সৌভিক মুখার্জী, কলকাতা: দীর্ঘ ৯ বছর পর অনুষ্ঠিত হয়েছে রাজ্যের নবম-দশম শ্রেণীর শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা (SSC Exam)। রবিবার সকাল থেকে হাজার হাজার পরীক্ষার্থী ভিড় জমিয়েছে বিভিন্ন পরীক্ষা কেন্দ্রগুলিতে। দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর পরীক্ষা নির্ধারিত সময় নির্বিঘ্নে শেষ হওয়ায় অনেক পরীক্ষার্থী স্বস্তি প্রকাশ করেছে। এমনকি প্রশ্নপত্র অনেকটা সহজ ছিল বলেই জানিয়েছে একাংশ।
তবে এরই মধ্যে উঠে এল বড়সড় অভিযোগ। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী দাবি করছেন যে এই পরীক্ষা নাকি আদৌ স্বচ্ছভাবে হয়নি। তিনি বলেছেন, এটা কোনও শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা হতে পারে না, বরং রাজ্য সরকারের এক প্রহসন। যোগ্যতার ভিত্তিতে এখানে চাকরি হবে না। সবাইকেই ওরা পাশ করাতে চাইছে।
১৫ নম্বর নিয়ে তীব্র ক্ষোভ শুভেন্দুর
শুভেন্দু অধিকারীর অভিযোগের মূল কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে অতিরিক্ত ১৫ নম্বর। তিনি দাবি করছেন, হাতে থাকা ১৫ নম্বর দিয়েই দুর্নীতি শুরু হবে। সবাইকে পাশ করানোর জন্য অস্বাভাবিক হারে পাশের হার বেড়ে যাবে। আর এতে বহু যোগ্য চাকরিপ্রার্থীও বঞ্চিত হবেন বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তিনি।
বিরোধী দলনেতার দাবি করছে, শিক্ষাক্ষেত্রে অতীতের দুর্নীতি ও নিয়োগ কেলেঙ্কারির দাগ এখনো পর্যন্ত মোছা যায়নি। শুভেন্দুর মন্তব্যের পর অনেকের অভিযোগ, রাজ্য সরকারের দেওয়া স্বচ্ছ নিয়োগের আশ্বাসে ভরসা রাখার মতো পরিবেশ তৈরি হয়নি। বরং আগের মতোই রাজনৈতিক প্রভাব আর টাকার খেলা চলতে পারে।
তবে বহু পরীক্ষার্থী জানাচ্ছে, দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে রাজ্যের স্কুল সার্ভিস কমিশন পরীক্ষা নিয়েছে। সময় মতো পরীক্ষা হওয়া তাঁদের কাছে সত্যিই স্বস্তির খবর। অনেকে আশাবাদী, এবার হয়তো সত্যিই চাকরির সুযোগটা মিলবে।
আরও পড়ুনঃ ভারতকে ইসলামিক রাষ্ট্র করার স্বপ্ন, পশ্চিমবঙ্গেও নেটওয়ার্ক! চার্জশিটে ছাঙ্গুর বাবার রহস্য ফাঁস
প্রসঙ্গত জানিয়ে রাখি, আগামী রবিবার অর্থাৎ ১৪ সেপ্টেম্বর স্কুল সার্ভিস কমিশনের দ্বিতীয় দফার পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। আর ঐদিন একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষা হবে। তবে তার আগে বিরোধী দলনেতার এই অভিযোগ রাজনৈতিক উত্তেজনা যে আরও বাড়াচ্ছে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। এখন আগামী কয়েক দিন রাজনীতির পারদ ঠিক কোথায় গিয়ে ঠেকে।