প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: গত বৃহস্পতিবার সায়েন্স সিটিতে বঙ্গ বিজেপির নয়া রাজ্য সভাপতি হিসেবে শমীক ভট্টাচার্যকে অভিনন্দন জানাতে সংবর্ধনার অনুষ্ঠান চালনা করা হয়েছিল। এত বড় অনুষ্ঠানে দলের বড়, মাঝারি সব নেতা উপস্থিত থাকলেও একমাত্র ছিলেন না দলের প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
জানা গিয়েছে, দিলীপ ঘোষকে নাকি আমন্ত্রণই জানানো হয়নি সেই অনুষ্ঠানে। তাতেই তাকে নিয়ে নানা জল্পনা তৈরি হয়েছিল।। এমনকি তৃণমূল যোগ নিয়ে উঠে এসেছে জল্পনা।
২১ জুলাই নিয়ে নানা জল্পনা
যদিও জল্পনার মাঝেই গত শনিবার নয়া রাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছিলেন যে দিলীপ ঘোষ ছিলেন, আছেন, থাকবেন। তাই বেশ জল্পনা কাটলেও রবিবার অর্থাৎ গতকাল স্বয়ং দিলীপ ঘোষের মন্তব্য ফের উস্কানি দিল আরও এক জল্পনার। কিছুদিন আগেই দিলীপবাবু প্রাতঃভ্রমণে গিয়ে সাংবাদিকদের জানিয়েছিল যে ২১ জুলাই বড় একটা চমক আসতে চলেছে। আর সেই সূত্র ধরেই এবার সাংবাদিকরা তাঁকে সেই চমক নিয়ে প্রশ্ন করল।
কী বলছেন দিলীপ ঘোষ?
এদিন সেই প্রশ্নের জবাবে দিলীপ ঘোষ জানান, “একুশে জুলাই একটা হবে নাকি, অনেক মঞ্চ হবে। বিজেপিরও মঞ্চ হবে।” এরপরই স্বাভাবিকভাবে প্রশ্ন ওঠে যে, তৃণমূলের মঞ্চে দিলীপবাবুকে দেখা যাবে কিনা! সেই সময় রাজনৈতিক মহলে জল্পনা উস্কে দিয়ে বলেন দেখা যাক। আর তাতেই প্রশ্ন উঠছে তবে কি এবার এই দাপুটে নেতা বিজেপি ছেড়ে যোগ দিতে চলেছে তৃণমূল কংগ্রেসে! যদিও উত্তরটি একমাত্র মিলবে ২১ এর মঞ্চে।
যদিও এইমুহূর্তে দলীয় সাংগঠনিক কর্মসূচি থেকে আপাতত দূরেই আছেন দিলীপ ঘোষ। আসলে দিঘার জগন্নাথ মন্দিরে উদ্বোধনে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দিলীপের সঙ্গে সাক্ষাৎ এর ভিডিও প্রকাশ্যে আসা মাত্রই দলের একাংশের নিশানায় পড়েন দিলীপ ঘোষ। এরপর জল গড়িয়েছে অনেকদূর। নানা কটাক্ষ করা হয়েছিল তাঁকে নিয়ে। তবে চুপ থাকেনি দিলীপ। সেই কটাক্ষের একেবারে সপাটে জবাব দিয়েছিলেন তিনি। এবার দেখার পালা ২৬ এর আগেই পালা বদল হয় নাকি তাঁর।
আরও পড়ুন: লোকাল ট্রেনে সিনিয়র সিটিজেনদের জন্য আলাদা কামরা, বড় সিদ্ধান্ত নিল রেল
শমীকের নির্বাচন বার্তা
এদিকে ছাব্বিশের বিধানসভা ভোটের আগে, রাজ্য বিজেপির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব নিয়েই কার্যত বিরোধীদের মহাজোটের বার্তা দিলেন শমীক ভট্টাচার্য। সমাজ থেকে তৃণমূলকে পুরোপুরি হঠানোর ব্যবস্থা নেওয়ার বার্তা দিয়েছে শমীক।
তিনি জানান, “পতাকাগুলো কিছুদিনের জন্য একটু আলমারির ওপরে তুলে রাখুন। পথে নামুন, তৃণমূলকে সরান।” শুধু তাই নয়, যেখানে শুভেন্দু অধিকারী হিন্দু বাঁচাও স্লোগান দিচ্ছেন সেখানে শমীক জানাচ্ছেন, বিজেপির লড়াই সংখ্যালঘুর বিরুদ্ধে নয়।