বিক্রম ব্যানার্জী, কলকাতা: ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের অষ্টাদশ সংস্করণে অভিষেক হতেই বিশ্বের তাবড় তাবড় বোলারদের পিটিয়ে ছাতু করেছেন মাত্র 14 বছর বয়সী বৈভব সূর্যবংশী! সে কারণেই আজও তিনি সংবাদ শিরোনামে।
IPL এর রণক্ষেত্রে নিজের দক্ষতা জাহির করার পাশাপাশি দাপুটে বোলারদের মনেও ভয় ধরিয়েছিলেন বিহারের ভূমিপুত্র। দুরন্ত বোলার হলেও বৈভবের হাতে মার খেয়েছেন ইংল্যান্ডের জোফরা আর্চারও! সেবার খুদে বালকের কাছে পেটানি খেতে কেমন লেগেছিল তাঁর? প্রশ্নটা ফাঁস করে দিলেন প্রাক্তন ভারতীয় স্পিনার রবিচন্দ্রন অশ্বিন।
বৈভবকে নিয়ে আর্চার-বাটলারের কথোপকথন ফাঁস করলেন অশ্বিন
বৈভব সত্যিই বিস্ময় বালক। মাত্র 14 বছর বয়সে সূর্যবংশী যা করে দেখালেন তা করে দেখাতে বুকে বল পান না এখনও বহু ক্রিকেটার। এবার সেই বৈভব প্রসঙ্গেই কথা বলতে গিয়ে মুখ খুললেন অশ্বিন। সম্প্রতি নিজের ইউটিউব চ্যানেলের একটি শো-তে ভারতীয় তারকা সঞ্জু স্যামসনের সাথে আড্ডা চলাকালীন বৈভবের প্রসঙ্গ ওঠে।
আর ঠিক সেই সময়েই অশ্বিন বলে বসেন, আমি ওকে নিয়ে ইংল্যান্ড পেসার জোফরা আর্চরের সঙ্গে বাটলারের কথোপকথন শুনেছি। বাটলার জোফরাকে একবার বলেছিলেন, নেটে 14 বছরের একজনের হাতে মার খেয়ে কেমন লাগে? এ কথা শুনে নাকি খানিকটা হেসেছিলেন আর্চার। প্রাক্তন ভারতীয় তারকার বক্তব্য, সেদিন ইংল্যান্ড তারকার মুখ দেখে মনে হচ্ছিল বৈভবের ব্যাটিং অর্ডার সত্যিই ওকে ভাবিয়েছে।
অবশ্যই পড়ুন: ভূপাতিত করা হয়েছে ৬টি পাক যুদ্ধবিমান! ৩ মাস পর পাকিস্তানের ক্ষয়ক্ষতির হিসেব দিল IAF
বৈভবের ক্রিকেট মুগ্ধ করেছে অশ্বিনকেও
ইংল্যান্ড তারকার পাশাপাশি বৈভবকে বল করে দুর্দান্ত অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করেছেন প্রাক্তন ভারতীয় তারকা রবিচন্দ্রনও। সে প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে অশ্বিন বলেন, রাজস্থান বনাম চেন্নাই ম্যাচ চলছিল। ঠিক তখন আমি রাউন্ড দ্য উইকেট বল করেছিলাম বৈভবের দিকে। দেখলাম বলটা কভারের উপর থেকে উড়ে গেল। বুদ্ধি করে পরের বলটা মন্থর রেখেছিলাম। আসলে দেখতে চেয়েছিলাম ও এই বলে কীভাবে ট্যাকেল করে।
বল করতেই দেখলাম, বৈভব অপেক্ষা করে মিডন দিয়ে একেবারে স্মুথলি বলকে তার গন্তব্য দেখানোর চেষ্টা করে শট রান নিল। ঠিক সেই সময়ে বারংবার আমার মনে হয়েছে ওর পারফরমেন্সের কথা। ভেবেছিলাম, হে ঈশ্বর এমন প্লেয়ার কোথা থেকে এলো? অশ্বিনের মতে, তাঁর মতো একজন বোলার সামনে থাকা সত্ত্বেও এক ফোটাও ভয় পাননি ছোট্ট বৈভব। মূলত সে কারণেই সূর্যবংশীর প্রতি ভক্তিতা অনেকটাই বেড়েছে তাঁর!