বিক্রম ব্যানার্জী, কলকাতা: পাঞ্জাবে 16টি নাশকতার ঘটনায় নাম রয়েছে তাঁর! এবার সেই খলিস্তানপন্থী জঙ্গি হরপপ্রীত সিং ওরফে হ্যাপি পাসিয়াকে ভারতে ফেরত পাঠানোর তোড়জোড় শুরু করেছে আমেরিকা। জানা যাচ্ছে, গত বছর অর্থাৎ 2024 সালে পাঞ্জাবের গুরুদাসপুরে ভয়াবহ গ্রেনেড হামলাতেও অভিযোগের আঙুল উঠেছিল তাঁর দিকেই!
এবার সেই হ্যাপিকে গ্রেফতার করেছে আমেরিকার অভিবাসন ও শুল্ক দপ্তরের পুলিশ এবং তদন্তকারী সংস্থা FBI এর আধিকারিকরা। আপাতত যা খবর, আমেরিকা থেকে ওই খলিস্তানপন্থী জঙ্গিকে ভারতে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে জোর কদমে।
আমেরিকায় অপরাধমূলক কাজে জড়িত ছিলেন হ্যাপি!
আমেরিকার গোয়েন্দা সংস্থার দাবি অনুযায়ী, ডোনাল্ড ট্রাম্পের দেশে একাধিক অপরাধমূলক কাজে জড়িত ছিলেন খলিস্তানপন্থী জঙ্গি নেতা হরপপ্রীত সিং। জানা যায়, ভারতের পাশাপাশি আমেরিকায় একাধিক অগ্রহণযোগ্য কাজ কর্মের জন্য তাঁর বিরুদ্ধে দায়ের হয়েছে একাধিক মামলা। আর সেই ভিত্তিতে এবার তাকে গ্রেফতার করেছে FBI।
খোঁজ নিয়ে জানা গেল, ভারত এবং আমেরিকা উভয় বন্ধু রাষ্ট্রেই এই হ্যাপির বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। এ প্রসঙ্গে আমেরিকার তদন্তকারী সংস্থা FBI এর প্রধান কাশ পটেল জানিয়েছেন, এই হ্যাপির বিরুদ্ধে ভারত তো বটেই সেই সাথে আমেরিকার একাধিক থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। ওই তদন্তকারী আধিকারিক বলেন, ভারত এবং আমেরিকা দুই দেশের তদন্তকারী সংস্থাই এই জঙ্গির বিরুদ্ধে যৌথভাবে তদন্ত চালাচ্ছিল।
হ্যাপির সাথে যোগ রয়েছে পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থার!
অভিযোগ উঠছে, খলিস্তানপন্থী জঙ্গি হ্যাপির সাথে নাকি ভাল সম্পর্ক রয়েছে জঙ্গিগোষ্ঠী বিকেআই-এর। শুধু তাই নয়, পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থা ISI-এর সাথেও হ্যাপির গোপন সম্পর্ক রয়েছে বলেই খবর। বেশ কয়েকটি রিপোর্ট অনুযায়ী, বর্তমানে আমেরিকার অভিবাসন ও শুল্ক দপ্তর পুলিশের হেফাজতে রয়েছে এই জঙ্গি নেতা। শোনা যাচ্ছে খুব শীঘ্রই তাঁকে ভারতে ফেরত পাঠানো হবে। সেই মর্মেই আমেরিকায় চলছে প্রস্তুতি।
অবশ্যই পড়ুন: শ্রাবণের শুভ সময়ে শিবের আশীর্বাদে লটারি জিতবেন এই দুই জন্ম সংখ্যার ব্যক্তিরা
উল্লেখ্য, গত বছর চন্ডিগড়ের গ্রেনেড হামলায় নাম রয়েছে এই হ্যাপির। প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, ভারতের জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা NIA দীর্ঘদিন ধরে এই হ্যাপিকে হেফাজতে নেওয়ার চেষ্টা করছে। বলে রাখি, হরপপ্রীত সিংকে খুঁজে দিতে পারলে 5 লক্ষ টাকার অর্থ পুরস্কারও ঘোষণা করে ভারতীয় তদন্তকারী সংস্থাটি। তবে আমেরিকার তৎপরতায় এবার সেই আশা পূরণ হতে পারে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকদের।