২৮ বছর পর মৃত ব্যক্তি ফিরল ঘরে! SIR আবহে অবাক কাণ্ড বাগদায়

Bagda

প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: নভেম্বরের ৪ তারিখ থেকেই রাজ্য জুড়ে শুরু হয়েছে SIR প্রক্রিয়া। আর তাই নিয়ে রাজনৈতিক তরজা যেমন বাড়ছে ঠিক তেমনই গত কয়েক দিন ধরে নানা অভূতপূর্ব ঘটনাও ঘটছে বাংলায়। এই SIR নিয়ে কেউ ২৫ বছর পর বাড়ি ফিরছে, তো কোথাও নথির টানে তিন দশক পরে স্ত্রীর কাছে ফিরছেন বৃদ্ধ। শুধু তাই নয় কেউ আবার নথি জোগাড়ের চিন্তায় আত্মহত্যাও করে ফেলছেন বলে অভিযোগ। এবার এই SIR নিয়ে ফের ঘটল আজব ঘটনা ঘটল বাগদায় (Bagda)। ‘মৃত’ প্রৌঢ় ২৮ বছর পর ফিরে এলেন SIR এর দোহাই নিয়ে।

ঘটনাটি কী?

স্থানীয় রিপোর্ট অনুযায়ী, SIR আতঙ্ক নিয়ে যেখানে সবাই জর্জরিত, সেখানে উত্তর ২৪ পরগনার বাগদায় ঘটল আজব ঘটনা, মৃত ব্যক্তি ফিরে এল পরিবারের কাছে। প্রৌঢ়কে দেখে হতবাক পরিবার ও পরিজনরা। জানা গিয়েছে, জগবন্ধু মণ্ডল নামে এক প্রৌঢ় কাজের সন্ধানে গুজরাটে গিয়েছিলেন দুই দশক আগে। সঙ্গে যদিও গিয়েছিল এলাকার আরও কয়েকজন। কিন্তু বাকিরা ফিরলেও জগবন্ধু বাবু আর ফেরেননি। এদিকে দিনের পর দিন অপেক্ষায় ছিলেন স্ত্রী ও দুই সন্তান। স্বামী যাতে সুস্থ ভাবে বাড়ি ফিরে আসে তার জন্য ওঝা-জ্যোতিষীদের কাছেও গিয়েছেন। কিন্তু কোনো কিছুতেই লাভ হয়নি। শেষে বছর ২ আগে প্রৌঢ়ের শ্রাদ্ধানুষ্ঠান করে নেয় পরিবার। কিন্তু সেখানে ঘটে টুইস্ট।

দ্বিতীয় বিয়ের দাবি অস্বীকার করল প্রৌঢ়

জগবন্ধু প্রৌঢ়ের পরিবারের কাছে খবর যায় তিনি নাকি খবর দ্বিতীয় বিয়ে করে বাঁকুড়ায় সংসার পেতেছেন। কিন্তু তার কোনো সঠিক তথ্য পাওয়া যায়নি। শেষে এবার মৃত প্রৌঢ় নিজেই হাজির হলেন পুরোনো ঠিকানায়। তাও আবার SIR এর নথির টানে। গতকাল অর্থাৎ রবিবার সকালে আচমকা বাগদার বাড়িতে এসে হাজির হন জগবন্ধু। জানা যায়, ২০০২ সালের ভোটার তালিকায় যেহেতু তাঁর নাম নেই তাই তাঁর বাবার নথি খুঁজতেই বাড়িতে হাজির হয়েছেন জগবন্ধু। এদিকে দ্বিতীয় বিয়ের দাবি অস্বীকার করলেও দেখা যায় ভোটার লিস্টে সুলেখা মণ্ডল নামে এক মহিলার পাশে স্বামী হিসেবে রয়েছে জগবন্ধুর নাম। এলাকা জুড়ে শুরু হয়ে যায় শোরগোল।

আরও পড়ুন: পরের বছর মার্চেই শেষ হবে কাজ! SIR নিয়ে বড় নির্দেশ কমিশনের

প্রসঙ্গত, গত ২৭ অক্টোবর থেকে রাজ্য জুড়ে এসআইআর ঘোষণার পরে শুরু হয়েছে নানা অবাক কাণ্ড, এমনকি বিভিন্ন বৃদ্ধাশ্রমেও বাবা মাকে দেখতে আসছেন একসময় ছেড়ে চলে যাওয়া ছেলে মেয়েরা। তার কারণ অনেকের কাছে এসআইআরের প্রয়োজনীয় নথি নেই। সে সবের জন্য বাবা-মায়ের কাছে ছুটছেন তাঁরা। তাই এককথায় বলা যায় এই বিতর্কিত SIR এর কারণে হঠাৎ করে সন্তানদের কাছে যেন ‘মূল্যবান’ হয়ে উঠেছেন বৃদ্ধাশ্রমে থাকা বাবা-মায়েরাও।

Leave a Comment