প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: SIR আবহেই এবার খবরের শিরোনামে উঠে এল জনগণনার প্রসঙ্গ। ১৫ বছর পর ফের হতে চলেছে জনগণনার কাজ! প্রথমবারের মত এবার গণনার কাজে নাম দাখিল হতে চলেছে অনলাইনে। গোটা প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে বরাদ্দ করা হল ১১ হাজার কোটি টাকা (Union Cabinet Approves Budget For Census)। অর্থাৎ বোঝাই যাচ্ছে এই গোটা প্রক্রিয়া বিশ্বের মধ্যে বৃহত্তম প্রশাসনিক এবং পরিসংখ্যানগত অনুশীলন বলেই মনে করছেন অশ্বিনী বৈষ্ণব। পাশাপাশি, এই জনগণনার সঙ্গেই জাতগণনা জুড়ে দেওয়া হবে বলেই জানিয়েছেন তিনি।
সাংবাদিক বৈঠকে কেন্দ্রিয় রেলমন্ত্রীর
শুক্রবার মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব সাংবাদিক বৈঠকে জানান যে, ২০২৬ সালের এপ্রিল মাস থেকে শুরু হয়ে ২০২৭ সালের ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত চলবে জনগণনার কাজ। মোট দু’টি দফায় জনগণনা হবে। আর গোটা প্রক্রিয়াটাই হবে ডিজিটাল পদ্ধতিতে। এর জন্য নির্দিষ্ট অ্যাপও তৈরি হবে। তিনি জানিয়েছেন, ডিজিটাল জাতগণনার জন্য অ্যান্ড্রয়েড এবং iOS উভয় সংস্করণের মোবাইলের জন্য অ্যাপ্লিকেশনটি তৈরি করা হবে। এছাড়াও জাতগণনার জন্য ৩০ লক্ষ বুথ লেভেল অফিসার এবং অন্যান্য কর্মীরা একেবারে ময়দানে নেমে কাজ করবেন।
জনগণনার জন্য বরাদ্দ কত?
উল্লেখ্য, নিয়ম অনুযায়ী প্রতি দশ বছর অন্তর দেশের জনসংখ্যা গণনা করা হয়ে থাকে। শেষবার দেশে জনগণনা হয়েছিল ২০১১ সালে। তার পর ২০২১ সালে জনগণনা হওয়ার কথা থাকলেও কোভিড অতিমারির কারণে গোটা প্রক্রিয়াটি পিছিয়ে গিয়েছিল। আগেই কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছিল, ২০২৭ সালে জনগণনা করা হবে। ফলে ১৫ বছর পর ফের জনগণনা হতে চলেছে। জানা গিয়েছে গতকাল অর্থাৎ শুক্রবার জনগণনার জন্য অর্থও বরাদ্দ করা হয়েছে যেটি ২০২৭ সালের ১ মার্চ থেকে কার্যকর হবে। জানা গিয়েছে ২০২৭ সালের জনগণনার জন্য ১১ হাজার ৭১৮ কোটি টাকা ব্যয় বরাদ্দ করেছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা।
আরও পড়ুন: শাহজাহান-সাক্ষীর দুর্ঘটনা কাণ্ডে অবশেষে গ্রেফতার ১, এখনও অধরা লরির চালক
অশ্বিনী বৈষ্ণব এদিন সাংবাদিক বৈঠকে জানিয়েছেন যে, প্রথম পর্যায়ে বাসস্থান ও সম্পত্তি গণনা করা হবে। বাড়ি, জমি ও সম্পত্তি সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ করবে কেন্দ্রীয় সরকার। পরের বছর অর্থাৎ ২০২৬ সালের এপ্রিল থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বিভিন্ন রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে এই প্রক্রিয়া চলবে। তারপর বাড়তি ৩০ দিনের প্রাথমিক গণনা সম্পন্ন হবে। এর পর দ্বিতীয় পর্যায়ে শুরু হবে জনগণনা। ২০২৭ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে এই দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজ শুরু হবে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রী। তবে অতিরিক্ত ঠান্ডা এবং তুষারপাতের কারণে কয়েকটি জায়গায় ২০২৬-এর সেপ্টেম্বরের মধ্যেই জনগণনা সেরে ফেলা হবে । যার মধ্যে অন্যতম হল লাদাখ, হিমাচল প্রদেশ, জম্মু ও কাশ্মীর এবং উত্তরাখণ্ড।