সহেলি মিত্র, কলকাতাঃ আবারও মহার্ঘ্য ভাতা বা ডিএ মামলায় (Bengal DA Case) মন ভাঙল পশ্চিমবঙ্গ সরকারি কর্মীদের। মাসের প্রথমদিনই অর্থাৎ ১ সেপ্টেম্বর ডিএ মামলা ওঠে সুপ্রিম কোর্টে। তবে নতুন করে ফের তা পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। এর পেছনে কী রাজ্যের কোনও অঙ্গুলিহেলন রয়েছে? এই বিষয়ে অবশেষে মুখ খুললেন রাজ্য কর্মচারীদের আইনজীবী। ফের কবে হবে ডিএ মামলার দীর্ঘ প্রতীক্ষিত শুনানি? সেই নিয়েও জানা গেল।
কী কারণে পিছল DA মামলার শুনানি?
সুপ্রিম কোর্টের একের পর এক বিজ্ঞপ্তি দেখে মনে কিছুটা হলেও বল পেয়েছিলেন বাংলার সরকারি কর্মচারী এবং পেনশনভোগীরা। ভেবেছিলেন ১ সেপ্টেম্বর এই মামলার চূড়ান্ত শুনানি করে দেবেন সর্বোচ্চ আদালতের বিচারপতিরা। তবে সে গুড়ে বালি। জানা গিয়েছে, আগামী ৮ সেপ্টেম্বর এই মামলার শুনানি হবে আদালতে। তবে ঠিক কী কারণে এদিন মামলার শুনানি হল না নিশ্চয়ই ভাবছে?
আরও পড়ুনঃ পাবলিক প্লেসে থাকা গাড়ির লাগবে না রোড ট্যাক্স! ঐতিহাসিক রায় সুপ্রিম কোর্টের
এই প্রসঙ্গে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের সংগঠন কনফেডারেশন অফ স্টেট গভর্নমেন্ট এমপ্লয়িজের আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, বিচারপতিদের যে মামলা ছিল, সেগুলি শুনতে সময় লাগত। সেই পরিস্থিতিতে তাঁরা বলেন যে ১ সেপ্টেম্বরের পরিবর্তে অন্যদিন ডিএ মামলার শুনানি করা হবে। অপরদিকে রাজ্যের আইনজীবী কপিল সিব্বল জানান যে তাঁর দু’দিন সময় লাগবে। তা শুনে কনফেডারেশনের আইনজীবী বলেন, ‘আমরা বললাম যে মামলার শুনানি শেষ হয়ে গিয়েছে। এখন দু’দিনের কী দরকার আছে?’
কী বলছেন মলয় মুখোপাধ্যায়?
ডিএ মামলা ইস্যুতে বড় তথ্য দিয়েছেন কনফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক মলয় মুখোপাধ্যায়। তিনি নিজের ফেসবুক বার্তায় বলেছেন, ‘কর্মচারী এবং অবসরকারি কর্মচারীদের উদ্দেশ্যে কয়েকটি কথা। অনেকেই ফোন করে আজকের ১ সেপ্টেম্বরের ডিএ মামলা কী হল তা জানতে চাইছেন। দেখুন আজ বিচারকরাই ডিএ মামলাটি শুনলেন না। কারণ আজ তাঁদের বেশ কয়েকটি মামলা শুনতে হবে।। আগামী সোমবার আবারও তিনি দুপুর ২টো-তে সময় দিয়েছেন। তথাপি আমাদের হতাশাগ্রস্থ হয়ে পড়লে চলবে না। ডিএ মামলার শেষ দেখে ছাড়ব।’