সৌভিক মুখার্জী, কলকাতা: ভারতের মুকুটে নয়া পালক! ২০২৭ সালের আগস্ট মাসেই গুজরাটের সুরাট এবং ভাপির মধ্যে দেশের প্রথম বুলেট ট্রেনের (First Bullet Train of India) চাকা গড়াবে। না, একথা আমরা বলছি না, স্বয়ং রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব নিজেই জানিয়েছেন। জানা যাচ্ছে, প্রাথমিক এই অংশটি মোটামুটি ১০০ কিলোমিটার জুড়ে বিস্তৃত হবে। এর পাশাপাশি ২০২৯ সালের মধ্যেই আহমেদাবাদের সাবরমতী ও মুম্বাইয়ের মধ্যে উচ্চগতির রেল করিডোর নির্মাণ সম্পন্ন হওয়ার পর ধীরে ধীরে এটি ৫০৮ কিলোমিটার রুটে সম্প্রসারণ করা হবে।
কী বললেন রেলমন্ত্রী?
এদিন রেল ভবনে বাল্ক সিমেন্টের টার্মিনালে নীতিমালা নির্ধারণের গণমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব জানিয়েছেন, আহমেদাবাদ এবং মুম্বাইয়ের মধ্যে উচ্চগতির রুট নির্মাণ করা হলে মাত্র ১ ঘন্টা ৫৮ মিনিটেই এই দূরত্ব অতিক্রম করতে পারবে বুলেট ট্রেন। এটিই এখন সবথেকে বড় মাইলফলক। তবে ২০২৭ সালের আগস্ট মাসে উদ্বোধনী রুট হিসেবে সুরাট এবং ভাপির মধ্যে ১০০ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করবে দেশের প্রথম বুলেট ট্রেন।
জানা যাচ্ছে, আহমেদাবাদ-মুম্বাইয়ের মধ্যে ৫০৮ কিলোমিটারের করিডোরে ট্রেনগুলি মোটামুটি ৩২০ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টা গতিবেগে চলবে। আর সেক্ষেত্রে চারটি স্টপেজ থাকবে। গোটা যাত্রাপথ মাত্র ১ ঘন্টা ৫৮ মিনিটেই শেষ করবে দেশের সর্বোচ্চ গতির এই ট্রেন। তবে যদি ট্রেনটি ১২টি স্টেশনে থামে, সেক্ষেত্রে মোট যাত্রার সময় লাগবে ২ ঘন্টা ১৭ মিনিট। এদিকে বৈষ্ণবজি বলেছেন, ২০২৯ সালের ডিসেম্বরের মধ্যেই গোটা নেটওয়ার্ক প্রস্তুত হয়ে যাবে।
জাপানে নির্মিত নাকি দেশীয় ট্রেন পরিষেবায় নামবে?
বলাবাহুল্য, এই রুটে জাপানে নির্মিত নাকি দেশীয়ভাবে তৈরি বুলেট ট্রেনের চাকা গড়াবে সে বিষয়ে এখনও নির্দিষ্ট করে কিছু বলেননি রেলমন্ত্রী। তবে তিনি বলেছেন, আমরা ২০২৭ সালের আগস্ট মাসেই প্রথম ১০০ কিলোমিটার পথে এই বুলেট ট্রেন চালাবো। সুরাটে সাম্প্রতিক পর্যালোচনার সময় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও কাজের গতিতে সন্তুষ্ট হয়েছেন। এমনকি প্রধানমন্ত্রী বলেছেন যে, এই প্রকল্পে আমরা যা কিছু করেছি তা অন্য জায়গায়ও প্রয়োগ করা উচিত। শুধুমাত্র রেলওয়ে এবং অন্যান্য উচ্চগতির প্রকল্প নয়, বরং অন্যান্য ক্ষেত্রেও।
আরও পড়ুনঃ সব সন্তানকে পৈতৃক সম্পত্তির ভাগ দিতে হবে? জানুন উত্তরাধিকারের আসল নিয়ম
তবে রেলমন্ত্রী উল্লেখ করেছেন যে, বুলেট ট্রেন প্রকল্পটি স্থাপন করতে বিভিন্ন রকম জটিলতার মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে। কারণ, বেশ কয়েকটি নকশা বানাতে চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হয়েছে। কিন্তু ভারতীয় রেল একাধিক প্রযুক্তির মাধ্যমে সেগুলিকে মোকাবিলা করেছে। এমনকি দূষণ রোধের জন্যও বিশেষ পরিষেবা চালু করা হবে বলে রেলমন্ত্রী জানিয়েছেন।