প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: অবশেষে বঙ্গবাসীর ভাগ্যের চাকা ঘুরল! এবার কমবে বেকারত্বের হার। তবে শুধু বেকারত্ব নয়, তার সঙ্গে বঙ্গের আর্থিক উন্নয়ন বাড়বে উচ্চগতিতে। কারণ বাংলায় এবার বিরাট জ্বালানি ভান্ডারের খোঁজ দিল কেন্দ্রীয় সরকার। যার মূল্য আনুমানিক ৪১ হাজার কোটি টাকা! চক্ষু ছানাবড়া সকলের, কোথায় রয়েছে সেই গুপ্তধন?
খনিজ ভান্ডার নিয়ে বড় আপডেট
গত ২১ জুলাই রাজ্যসভার সাংসদ শমীক ভট্টাচার্য রাজ্যের জ্বালানি সম্পদ নিয়ে কেন্দ্রের পেট্রোলিয়াম ও প্রাকৃতিক গ্যাস মন্ত্রকের কাছে প্রশ্ন করেছিলেন। সেই প্রশ্নের জবাবে কেন্দ্রের তরফে এক নজরকাড়া তথ্য উপস্থাপন করা হয়। যেখানে জানানো হয়েছে, সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গে নতুন দু’টি তেল ও গ্যাস ব্লকের আবিষ্কার হয়েছে। যার মধ্যে একটি উত্তর ২৪ পরগণার কাঁকপুলে অবস্থিত এবং অপরটি নদীয়ার রানাঘাটে রয়েছে বিরাট জ্বালানি ভাণ্ডার। কেন্দ্রের তরফে আশা করা যাচ্ছে যে এই ব্লক দু’টি থেকে আনুমানিক ০.৯৮ মিলিয়ন মেট্রিক টন তেলের সমতুল্য শক্তি মিলবে। যার আর্থিক মূল্য প্রায় ৪১,০৭০ কোটি টাকা।
রাজ্যের সামগ্রিক উন্নয়নে বড় বদল
জানা গিয়েছে, এই বিপুল জ্বালানি ভান্ডার ONGC-এর অধীনে WB-ONN-2005/4 নম্বর ব্লকে আবিষ্কার হয়েছে যা রাজ্যের কাছে বিরাট বড় গুপ্তধনের সমান। কারণ এই জ্বালানি ভান্ডার রাজ্যের সামগ্রিক উন্নয়নে যেমন বড় বদল আনবে ঠিক তেমনই আয়ও দ্বিগুণ বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে। শুধু রাজ্য নয়, একইসঙ্গে গোটা দেশের জ্বালানি শক্তির ভান্ডারও আরও বাড়বে বলেই মনে করছে কেন্দ্রের পেট্রোলিয়াম ও প্রাকৃতিক গ্যাস মন্ত্রক। এদিকে সম্প্রতি দক্ষিণ ২৪ পরগনার বারুইপুরে মাটির গভীরে বিপুল পরিমাণ খনিজ তেল ও প্রাকৃতিক গ্যাসের ভান্ডারের খোঁজ মেলায় সেখানে শীঘ্রই খনন শুরু করতে চলেছে ONGC।
আরও পড়ুন: মহারাষ্ট্রে বাঙালি শ্রমিককে নৃশংস ভাবে খুন! দেহ টুকরো করে ভাসিয়ে দেওয়া হল জলে
ইতিমধ্যেই বারুইপুরে খনন কাজ করার জন্য স্থানীয় কৃষকদের কাছ থেকে তিন বছরের চুক্তিতে জমি নেওয়া হয়েছে। জমির বিনিময়ে কৃষকরা প্রতি বিঘা জমির জন্য ২ লক্ষ টাকা করে পাবেন বলে জানা গিয়েছে। বারুইপুর পূর্বের বিধায়ক বিভাস সর্দার জানিয়েছেন, প্রাথমিক ভাবে ১০০ একর জমিতে কাজ শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যেই সেখানে এসে গিয়েছে খনন করার জন্য যন্ত্র।
আর এই সমস্ত কাজ পর্যালোচনা করার জন্য অফিসারদের থাকার ঘর, কনফারেন্স রুম-সহ অন্যান্য পরিকাঠামোও গড়ে তোলা হচ্ছে। আশা করা যাচ্ছে যদি এই প্রকল্প সফলতা অর্জন করে তাহলে এলাকার আর্থিক সমৃদ্ধি যেমন বাড়বে ঠিক তেমনই কর্মসংস্থানের সুযোগও অনেকটাই বাড়বে।