সৌভিক মুখার্জী, কলকাতা: ব্যাঙ্কের ভেতরের গোপন তথ্য কখনো কখনও প্রকাশ্যে চলে আসে সামান্য চিঠির মাধ্যমেই! হ্যাঁ, এমনই এক ঘটনা ঘটল ইন্ডাসইন্ড ব্যাঙ্কের (IndusInd Bank) সাথে। প্রাক্তন চিপ ফাইনান্সিয়াল অফিসার গোবিন্দ জৈনের অভিযোগে এবার নড়েচড়ে বসল ব্যাঙ্কিং মহল।
ঘটনাটি কী?
আসলে গত 26 আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে পাঠানো একটা চিঠিতে তিনি বিস্ফোরক দাবি করেছিলেন। তিনি জানিয়েছিলেন, প্রায় এক দশক ধরেই নাকি ব্যাঙ্কের ট্রেজারি কার্যক্রমে চলছিল 2600 কোটি টাকার অনিয়ম। আর বছরের পর বছর ধরে তিনি নাকি একাই আপত্তি জানিয়ে এসেছেন। কিন্তু তার কোনও সুরহা মেলেনি। অনিয়ম রুখতে যাওয়া মানুষটি নিজেই ক্ষোভের শিকার হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন।
গোবিন্দ জৈন অভিযোগ করছেন, শুধুমাত্র টাকা-পয়সার হিসেবে গরমিল নয়, বরং শীর্ষ কর্মকর্তাদের কাজকর্মেও দেখা গিয়েছিল গরমিল। তাঁর বক্তব্য, ব্যাঙ্কের বোর্ড চেয়ারম্যান সুনীল মেহতা এবং ঘনিষ্ঠ কয়েকজন কর্মকর্তা হুমকিও দিয়েছিল। কেউ প্রশ্ন তুললে তাদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানানো হয়েছিল। পাশাপাশি যারা জৈনকে সমর্থন করেছিল, তাদেরকে ধীরে ধীরে সরিয়ে দেওয়া হয়।
BREAKING NEWS 📢
2600 करोड़ का बैंक घोटाले का पर्दाफाश, डूबने की कगार पर IndusInd Bank!
आरोप है कि बैंक के CEO सुमन कत्पलिया, Deputy CEO अरुण खुराना और कई चार्टर्ड अकाउंटेंट्स की मिलीभगत से यह फाइनेंशियल फ्रॉड अंजाम दिया गया।
इस मामले की जांच अब SEBI, कॉमर्स मिनिस्ट्री समेत… pic.twitter.com/fK6juexWSX
— 𝙈𝙪𝙧𝙩𝙞 𝙉𝙖𝙞𝙣 (@Murti_Nain) August 3, 2025
ব্যাঙ্কের অস্বীকার
তবে ইন্ডাসইন্ড ব্যাঙ্ক এই অভিযোগগুলি একেবারেই মানতে নারাজ। তারা দাবী করছে, গোবিন্দ জৈনর বক্তব্য সম্পূর্ণ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং কোনও যুক্তি নেই। ব্যাঙ্কের বক্তব্য অনুযায়ী, 2025 সালের মার্চ মাস থেকে মে মাসের মধ্যে অনিয়ম নিয়ে শেয়ার বাজারে বিভিন্ন রকম তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে। স্থানীয় সংস্থার মাধ্যমে অডিট করানো হয়েছে। এমনকি SFIO ও মুম্বাই পুলিশের ইকোনোমিক অফেন্স উইং-এ অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। ব্যাঙ্ক দাবি করছে তাদের বোর্ড সততার সঙ্গেই কাজ করছে। বরং ভরত জৈন তদন্ত প্রক্রিয়াতে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে।
আরও পড়ুনঃ বেসরকারি কর্মীদের ডিউটি টাইম ১ ঘণ্টা বৃদ্ধি! বড় সিদ্ধান্ত রাজ্য সরকারের
2600 কোটি টাকার কেলেঙ্কারি
তবে বাস্তব চিত্র সম্পূর্ণ আলাদা। অডিটে দেখা যাচ্ছে, মাইক্রোফাইনান্স ঋণের আয় বাড়িয়ে দেখানো হয়েছে। এমনকি অভ্যন্তরীণ ডেরিভেটিভস থেকে প্রায় 1960 কোটি টাকা কৃত্রিম লাভ দেখানো হয়েছে। ফলত চলতি বছরের মার্চ মাসে ব্যাঙ্কের ক্ষতি দাড়িয়েছে 2000 কোটি টাকা। আর এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই শেয়ার বাজারে ইন্ডাসইন্ড ব্যাঙ্কের শেয়ার একধাক্কায় 27% তলানিতে ঠেকেছে, যা 1997 সালের পর সবথেকে বড় ধস।