প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: আগামী বছর রাজ্যে ২৬ এর বিধানসভা নির্বাচন। আর সেই নির্বাচনকে মাথায় রেখে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে গত ২ আগস্ট থেকে শুরু হয়েছে ‘আমাদের পাড়া, আমাদের সমাধান’ কর্মসূচি। ইতিমধ্যেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে কর্মসূচির কার্যকারিতা ও বাস্তবায়ন পর্যবেক্ষণে সরাসরি ময়দানে নেমেছেন রাজ্যের মন্ত্রীরা। এবার সেই কর্মসূচি নিয়ে চলতি মাসে এক বড় রিপোর্ট প্রকাশ্যে আনলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
‘আমাদের পাড়া, আমাদের সমাধান’ নিয়ে বড় আপডেট
‘আমাদের পাড়া, আমাদের সমাধান’ শিবির নিয়ে ইতিমধ্যেই নবান্নের তরফে নির্দেশিকা জারি করা হয়েছিল। যেখানে স্পষ্ট বলা হয়েছিল যে, রাজ্যের প্রতিটি জেলায় এক জন করে মন্ত্রীকে দায়িত্ব দেওয়া হবে। আর সেই দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রীদের প্রতি সপ্তাহে অন্তত এক বার সংশ্লিষ্ট এলাকার ‘আমাদের পাড়া, আমাদের সমাধান’ শিবিরে হাজির থাকতে হবে। পাশাপাশি, ব্লক স্তরের সিদ্ধান্তগুলির অগ্রগতি জানতে এবং সমস্যা সমাধানে সমন্বয়সাধন করতে জেলাশাসকের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। সেক্ষেত্রে মুখ্যমন্ত্রী এও স্পষ্ট করেছিলেন যে সকল মন্ত্রী যেন স্থানীয় প্রভাব থেকে মুক্ত হয়ে নিরপেক্ষ ভাবে পর্যবেক্ষণ নিশ্চিত করে। আর এই আবহে মুখ্যমন্ত্রী প্রকাশ্যে আনলেন এক নয়া তথ্য।
কর্মসূচির রিপোর্ট প্রকাশ মমতার
গতকাল অর্থাৎ মঙ্গলবার, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এক্স হ্যান্ডেলে ‘আমাদের পাড়া আমাদের সমাধান’ কর্মসূচির সাফল্যের খতিয়ান সম্পর্কে জানিয়েছেন যে, “সারা বাংলা জুড়ে আমাদের যে “আমার পাড়া আমার সমাধান” প্রকল্প চলছে, আজ পর্যন্ত তার সাফল্যের খতিয়ান আপনাদের সঙ্গে ভাগ করে নিচ্ছি। আজ, ১২.০৮.২০২৫, বিকেল ৪:০০ পর্যন্ত ফলাফল – সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, প্রকল্পে মোট ৮০,৬৮১ বুথ কভার করা হবে। এখন পর্যন্ত কভার হয়েছে ১৪,২৬৫ বুথ। মোট ২৮,৭৫৩ ক্যাম্পের পরিকল্পনা রয়েছে, যার মধ্যে ৫,৪২৮টি ক্যাম্প ইতিমধ্যেই অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ পর্যন্ত আয়োজিত ক্যাম্পগুলোতে অংশ নিয়েছেন মোট ২৯,৫১,১৬৪ জন। প্রতি ক্যাম্পে গড়ে উপস্থিতি ৫৪৪ জন। প্রায়োরিটি ভিত্তিতে প্রকল্প বেছে নিয়েছেন ১,৩৬,৪১৫ জন।”
এদিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর এক্স হ্যান্ডেলে সরকারি কর্মসূচি আমাদের পাড়া আমাদের সমাধান নিয়ে গর্ব বোধ করে আরও জানিয়েছেন যে, “সরকারি রিপোর্ট অনুযায়ী ৩০ লক্ষ মানুষ ইতিমধ্যেই ক্যাম্পে এসেছেন। আমি গর্বিত, বাংলার মানুষ আমাদের এই প্রকল্পেও এরকম আন্তরিকভাবে সাড়া দিয়েছেন। আমাদের যে সকল সরকারি কর্মী ও আধিকারিক দিনরাত পরিশ্রম করে এই প্রকল্পকে সাফল্যমন্ডিত করে চলেছেন তাঁদেরও আমার অভিনন্দন জানাই। জয় বাংলা!”