১১ দিনে বাংলাদেশে ১,৭৮৫ মেট্রিক টন চাল পাঠাল ভারত, দাম কমল অনেকটাই

India-Bangladesh Trade Yunus government imports 1785 metric ton rice from India

বিক্রম ব্যানার্জী, কলকাতা: সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে শুরু হয়েছে চাল আমদানি (India-Bangladesh Trade)। গত 21 আগস্ট থেকে 2 সেপ্টেম্বর পর্যন্ত, বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে 51টি ট্রাকে করে মোট 1,785 মেট্রিক টন চাল পৌঁছেছে ওপার বাংলায়, এমনটাই দাবি করছে বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম সময়ের কণ্ঠস্বর। আর এ কারণে বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনূস সরকারের সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ দিয়েছেন ওপার বাংলার আমদানিকারকরা।

আমদানি শুরু হওয়ায় চালের দাম কমেছে বাংলাদেশে

ওই প্রতিবেদন অনুযায়ী, বাংলাদেশের চাল আমদানিকারকরা জানাচ্ছেন, ইউনূস সরকারের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে তাঁরা ভারত থেকে বেনাপোল বন্দর হয়ে চাল আমদানি শুরু করেছেন। বন্দর সূত্রে জানা গিয়েছে, একমাস আগেই বাংলাদেশে ইরি-বোরো ধানের মরসুমে শেষ হয়েছে। এদিকে ওপার বাংলায় ধানের পর্যাপ্ত আবাদ থাকলেও হঠাৎ করেই বেড়ে যায় চালের দাম। ফলে, চালের দাম নিয়ন্ত্রণে আনতে ভারত থেকে আমদানি শুরু করার সিদ্ধান্ত নেয় অন্তর্বর্তী সরকার। আর এর পরই গত 12 আগস্ট আমদানিকারকদের নামে বরাদ্দ ইস্যু করে ভারত থেকে টন টন চাল আমদানির অনুমতি দেয় ইউনূস সরকার।

এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশের চাল আমদানিকারক সংস্থা গনি এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী আব্দুস সামাদ জানিয়েছেন, তার প্রতিষ্ঠান বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশে চাল আমদানি করছে। ভারত থেকে চাল আসা শুরু হওয়ায় দেশের বাজারে পাইকারি এবং খুচরো চালের দাম কমেছে। সামাদের বক্তব্য, এভাবেই আগামী দিনেও ভারত থেকে চাল আমদানি অব্যাহত রাখলে পণ্যটির দাম আরও কমবে। একথা বলেই ইউনূস সরকারের কাছে চাল আমদানি অব্যাহত রাখার দাবি জানিয়েছেন তিনি।

আরেক আমদানিকারক শামীম আহমেদ আবার জানান, বন্দরের মোকামে আমদানি করা চালের মধ্যে রয়েছে স্বর্ণা, সম্পা কাটারি, রত্না সহ বেশ কিছু মিনিকেট জাতের চাল। আহমেদের দাবি, সম্পা কাটারি জাতের চাল কেজিতে 5 টাকা কমে 65 টাকায় দাঁড়িয়েছে। অন্যদিকে স্বর্ণা জাতের চাল কেজিতে 3 টাকা কমে গিয়ে 52 এবং 28 জাতের চাল কেজিতে 4 টাকা কমে 53 টাকায় এসে ঠেকেছে। সব মিলিয়ে, ভারত থেকে চাল যাওয়ায় আখেরে লাভের মুখ দেখেছেন ওপার বাংলার বহু মানুষ।

অবশ্যই পড়ুন: দিমির পর এবার হিজাজি মাহেরকেও ছেড়ে দিল ইস্টবেঙ্গল, কারণ কী?

প্রসঙ্গত, বাংলাদেশের কাস্টমস হাউজের রাজস্ব কর্মকর্তা রেজাউল ইসলাম জানিয়েছেন, আমদানিকারকরা 2 শতাংশ এআইটি ডিউটি দিয়ে ভারত থেকে চাল আমদানি করেছেন। এর আগে চালের উপর 63.50 শতাংশ শুল্ক নির্ধারণ করা হয়েছিল। তবে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার চাল আমদানিতে অনুমতি দেওয়ায় জাতীয় রাজস্ব বোর্ড পূর্ব 63.50 শতাংশ শুল্ক কমিয়ে 2 শতাংশে নিয়ে এসেছে। যার ফলে, আমদানিকারকরা কম শুল্ক দিয়ে ভারত থেকে বিপুল পরিমাণ চাল কিনতে পারছেন।

Leave a Comment