?
হারের পরই চরম অসভ্যতা কামিংসের
ইস্টবেঙ্গলের কাছে ডার্বিতে হারের পরই একে একে মুখ লুকিয়ে ছিলেন মোহনবাগানের ফুটবলাররা। পরবর্তীতে টিম বাসে করে বেরিয়ে যাওয়ার সময় যুবভারতীর বাইরে পতাকা নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা সমর্থকদের উদ্দেশ্যে মধ্যমা দেখান কামিংস। এদিন মোহনবাগানের টিম বাস দেখতে পেয়েই উঠেছিল জয় ইস্টবেঙ্গল ধ্বনি। আর ঠিক সেই সময়ে সমর্থকদের উদ্দেশ্যে মাঝের আঙুল দেখিয়ে চূড়ান্ত অসভ্যতা করেন অস্ট্রেলিয়ার ফুটবলার কমিংস।
আর তাতেই এবার সমালোচিত হতে হচ্ছে তাঁকে। কেন এমন করলেন বাগান ফুটবলার? লাল হলুদ সমর্থকদের একটা বড় অংশের মতে, ইস্টবেঙ্গলের কাছে এভাবে ডার্বিতে হার কল্পনা করতে পারেনি মোহনবাগান। তাই হেরে মুখ লুকাতে না পেরে অসভ্যের পরিচয় দিলেন কামিংস! কেউ বলছেন, মাঠে গোল করতে না পেরে ইস্টবেঙ্গল সমর্থকদের উপর রাগ ঝাড়ছেন তিনি!
অবশ্যই পড়ুন: ইস্টবেঙ্গলের কাছে কেন হারতে হল মোহনবাগানকে? রইল শক্তপোক্ত কারণ
প্রসঙ্গত, রবিবার ডার্বির প্রথমার্ধে ইস্টবেঙ্গলের দাপটের সামনে কার্যত মুখ থুবড়ে পড়েছিল মোহনবাগান। এদিন প্রথম 45 মিনিটে মাঠে শুধুই বয়ে যাচ্ছিল লাল হলুদ ঝড়। আর তাতেই একপ্রকার ঢাকা পড়ে গিয়েছিল সবুজ মেরুন। তবে দ্বিতীয়ার্ধের শেষের দিকে ম্যাচে ফেরার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয় গঙ্গা পাড়ের ক্লাব। এদিনের শেষ হাসিটা হয়তো তোলা ছিল ইস্টবেঙ্গলের জন্যই। তাই তো শত চেষ্টা করেও জয়ের সরণিতে পা রাখতে পারেনি ভারত সেরা দল হিসেবে নিজেদের পরিচয় দেওয়া মোহনবাগান!