১ আগস্ট থেকে মাসে ১২৫ ইউনিট বিদ্যুৎ ফ্রি, নির্বাচনের আগে উপহার বিহার সরকারের

প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: এখন গ্রাহকরাও পাবে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে ১২৫ ইউনিট বিদ্যুৎ! তাও আবার বিনা ঝঞ্ঝাটে! তবে এই সুবিধা একমাত্র মিলতে চলেছে বিহারে। সম্প্রতি সেই কথা সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে প্রকাশ্যে এনেছেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমার। জানা গিয়েছে ইতিমধ্যেই মন্ত্রিসভার অনুমোদন মিলেছে এই সরকারি উদ্যোগে। তবে এই সুবিধাটি কেবলমাত্র গৃহস্থালী গ্রাহকদের জন্যই উপলব্ধ হবে।

নীতিশ সরকারের বিরাট চমক

চলতি বছরের শেষের দিকে বিহারে বিধানসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে চলেছে। তাই জোর কদমে রাজনৈতিক দলগুলির মধ্যে চলছে ভোট প্রচারের কর্মসূচি। আর সেই পরিস্থিতিতে নির্বাচনের আগে এবার নীতীশ সরকার ভোটারদের আকর্ষণ করার জন্য এক নতুন প্রতিশ্রুতি গ্রহণ করলেন। জানা গিয়েছে এখন থেকে, বিহার সরকার বিনামূল্যে ১২৫ ইউনিট বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে চলেছে। আর এই প্রকল্পের ভিত্তিতে উপকৃত হতে চলেছে প্রায় ১ কোটি ৬৭ লক্ষ পরিবার।

কী বলছেন নীতিশ কুমার?

সম্প্রতি, এক্স হ্যান্ডেলে বিহার মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমার বিহারের সকল নাগরিকের উদ্দেশে জানিয়েছেন যে, “আমরা শুরু থেকেই রাজ্যবাসীর সকলকে সাশ্রয়ী মূল্যে বিদ্যুৎ সরবরাহ করে আসছি। তাই এবার আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে আগামী ১ আগস্ট, ২০২৫ থেকে, অর্থাৎ জুলাই মাসের বিল থেকেই, রাজ্যের সমস্ত গ্রাহকদের ১২৫ ইউনিট পর্যন্ত সম্পূর্ণ বিনামূল্যে দেওয়া হবে। আশা করা যাচ্ছে এর ফলে রাজ্যের মোট ১ কোটি ৬৭ লক্ষ পরিবার উপকৃত হবে।

এছাড়াও তিনি আরও বলেন যে, “আমরা আরও সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে আগামী তিন বছরে, সমস্ত গ্রাহকদের সুবিধা প্রদানের জন্য তাদের বাড়ির ছাদে বা কাছাকাছি কোনো লোকাল এরিয়ায় সৌর বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন করা হবে।”

সৌর বিদ্যুৎ কেন্দ্র নিয়ে নয়া আপডেট

এছাড়াও নীতিশ কুমার এদিন কুটির জ্যোতি প্রকল্প নিয়েও বেশ কিছু মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, “এই প্রকল্পের অধীনে, দরিদ্রসীমার নীচে থাকা পরিবারের জন্য, সৌর বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের সম্পূর্ণ খরচ রাজ্য সরকার বহন করবে। এর অর্থ হল, গার্হস্থ্য গ্রাহকদের আর ১২৫ ইউনিট পর্যন্ত বিদ্যুতের জন্য কোনও খরচ বহন করতে হবে না এবং একই সাথে, আগামী তিন বছরের মধ্যে, রাজ্যে ১০,০০০ মেগাওয়াট পর্যন্ত সৌরশক্তি পাওয়া যাবে।”

আরও পড়ুন: পেট্রোল কিনে মিলছে ‘জল’! নষ্ট হচ্ছে গাড়ি, বাইক! পূর্ব বর্ধমানের পাম্পে হুলস্থূল কাণ্ড

উল্লেখ্য নীতিশ সরকারের এই উদ্যোগকে এক বিশেষ রাজনৈতিক চাল হিসেবে মনে করছে বিশ্লেষকরা। এবং এই সরকারি প্রকল্পের মাধ্যমে রাজ্যের প্রতিটি স্তরের পরিবারগুলোতে নিজের মাহাত্ম্য প্রকাশ করতে চাইছে নীতিশ সরকার। যাতে শহরাঞ্চলের পাশাপাশি গ্রামীণ ভোট ব্যাঙ্কের উপরেও যেন এর প্রভাব বেশি থাকে। এখন দেখার পালা এই প্রকল্প রাজ্যবাসীকে কতটা লাভজনক করে তোলে।

Leave a Comment