বিক্রম ব্যানার্জী, কলকাতা: বৃহস্পতিবারের রাতে প্রতিপক্ষ শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ঝড় তুললেন আফগানিস্তানের পোড় খাওয়া ক্রিকেটার মহম্মদ নবী (Mohammad Nabi)। লঙ্কান বোলারদের তাক করে একের পর এক বাউন্ডারি, ওভার বাউন্ডারি দেখালেন তিনি। আর তাতেই প্রতিদ্বন্ধী দলকে 170 রানের লক্ষ্য ছুঁড়েছে আফগান বাহিনী।
নবী ঝড়ে কাবু শ্রীলঙ্কা
বৃহস্পতিবার, আবুধাবিতে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় আফগানিস্তান। সেই মতোই, দলের হয়ে রান তুলতে থাকেন রহমানুল্লাহ গুরবাজ এবং সেদ্দিকুল্লাহ আতাল। দুই ওপেনারের কাঁধে চেপে 2 ওভারে 26 রানে উঠে এসেছিল আফগান দল। তবে প্রথম ধাক্কাটা আসে তৃতীয় ওভারে। 8 বলে 14 রান এবং 3 বলে 1 রান করে আউট হন গুরবাজ এবং করিম জানাত। উইকেট তোলেন শ্রীলঙ্কার নুয়ান তুশারা।
ভাল শুরু করলেও পাওয়ার প্লে তে 14 বলে 18 রান করে আউট হয়ে যান আতালও। এরপর মাঝের ওভারে 15 রানে 3 উইকেট হারিয়ে কার্যত ভেঙে পড়ে আফগানিস্তান। তখন আফগান দলের ফলাফল 79 রানে 6 উইকেট। ম্যাচ দেখে মনে হচ্ছিল, হয়তো 100 রানও করতে পারবে না রশিদ খানের দল। তবে তেমনটা হল না। 6 নম্বরে ব্যাট করতে এসে ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দিলেন আফগানিস্তানের অভিজ্ঞ ক্রিকেটার মহম্মদ নবী।
এদিন, দলের দুঃসময়ে ব্যাটে ঝোড়ো হাওয়া তুলে 22 বলে 3টি চার এবং 6টি ছয় সহযোগে 60 রান করেন আফগান তারকা নবী। আর তাতেই বুকে বল পায় আফগানিস্তান। দলকে বাঁচাতে অধিনায়ক রশিদ খানের সাথে একেবারে শক্ত হাতে জুটি বেঁধেছিলেন এই আফগানিস্তানি অলরাউন্ডার। এমতাবস্থায়, প্রথমে আফগান অধিনায়ক রশিদ খানকে মাঠ ছাড়া করেন তুশারা। সেই দুঃসময়ের কিছুক্ষণের মধ্যেই রান আউট হয়ে যান নবীও। তবে আউট হলেও কঠিন সময় থেকে দলকে তুলে এনে প্রতিপক্ষের উদ্দেশ্যে 170 রানের লক্ষ্য ছুঁড়ে দিয়েছেন তিনিই। সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বিষয়, স্পিনার দুনিথের শেষ ওভার থেকে পাঁচটি ছক্কা হাঁকিয়েছিলেন নবী। লিখেছিলেন স্বর্ণালী ইতিহাস। যার জেরে এখন ক্রিকেট মহলে প্রশংসার ঝড় উঠছে এই অভিজ্ঞ তারকাকে নিয়ে।
অবশ্যই পড়ুন: ‘আপনার ভগবানকে গিয়ে বলুন!’ CJI-র বিরুদ্ধে ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত হানার অভিযোগ
প্রসঙ্গত, আফগানিস্তানের ছুঁড়ে দেওয়া লক্ষ্য পূরণ করতে সর্বশক্তি দিয়ে লড়াই করছে শ্রীলঙ্কা। প্রতিবেদনটি লেখার আগে পর্যন্ত 14.5 ওভারে 4 উইকেট হারিয়ে 120 রানে পৌঁছেছিল লঙ্কার বাহিনী। এখন দেখার আফগান বোলারদের আগুনে বোলিংয়ের সামনে টিকে থেকে কতটা ক্ষমতা জাহির করতে পারেন শ্রীলঙ্কার ব্যাটাররা।