২২ মিনিটও টেকেনি, তবুও এশিয়ার ‘আয়রন ম্যান’ আসিম মুনির! ফাঁস পাকিস্তানের ভাঁওতাবাজি

Asim Munir

সৌভিক মুখার্জী, কলকাতা: সম্প্রতি পাকিস্তান সংবাদমাধ্যমের এমন কিছু হাস্যরস সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘুরে বেড়াচ্ছে, যা শুনলে দম বন্ধ হওয়ার মতো অবস্থা হবে! হ্যাঁ, তারা বলছে, ওয়াশিংটন টাইমস নাকি পাকিস্তানের ফিল্ড মার্শাল আসিম মুনিরকে (Asim Munir) ‘আয়রন ম্যান অফ এশিয়া’ এবং দক্ষিণ এশিয়ার সবথেকে প্রভাবশালী মুখ বলে উল্লেখ করেছে…!

তবে আদতে আমেরিকার সেই সংবাদপত্রে এরকম কোনো শব্দের অস্তিত্বই নেই। মনে করা হচ্ছে, পাকিস্তান নিজেদের ঢাক নিজেরাই পেটানোর জন্য এই সমস্ত কারবার করে বেড়াচ্ছে। হ্যাঁ, নিজেদের প্রচার করতেই নিজেদের নাগরিকদের সামনে ভুলভাল তথ্য সামনে আনছে!

আসলে কী লেখা হয়েছিল ওয়াশিংটন টাইমসে?

আদতে যে রিপোর্টের ভিত্তিতে এত ঢাকঢোল পেটানো, তা মার্কিন সরকারের কোনো ঘোষণাই নয়। এমনকি কোনো প্রভাবশালী আমলা বা সেনা কর্মকর্তার মন্তব্য তো নয়ই। শুধুমাত্র একটি অপিনিয়ন আর্টিকেল, যেখানে পাকিস্তানের পররাষ্ট্র নীতি নিয়ে কিছু মতামত প্রকাশ করা হয়েছে।

তবে সেটিকেই পাকিস্তানি মিডিয়া সরাসরি নিজেদের প্রশংসা হিসেবে তুলে ধরছে। আর নিজেদের জনগণকে বোঝাতে চাইছে যে, আমেরিকা নাকি তাদের পাশে দাঁড়িয়েছে। সেনাপ্রধানকে শ্রেষ্ঠ বলে তাঁর দাপট বোঝাতে চাইছে। তবে বাস্তবে এর সঙ্গে সত্যের কোনও সম্পর্ক নেই বললেই চলে।

22 মিনিটও ধোপে টেকেনি পাকিস্তানের আয়রন ম্যান

সবথেকে হাসির ব্যাপার, ভারতের ব্রহ্মোস ক্ষেপণাস্ত্র হামলার ঘটনা। পাকিস্তান যতই ধামা চাপা দিক না কেন, বাস্তবে এর ক্ষতি তারা ঠেকাতে পারেনি। হ্যাঁ, অপারেশন সিঁদুরে ভারতীয় সেনার আঘাতে পাকিস্তানের একাধিক সামরিক বিমানঘাঁটি কার্যত গুঁড়িয়ে গিয়েছিল।

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এও মন্তব্য করেছিলেন যে, পাকিস্তান আমাদের সামনে মাত্র 22 মিনিটও টিকতে পারেনি। শেষ পর্যন্ত নিজেরাই আত্মসমর্পণ করেছে। আর আজকের দিনে দাঁড়িয়ে সেনাপ্রধান আসিম মুনিরকে আয়রন ম্যান বানানোর চেষ্টা করছে পাকিস্তান। মানে নিজেদের ব্যর্থতা মানুষ কীভাবে ঢাকতে পারে তা ওদের না দেখলে বোঝা যাবে না।

আরও পড়ুনঃ ‘দাঙ্গাবাজ দেখা মাত্রই গুলি!’ শান্তিতে দুর্গাপুজো করতে অর্ডার অসমের মুখ্যমন্ত্রীর

ট্রাম্পের সাথে সাথে দৌড়ঝাঁপ

এদিকে এই ঘটনার পর আসিম মুনির বারবার আমেরিকা সফরে গিয়েছেন। ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক করে তাঁদের সাথে পাকিস্তানের সম্পর্ক আরও ঘনিষ্ঠ করতে চাইছে মুনির। অন্যদিকে ভারতের বিরুদ্ধে আদায় কাঁচকলায় সম্পর্কে মেতেছে তাঁরা। সবথেকে বড় ব্যাপার, বাইরে যতই ঢাকঢোল পেটাক না কেন, দেশের অভ্যন্তর দারিদ্র্যতা, মুদ্রাস্ফীতি আত বেকারত্বের কোপে ধুঁকছে।

Leave a Comment