প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: যোগী রাজ্যে ঘটে গেল এক ভয়াবহ কাণ্ড! এতদিন ভুয়ো পাসপোর্ট, জাল ভিসা নিয়ে নানা খবর শিরোনাম দখল করলেও এবার আস্ত একটি ভুয়ো দূতাবাসের খোঁজ পেল উত্তরপ্রদেশ পুলিশের স্পেশ্যাল টাস্ক ফোর্স! টানা ৭ বছর ধরে রমরমিয়ে চলেছে সেই ভুয়ো দূতাবাস। এবার সেই দূতাবাসে নয়ডা ইউনিটের STF-এর অভিযানে উঠে এল একের পর এক ভয়ংকর তথ্য। গ্রেফতার নকল ‘রাষ্ট্রদূত’।
ঘটনাটি কী?
‘উত্তর প্রদেশ পুলিশের রিপোর্ট মোতাবেক, গাজিয়াবাদের কবিনগর এলাকার একটি বাড়িকে আন্টার্কটিকার মহাদেশের একটি ক্ষুদ্রতম দেশ ওয়েস্টার্কটিকার দূতাবাস বলে চালাতেন নকল ‘রাষ্ট্রদূত’ হর্ষবর্ধন জৈন নামের এক ব্যক্তি। বরাবরই নিজেকে কূটনীতিক হিসাবে পরিচয় দিতেন তিনি। লন্ডন থেকে তিনি MBA পাশ করার পাশাপাশি গাজিয়াবাদের ITS কলেজ থেকেও MBA পাশ করেছেন তিনি। তাঁর এই ভুয়ো অফিসে এলাহি ব্যবস্থা ছিল। একেবারে প্রাসাদসম অফিস, আর সেই অফিসের সামনে দাঁড়িয়ে থাকত একাধিক বিলাসবহুল গাড়ি।
@uppstf की गाजियाबाद में बड़ी कार्रवाई।
यूपी एसटीएफ की नोएडा यूनिट द्वारा दिनाक 22-7-25 को गाजियाबाद में चल रहे अवैध दूतावास का भंडाफोड़ करते हुए हर्ष वर्धन जैन पुत्र जे डी जैन निवासी केबी 45 कविनगर गाजियाबाद को गिरफ्तार किया है ।
हर्षवर्धन केबी 35 कवीनगर में किराए का मकान… pic.twitter.com/rMvh05fNFr— UP POLICE NEWS (@UPPOLICE_NEWS5) July 23, 2025
সেই গাড়িতে লাগানো ছিল কূটনৈতিক নম্বর প্লেট। শুধু তাই নয়, অফিসে একাধিক কূটনৈতিক পাসপোর্ট এবং বিদেশি মুদ্রার সম্ভার রয়েছে। আর এতেই খটকা লাগে পুলিশ আধিকারিকদের।
গ্রেফতার ভুয়ো রাষ্ট্রদূত!
যার দরুন গত মঙ্গলবার অর্থাৎ ২২ জুলাই পুলিশের স্পেশ্যাল টাস্ক ফোর্স অর্থাৎ STF-এর গোয়েন্দারা ওই দূতাবাসে অভিযান চালায়। আর সেখানে যেতেই ভুয়ো দূতাবাসের পর্দাফাঁস করলেন তাঁরা। তদন্ত সূত্রে জানা গিয়েছে, কূটনৈতিক নম্বরপ্লেটযুক্ত চারটি বিলাসবহুল গাড়ি উদ্ধার করেছে। এ ছাড়াও, ১২টি কূটনৈতিক পাসপোর্টও ওই বাড়ি থেকে খুঁজে পেয়েছেন STF-র সদস্যেরা।
শুধু ওয়েস্টার্কটিকা নয়, এছাড়াও সাবোরগা, পুলভিয়া, লোডোনিয়ার মতো ছোট ছোট দেশের ‘রাষ্ট্রদূত’ বলেও নিজেকে পরিচয় দিতেন অভিযুক্ত হর্ষবর্ধন জৈন। ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁকে।
আরও পড়ুন: বাংলাকে কত টাকা দিয়েছে বিজেপি শাসিত কেন্দ্র সরকার? হিসেব দিল তৃণমূল
বৈদেশিক মুদ্রাসহ একাধিক জাল নথি উদ্ধার
এছাড়াও পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে এই অভিযানে সেই ভুয়ো দূতাবাস থেকে ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের স্ট্যাম্প-সহ জাল নথি পাওয়া গিয়েছে। শুধু তা-ই নয়, দু’টি জাল প্যান কার্ড, বিভিন্ন দেশ এবং কোম্পানির ৩৪টি রবার স্ট্যাম্প, দু’টি জাল প্রেস আইডি কার্ড, সাড়ে ৪৪ লক্ষ নগদ এবং বেশ কয়েকটি দেশের বৈদেশিক মুদ্রাও পেয়েছে পুলিশ।
তদন্তকারীদের অনুমান, কোনও আর্থিক জালিয়াতি বা কোনও আন্তর্জাতিক চক্রের সঙ্গে জড়িত হর্ষ। আর এখানেই প্রশ্ন উঠছে যে পুলিশের নজর এড়িয়ে টানা সাত বছর ধরে কীভাবে এই চক্র চালাচ্ছিলেন এই ব্যক্তি?