সহেলি মিত্র, কলকাতাঃ একদিকে যখন এসএসসি দুর্নীতি, যোগ্য, অযোগ্য তালিকা নিয়ে উত্তাল বাংলা, ঠিক তখনই বিরাট বড় রায় দিল কলকাতা হাইকোর্ট। এক ধাক্কায় ১২৪১ জনকে নিয়োগের নির্দেশ দেওয়া হল। হ্যাঁ একদম ঠিক শুনেছেন। বিগত ১০ বছর ধরে উচ্চ প্রাথমিকে এই নিয়োগ (Upper Primary Recruitment) হয়নি। এহেন পরিস্থিতি দ্রুত ১২৪১ জনকে নিয়োগের নির্দেশ দিলেন বিচারপতি।
উচ্চ প্রাথমিকে অবিলম্বে নিয়োগের নির্দেশ হাইকোর্টের
আরও গভীরে জানতে ফিরে যেতে হবে ২০১৬ সালে যখন সেই সময়ে উচ্চ প্রাথমিকে ১৪০৫২টি শূন্যপদে নিয়োগের নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। মোট আটবার কাউন্সেলিং অবধি হয়। তবে অভিযোগ, এই ঘটনার পর ১২৪১ জন চাকরি পাননি। এহেন পরিস্থিতিতে অবিলম্বে বাকি থাকা চাকরি প্রার্থীদের উচ্চ প্রাথমিকে নিয়োগের নির্দেশ দিল বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তীর ডিভিশন বেঞ্চ।
জানিয়ে রাখি, হাইকোর্টের তরফ থেকে ২০২৪ সালেও উচ্চ প্রাথমিকে নিয়োগের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। তবে এরপরও স্কুল সার্ভিস কমিশন নিয়োগ করেনি বলে অভিযোগ। এই আবহে ফের কলকাতা হাইকোর্টে এই নিয়ে মামলা দায়ের হয়। এরপর এই মামলার রায় সামনে এল। স্বাভাবিকভাবেই হাইকোর্টের এহেন নির্দেশে খুশির হাওয়া বইছে চাকরিপ্রার্থীদের মধ্যে।
পরীক্ষা হয়েছিল ২০১৫ সালে
২০১৫ সালে পরীক্ষা হয়েছিল। এরপর কেটে গিয়েছে ১০টা লম্বা বছর। তবে পঞ্চম থেকে অষ্টম শ্রেণিতে শিক্ষক নিয়োগের প্রক্রিয়া এখনও অবধি শেষ করে উঠতে পারেনি স্কুল সার্ভিস কমিশন। এদিকে ২৬০০০ চাকরি বাতিল মামলায় বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তীর ভর্ৎসনার মুখে পড়তে হয় স্কুল সার্ভিস কমিশনকে। সেই নিয়েও চলছে মামলা। সম্প্রতি এই মামলায় কয়েক হাজার অযোগ্য প্রার্থীর নাম সামনে এনেছে এসএসসি। এই ঘটনার মধ্যে ১২৪১ জন চাকরি প্রার্থী নিয়োগের নির্দেশকে যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে দেখছে বিশিষ্ট মহল।