বিক্রম ব্যানার্জী, কলকাতা: 210 টাকার লটারিতেই বদলে গেল ভাগ্য। রাতারাতি কোটিপতি হয়ে গেলেন মানবাজার এক নম্বর ব্লকের জিতুজুড়ি গ্রামের বাসিন্দা পেশায় ক্ষেতমজুর অজিত বাউরী (Lottery Winner)। জানা গিয়েছে, ভাগ্য পরীক্ষা করার জন্য একটি ডিয়ার লটারির টিকিট কিনেছিলেন তিনি। পরবর্তীতে বাড়ি ফিরে রেজাল্ট মিলিয়ে দেখতেই একেবারে চোখ কপালে উঠে তাঁর। এক টিকিটেই কোটি টাকা দিতে যান অজিত বাবু। আর তাতেই এখন আনন্দের জোয়ার ক্ষেত মজুরের পরিবারে।
কোটি টাকা জিতেও কপালে চিন্তার ভাঁজ অজিতের
মানবাজারের মানুষ তাঁকে তাঁর সাদাসিধে ব্যক্তিত্বের জন্যই চেনেন। খুব হাসিখুশি স্বভাবের ব্যক্তি অজিত বাবু। পেশা হিসেবে বাধ্য হয়ে বেছে নিয়েছেন খেত মজুরের কাজ। ভাগ্য পরীক্ষার জন্য প্রায়শই লটারি কাটতেন তিনি। তবে এভাবে যে রাতারাতি এক টিকিটেই কোটিপতি হয়ে যাবেন তেমনটা কখনই ভেবে উঠতে পারেননি অজিত বাউরী।
জানা যায়, 210 টাকা দিয়ে লটারি কাটবেন কিনা প্রথমদিকে পুরোপুরি নিশ্চিত হতে পারছিলেন না অজিত বাবু। তবে পরবর্তীতে মনে জোর রেখে কেটেই ফেলেন একটি লটারির টিকিট। পরবর্তীতে বাড়িতে গিয়ে রেজাল্ট মিলিয়ে দেখতেই একেবারে অবাক হয়ে যান তিনি। বুঝতে পারেন, অবশেষে ঈশ্বর মুখ তুলে চেয়েছেন। তাঁর কেনা লটারিতেই এক কোটি টাকা লেগেছে। গোটা ঘটনায় খুশির মেজাজ অজিত বাবুর পরিবারে।
তবে লটারিতে কোটি টাকা জিতলেও চিন্তায় একেবারে ঘুম উড়েছিল ক্ষেতমজুরের। লটারি বিজেতা অজিত বাউরী জানিয়েছেন, “কোটি টাকা তো মুখের কথা নয়। তাই প্রথম দিকে বেশ ভয় হচ্ছিল। পাছে কেউ টিকিটটা চুরি করে নেয় সেই ভয়ে তাড়াহুড়ো করে মানবাজার থানার দ্বারস্থ হই” খোঁজ নিয়ে জানা গেল, লটারি কেটেও একেবারে শান্তি হারিয়েছিলেন অজিত বাবু। কোটি টাকা কীভাবে নিজের ব্যাঙ্কে রাখবেন সেই চিন্তাতেই একেবারে ঘুম উড়েছিল তাঁর। তবে পুলিশের সহায়তায় আপাতত নিশ্চিন্ত লটারি বিজেতা অজিত বাউরী।
অবশ্যই পড়ুন: ১৯ বছর বয়সী এই ভারতীয় উইকেট কিপারে নজর KKR-র!
এই টাকা দিয়ে কী করবেন অজিত?
ক্যামেরার মুখোমুখি হয়ে মানবাজারের লটারি বিজেতা অজিত বাউরী জানিয়েছেন, ভাগ্য বদলাতে মাঝেমধ্যেই লটারি কাটতেন। তবে এভাবে যে তিনিও একদিন কোটি টাকা জিতে যাবেন তেমনটা কখনই ভাবেননি। কিন্তু এই অর্থ দিয়ে ঠিক কী করবেন সেই পরিকল্পনা এখনও করে উঠতে পারেননি খেতমজুর। তবে আগামী দিনে পরিবারের আর্থিক অলটন যে দূর হবে তা নিয়ে আশাবাদী অজিত বাবু। এ প্রসঙ্গে অজিত বাউরীর ভাই প্রসেনজিৎ বাউরী জানিয়েছেন, দাদা লটারিতে কোটি টাকা জেতায় অত্যন্ত খুশি তিনি। পরিবারে যে অর্থকষ্ট ছিল সেটা দূর হবে বলেই আশা রাখছেন প্রসেনজিৎ।