প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: বছর ঘুরলেই রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। তাই সেক্ষেত্রে হাতে বাকি আছে মাত্র কয়েকটি মাস। তাইতো এই কয়েকটি মাসকে কাজে লাগাতে এখনই ভোট প্রচারের উদ্দেশ্যে উঠে পড়ে লেগেছে শাসক দল থেকে বিরোধী দলগুলি। বিভিন্ন কর্মসূচি নিয়ে বেশ ব্যস্ত রাজনৈতিক দলগুলি। এমতাবস্থায় ফের খবরের শিরোনামে উঠে এল দুর্গাপুরে পুরনিগম নির্বাচন (Durgapur Municipal Election)। কবে হবে ভোট? তাই নিয়ে এবার মুখ খুললেন ফিরহাদ হাকিম।
কয়েক বছর ধরে হচ্ছে না ভোট
উল্লেখ্য দুর্গাপুর পুরনিগমের বোর্ডের মেয়াদ শেষ হয়েছে ৩ বছর আগে। এরপর এখানে ভোট নিয়ে তেমন কোন প্রসঙ্গ উঠে আসেনি। যার ফলে এলাকার গুরুত্বপূর্ণ কাজ যেমন রেসিডেন্সিয়াল সার্টিফিকেট থেকে শুরু করে একাধিক কাজ করলে যাচ্ছে, যার ফলে বেশ সমস্যায় পড়তে হয়েছে সাধারণ মানুষকে। তাই বারংবার প্রশ্ন উঠছে কেন দুর্গাপুর পুরনিগমে ঠিকভাবে নির্বাচন হচ্ছে না। আর এবার সেই প্রশ্নের জবাব দিল মেয়র ফিরহাদ হাকিম।
নতুন ভবনের উদ্বোধন ফিরহাদের
গতকাল অর্থাৎ বুধবার দুর্গাপুরে আসেন পুর এবং নগর উন্নয়ন মন্ত্রী তথা মেয়র ফিরহাদ হাকিম। সেখানে আসানসোল দুর্গাপুর উন্নয়ণ পর্ষদের দুর্গাপুর দপ্তরের সংস্কারের পর নতুন ভবনের উদ্বোধন করেন তিনি। শিল্পপতিদের সঙ্গে চলে একাধিক নানা জরুরি বৈঠক। ADDA -এর ভূয়সী প্রশংসা করে ফিরহাদ হাকিম বলেন, যেভাবে আসানসোল ও দুর্গাপুরে এডিডিএ কাজ করছে তা প্রশংসার দাবি রাখে। এছাড়াও এই শহরে নতুন শিল্প গড়ে তোলার জন্য কী কী সমস্যা রয়েছে আর কী কী পরিকাঠামো দরকার সব নিয়েই চলে আলোচনা। আর সেই আলোচনার মাঝেই উঠে আসে দুর্গাপুর পুরনিগমে নির্বাচন প্রসঙ্গ।
আরও পড়ুন: ফলপ্রকাশের আগেই জানা যাবে সঠিক উত্তর! নয়া পদ্ধতি আনল উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ
কী বললেন মেয়র?
এদিন দুর্গাপুর পুরনিগমে নির্বাচন নিয়ে কথা উঠতেই মেয়র ফিরহাদ হাকিম সম্পূর্ণ দোষ জাতীয় নির্বাচন কমিশনের উপর ঢেলে দেয়। তাঁর মতে, “ দুর্গাপুর পুরনিগমে কেন বছরের পর বছর ধরে নির্বাচন হচ্ছে না তার একমাত্র সঠিক কারণ বলতে পারবে জাতীয় নির্বাচন কমিশন।” অর্থাৎ তিনি এটাই বলতে চেয়েছেন যে এই নির্বাচন বিলম্ব হওয়ার পিছনে শাসকদলের কোনরকম হাত নেই। তবে এই নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি গেরুয়া শিবির। দুর্গাপুর পশ্চিমের বিজেপি বিধায়ক লক্ষ্মণ ঘোড়ুই বলেন, ”২০১৭ সালের ভোটে লুটের কথা মানুষ ভুলে যায়নি। বিধানসভা ও লোকসভায় দুর্গাপুরের মানুষ তার জবাব দিয়েছে। পরের ভোটেও ফের তৃণমূল জবাব পাবে।”