১৭৬ বছরের ঐতিহ্যে ইতি! চুঁচুড়ায় ডাফ হাই স্কুলে বাংলা তুলে ইংরেজি মাধ্যম করার অভিযোগ

Hoogly

প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: পঠনপাঠন চলাকালীন অবাক কাণ্ড হুগলির এক ঐতিহ্যপূর্ণ স্কুলে! পড়ুয়াদের ক্লাস থেকে বের করে দিয়ে রীতিমত ক্লাসরুম তালাবন্ধ করা অভিযোগ উঠেছে। অচলাবস্থা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের। আর সেই প্রতিবাদে এবার বিক্ষোভে সামিল হলেন ছাত্র থেকে শুরু করে অভিভাবকরা। উত্তাল পরিস্থিতি স্কুল চত্বরে।

ঘটনাটি কী?

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ১৭৬ বছরের পুরোনো হুগলির চুঁচুড়া ডাফ হাইস্কুল বন্ধ না করা নিয়ে অভিভাবকগণ এবং প্রধান শিক্ষক বঙ্কিম মুকুটির মধ্যে এক চাঞ্চল্যকর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে যে এই ঐতিহ্যপূর্ণ স্কুলে প্রাথমিক শ্রেণীকক্ষে তালা ঝোলানো হয়েছে। শুধু তাই নয় পঠনপাঠনের সময় বিনা নোটিশেই সেই স্কুলের দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদের ক্লাসরুম থেকে বাইরে বের করে দিয়ে তালা লাগিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠে এল। আর এই লজ্জাজনক ঘটনায় রীতিমত ক্ষুব্ধ অভিভাবকগণ। শুরু হয় ছাত্র এবং অভিভাবকদের বিক্ষোভ। অচলাবস্থা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের। তবে কি বেসরকারীর পথে যেতে চলেছে এই বিদ্যালয়ও?

প্রধান শিক্ষকের উপর ক্ষোভ প্রকাশ

উল্লেখ্য, ১৮৪৯ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল হুগলির চুঁচুড়া ডাফ হাইস্কুল। জানা যায় কোনো এক জমিদারের হাত ধরেই শুরু হয়েছিল এই বিদ্যালয়। এরপর চলে যায় সরকারের হাতে। এই ঐতিহ্যপূর্ণ সরকার পোষিত স্কুলটির অসংখ্য প্রাক্তনী বর্তমানে অভাবনীয় সাফল্যের মাধ্যমে নিজেদের গড়ে তুলেছেন। দেশের গণ্ডি পেরিয়ে আজ তাঁরা বিদেশেও নিজেদের জায়গা তুলে ধরেছেন। কিন্তু বর্তমানে গত কয়েকদিন ধরেই সেই স্কুলেই শুরু হয়েছে প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে ছাত্রদের বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। অভিভাবকরা দাবি জানাচ্ছে শীঘ্রই যেন বিদ্যালয়ের পঠন পাঠন স্বাভাবিক হয়, ছাত্ররা যেন স্বাভাবিকভাবেই পড়াশোনা চালিয়ে যেতে পারে।

আরও পড়ুন: বাংলা সিনেমায় প্রথম ‘আই লাভ ইউ’ বলেছিলেন তিনিই! কেমন ছিল জয় ব্যানার্জির অভিনয় জীবন?

ক্লাসরুমে তালা বন্ধ করে দেওয়ার অন্যতম কারণ হিসেবে প্রধান শিক্ষক বঙ্কিম মুকুটি জানিয়েছেন যে, স্কুলের ভেতর কিছু প্রশাসনিক কাজকর্ম চলার কারণে তালা বন্ধ করা হয়েছে। কিন্তু কবে থেকে স্বাভাবিক হবে পঠন পাঠন সেই নিয়ে কোনরকম মন্তব্য করেননি তিনি। এদিকে প্রধান শিক্ষকের এই লাগামছাড়া মন্তব্যে ক্ষুব্ধ অভিভাবকেরা বৃহত্তর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। তাঁদের মতে, অবিলম্বে যদি ক্লাসরুমের তালা খুলে ছাত্রদের স্বাভাবিক পঠন-পাঠন শুরু না হয় তাহলে তারা বৃহত্তর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। অবশেষে পুলিশে নিয়ন্ত্রণে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।

Leave a Comment