প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: বর্তমানে টোটোর জেরে রাস্তায় যানবাহন চলাচল করা খুবই কষ্টকর হয়ে উঠেছে। অলিগলি থেকে শুরু করে রাজপথ, টোটোর দাপট যেন বেড়েই চলেছে। যার ফলে মহা সমস্যায় ভুগতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। পাঁচ মিনিটের রাস্তা অতিক্রম করতে লাগছে অনেক সময়। এই প্রসঙ্গে প্রশাসনের তরফে একাধিক পদক্ষেপ নেওয়া হলেও কিছুতেই সমস্যা মিটছে না। তবে এবার যানজট মেটাতে বড় পদক্ষেপ গ্রহণ করল রাজ্য পরিবহন দপ্তর। রাজ্যে ই-রিকশা তথা টোটোগুলিকে নিয়মের মধ্যে বাঁধতে নতুন নীতি চালু করতে চলেছে প্রশাসন।
টোটো নিয়ে রাজ্যের নয়া নীতি
সরকারি সমীক্ষায় দেখা গিয়েছিল যে শহরে সংখ্যায় যে কটি টোটো নথিভুক্ত থাকার কথা, বাস্তবে শহরের রাজপথে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে একাধিক অবৈধ টোটো। আর এই অনিয়ন্ত্রিত অবৈধ টোটোর সংখ্যার কারণেই বেড়েই চলেছে যানজট, তেমনই পাল্লা দিয়ে বাড়ছে দুর্ঘটনার সংখ্যা। তাই রাজ্যে ই-রিকশা তথা টোটোগুলিকে নিয়মের মধ্যে বাঁধতে নতুন নীতি চালু করতে চলেছে রাজ্য পরিবহণ দফতর। গতকাল অর্থাৎ বুধবার, শিলিগুড়িতে রাজ্যের পরিবহণ মন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী বলেন, ‘‘টোটো নিয়ে নয়া নীতি আনছে রাজ্য। ট্রাফিক পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে জেলার আঞ্চলিক পরিবহণ দফতর থেকে এলাকায় টোটোগুলিকে একটি নিয়মে নথিভুক্ত করা হবে। তাদের টোটোয় বিশেষ QR কোডের স্টিকার লাগানো হবে। খুব তাড়াতাড়ি ১৫ থেকে এক মাসের মধ্যেই কার্যকর হতে পারে এই নিয়ম।”
অত্যাধিক টোটোর নিয়ন্ত্রণে কড়াকড়ি রাজ্য
আনন্দবাজারের রিপোর্ট অনুযায়ী, এদিন শিলিগুড়িতে ‘আমাদের পাড়া আমাদের সমাধান’ প্রকল্পের কাজ দেখতে শিলিগুড়িতে এসে মন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী আরও বলেন যে, পরিবহনের নীতি চালু হলে যে সমস্ত স্বীকৃত সংস্থা গাড়ি বিক্রি করে তাদের থেকে কেনা টোটো অনুমোদন করবে সরকার। আসলে ‘সেন্ট্রাল মোটর ভেহিকেল অ্যাক্ট’ অনুসারে টোটো বা ইকো ফ্রেন্ডলি গাড়ি সবক্ষেত্রে পারমিট লাগে না। তাইতো যে কেউ টোটো কিনছেন। তবে এবার সেক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রণ বেঁধে দিতে চলেছেন মন্ত্রী।
আরও পড়ুন: পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য এবার পরিচয়পত্র দেবে রাজ্য সরকার! চলছে নকশা তৈরির কাজ
প্রসঙ্গত, শিলিগুড়িতে সরকারি কর্মসূচির দেখভাল করতে এসে বাসের সমস্যাও তুলে ধরা হয়। প্রশ্ন ওঠে উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ সংস্থার পুরনো বাস নিয়ে। অনেকক্ষেত্রেই অভিযোগ উঠে আসছে যে যাত্রী ভর্তি বাস চলতে চলতে মাঝপথে রাস্তার মধ্যে খারাপ হয়ে যাচ্ছে, যার ফলে যাত্রীদের ব্যাপক সমস্যা এবং দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এই বিয়ে অনেকবার অভিযোগ আগেও জানানো হয়েছিল। অবশেষে মন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী জানান, নতুন বাস যাত্রীদের স্বার্থে খুব শীঘ্রই কেনা হচ্ছে। ৬ মাস থেকে এক বছরের মধ্যে পুরনো গাড়ির বদলে নতুন গাড়ি আসবে। তখন যাত্রীদের আর সমস্যায় ভুগতে হবে না।