সহেলি মিত্র, কলকাতা: দীর্ঘ ৭০ বছর বাংলার বুকে দেখা গেল এক অদ্ভুত দৃশ্য। কেউ হয়তো ভাবতেও পারেননি এমনটা হতে পারে। এবার বাংলায় দেখা মিল কস্তুরী হরিণের (Musk deers)। হ্যাঁ একদম ঠিক শুনেছেন। তাও কিনা ৭০ বছর পর বাংলার মাটিতে এই বিরল প্রজাতির হরিণকে দেখতে পাওয়া গিয়েছে। নিশ্চয়ই ভাবছেন কোথায়? তাহলে বিশদে জানতে চোখ রাখুন আজকের এই লেখাটির ওপর।
৭০ বছর পর বাংলায় দেখা মিল কস্তুরী হরিণের
এমনিতে হিমালয়, তিব্বত, সাইবেরিয়া এবং নেপালের উঁচু পাহাড়ে কস্তুরী হরিণ পাওয়া যায় এবং তাদের সংখ্যা এখন অত্যন্ত কম। এই কারণেই কস্তুরীর দাম আকাশছোঁয়া। ভারতেও এর সংখ্যা অনেক কম। এদিকে প্রথমবারের মতো পশ্চিমবঙ্গের নেওরাভ্যালি জাতীয় উদ্যানে কস্তুরী হরিণের উপস্থিতির প্রমাণ নিশ্চিত হয়েছে। ট্র্যাপ ক্যামেরার এক ছবিতে উঠে এসেছে কস্তুরী হরিণের ছবি। যা রাজ্যে এই প্রজাতির অস্তিত্ব সম্পর্কে কয়েক দশকের অনিশ্চয়তার অবসান ঘটিয়েছে। বর্তমানে স্বাভাবিকভাবেই বোন বিভাগের মধ্যে খুশির হাওয়া বইছে।
ভারতের অরুণাচল প্রদেশ, হিমাচল প্রদেশ, জম্মু ও কাশ্মীর, সিকিম এবং উত্তরাখণ্ডে কস্তুরী হরিণের দেখা মেলে। তবে পশ্চিমবঙ্গে তাদের উপস্থিতি সম্পর্কে কেউ নিশ্চিত ছিলেন না। এমনকি সর্বশেষ রেকর্ড অনুযায়ী কস্তুরী হরিণের দেখা মেলে ১৯৫৫ সালে। এরপর প্রায় ৭০ বছর পর মিলল এই হরিণের দেখা।
কেমন দেখতে হয় কস্তুরী হরিণ?
কস্তুরী হরিণ দেখতে ছোট হরিণের মতো , তাদের দেহের গঠন মোটা এবং পেছনের পা সামনের পায়ের তুলনায় লম্বা।এরা প্রায় ৮০ থেকে ১০০ সেমি (৩১ থেকে ৩৯ ইঞ্চি) লম্বা, কাঁধে ৫০ থেকে ৭০ সেমি (২০ থেকে ২৮ ইঞ্চি) উঁচু এবং ওজন ৭ থেকে ১৭ কেজি।কস্তুরী হরিণ তৃণভোজী, পাহাড়ে এবং বনাঞ্চলে বাস করে। সাধারণত মানুষের বাসস্থান থেকে দূরে।
#Endangered musk #deer spotted for the first time in 70 years in #WestBengal.
They are classified as Endangered on the #IUCN Red List due to threats from poaching, primarily for their prized musk glands used in traditional medicine and perfumery.https://t.co/2CjrhHLTya pic.twitter.com/1SNSTMJS0z
— Parveen Kaswan, IFS (@ParveenKaswan) November 25, 2025
আইনি বিধিনিষেধ এবং সুরক্ষা
অনেকেই হয়তো জানেন না, কস্তুরী হরিণ ভারতে একটি কঠোরভাবে সুরক্ষিত প্রজাতি। শিকার কঠোরভাবে নিষিদ্ধ, এবং অনুমতি ছাড়া কস্তুরী ব্যবসা করা অপরাধ হিসেবে বিবেচিত হয়। সরকার এবং বন বিভাগ এটি রক্ষার জন্য বিশেষ সংরক্ষণ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে।