বিক্রম ব্যানার্জী, কলকাতা: “ভারতই ভবিষ্যৎ।” এমন কথাতেই গতকাল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সাথে বৈঠক শেষে ভারতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স প্রযুক্তির উন্নয়নে দেড় লক্ষ কোটি টাকা বিনিয়োগের ঘোষণা দেন আমেরিকান সংস্থা মাইক্রোসফটের সিইও সত্য নাদেলা। এবার সেই একই পথে হেঁটে ভারতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সহ অন্যান্য খাতে আরও বড় বিনিয়োগের ঘোষণা দিল ই-কমার্স সংস্থা আমাজন (Amazon Investment In India)। মঙ্গলবার আমেরিকান সংস্থাটির তরফে একেবারে স্পষ্ট জানানো হয়েছে, 2030 সালের মধ্যে ভারতে সংস্থার সব ধরনের ব্যবসায় 35 বিলিয়ন ডলার অর্থাৎ ভারতীয় মুদ্রায় 31 লক্ষ কোটি টাকারও বেশি বিনিয়োগ করা হবে।
ভারতেই আস্থা রাখছে আমাজন
বিগত দিনগুলিতে ভারতে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বারবার আমেরিকান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের তরফে কড়া নিষেধাজ্ঞা সহ একাধিকবার চোখ রাঙানি দেখেছে আমেরিকান সংস্থাগুলি। কিন্তু তা সত্বেও ভারতে ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে বিনিয়োগে পিছু হটেনি তারা। এর আগে অ্যাপেল ভারতের বিপুল পরিমাণ বিনিয়োগের কথা জানিয়েছিল। এরপর একে একে সেই পথ ধরেই এগিয়ে এসেছে মাইক্রোসফট থেকে আমাজন। বিগত 15 বছরে ইতিমধ্যেই ভারতে প্রায় 40 বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করে ফেলেছে জেফ বেজোসের সংস্থাটি।
এবার এদেশে নিজেদের ব্যবসায়িক ক্ষেত্রকে আরও বাড়াতে এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা মজবুত করতে মঙ্গলবার নয়া দিল্লিতে ষষ্ঠ আমাজন সম্ভব শীর্ষ সম্মেলনে নতুন বিনিয়োগের বিষয়টি ঘোষিত হয়। ওই অনুষ্ঠানে ভারতে আমাজনের অর্থনীতি বিষয়ক একটি রিপোর্ট প্রকাশ করে পরামর্শ সংস্থা কিস্টোন স্ট্র্যাটেজি। সেখানেই একেবারে স্পষ্ট জানানো হয়, কর্মচারীদের আর্থিক সাহায্য সহ পরিকাঠামোর উন্নয়ন এবং অন্যান্য ক্ষেত্রে বিনিয়োগে ভারতের বৃহত্তম বিদেশি বিনিয়োগকারী হয়ে উঠেছে আমাজন।
অবশ্যই পড়ুন: IPL 2026 নিলামেও জায়গা হল না, কেরিয়ার শেষ হতে পারে KKR প্রাক্তনীর
বলে রাখি, জনপ্রিয় ই-কমার্স সংস্থা আমাজন যে 35 বিলিয়ন ডলার বা 31 লক্ষ কোটি টাকা বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে তা আগামী 2030 সালের মধ্যে পূরণ করা হবে। অর্থাৎ এই সময়ের মধ্যেই এদেশে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর উন্নয়ন, রপ্তানি বৃদ্ধি এবং কর্মসংস্থান তৈরির লক্ষ্যে 35 বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করবে এই সংস্থা। অনেকেরই আশা, আমেরিকার সংস্থাটির এমন পদক্ষেপে কাজ পাবেন ভারতের বহু যোগ্য বেকার যুবক-যুবতী। আগামী 5 বছরে কমপক্ষে 10 লক্ষ কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দিতে পারে এই! শুধু তাই নয়, ডোনাল্ড ট্রাম্পের দেশের সংস্থার ভারতে আস্থা রাখার সিদ্ধান্তের মধ্যে দিয়ে গোটা বিশ্বে বড় বার্তা যাবে বলেই মনে করছেন ওয়াকিবহাল মহল।