সৌভিক মুখার্জী, কলকাতা: ভারতের তিন বৃহৎ বেসরকারি টেলিকম নেটওয়ার্ক জিও, এয়ারটেল এবং ভোডাফোন আইডিয়া সরকারের কাছে বিশেষ দাবি জানালো। কোম্পানিগুলি এবার চাইছে, 6GHz ব্যান্ডের সম্পূর্ণ 1200MHz ব্যান্ডউইথ শুধুমাত্র লাইসেন্স প্রাপ্ত মোবাইল পরিষেবার জন্যই সংরক্ষণ করা হোক। এমনকি কোম্পানিগুলি দাবি করছে যে, এই ব্যান্ড 5G ও আসন্ন 6G প্রযুক্তির জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, সমস্ত টেলিকম কোম্পানি খুব শীঘ্রইতে 6G পরিষেবা (6G Service) চালু করবে। তার জন্য 6GHz ব্যান্ড দ্রুতগতির উন্নত নেটওয়ার্ক প্রদান করবে। সেজন্য ব্যান্ডটি যদি সম্পূর্ণ উপলব্ধ থাকে, তাহলে ভারতে মোবাইল পরিষেবা নয়া রূপ পাবে।
কী এই 6GHz ব্যান্ড
টেলিকম টকের একটি রিপোর্ট অনুযায়ী জানানো হয়েছে, 6GHz ব্যান্ড হল এক ধরনের রেডিও তরঙ্গ, যা উচ্চগতির ইন্টারনেট এবং মোবাইল পরিষেবার জন্যই ব্যবহৃত হয়। আর এতে মূলত 1200MHz স্পেকট্রাম দেওয়া রয়েছে। কোম্পানি বলছে যে, 5G-কে শক্তিশালী করার জন্য এবং 6G পরিষেবা চালু করার জন্য এই গোটা ব্যান্ডই প্রয়োজন। কিন্তু এই ব্যান্ড যদি ওয়াইফাই পরিষেবার জন্য ভাগ করে নেওয়া হয়, তাহলে পরিষেবাগুলি ঝুঁকির মুখে পড়বে।
সরকার কী বলছে?
এদিকে টেলিযোগাযোগ বিভাগ (DoT) তাদের খসড়া নিয়মে স্পষ্ট জানিয়েছে যে, 6GHz ব্যান্ডের নীচের ব্যান্ডগুলি শুধুমাত্র ওয়াইফাইয়ের জন্য সংরক্ষিত থাকবে। কিন্তু টেলিকম কোম্পানিগুলি সরকারের এই দাবিতে অসন্তুষ্ট। তারা পুরো ব্যান্ডটি মোবাইল ফোনের জন্য চাইছে। অন্যদিকে জিও যুক্তি দিচ্ছে যে, TRAI-র উচিত সম্পূর্ণ 1200MHz ও 6GHz ব্যান্ড শুধুমাত্র মোবাইল ও লাইসেন্সপ্রাপ্ত পরিষেবাগুলির জন্যই বরাদ্দ করা। কারণ, জিও মনে করছে ওয়াইফায়ের জন্য ন্যূনতম 500MHz ব্যান্ড সংরক্ষণ করা অনুপযুক্ত হবে।
আরও পড়ুনঃ 10,000mAh ব্যাটারি, পারফরমেন্সে নজরকাড়া! দু’দুটি স্মার্টফোন আনছে Honor
উদ্বেগ বাড়ছে এয়ারটেলের
ওদিকে এয়ারটেল দীর্ঘদিন ধরেই সরকারের এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করছে। কোম্পানি জানিয়েছে যে, ব্যান্ডের বর্তমান পরিষেবাগুলিতে বিশেষ করে স্যাটেলাইট স্টেশনগুলিতে হস্তক্ষেপে সমস্যা এখনও পর্যন্ত সমাধান হয়নি। আর ওয়াইফাই ও মোবাইল ডিভাইসগুলি একইসঙ্গে কাজ করার ক্ষেত্রেও পরিষেবার অবনতি হতে পারে। পাশাপাশি ভোডাফোন আইডিয়া জানাচ্ছে যে, 6425MHz থেকে 7125MHz ব্যান্ডের স্পেকট্রাম মোবাইল পরিষেবার উন্নয়নের জন্য শুধুমাত্র লাইসেন্সধারী টেলিকম পরিষেবা প্রদানকারীদেরই তা দেওয়া উচিত। এখন দেখার, সরকার কোন সিদ্ধান্তের পথে হাঁটে।