প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: মানা হয়নি ট্রাফিক আইন, তাই এবার মহাকরণের সামনেই সেনাবাহিনীর গাড়ি আটকানো হল কলকাতা পুলিশের (Kolkata Police) তরফে। অভিযোগ, ট্রাকটি নাকি বেপরোয়া গতিতে চালানো হচ্ছিল। আর তার পিছনেই চলছিল কলকাতার পুলিশ কমিশনার মনোজ বর্মার গাড়ি, খানিক উনিশ বিশ হলেই নাকি এক বড় দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারত, তাই সেই অপরাধে এবার রাইটার্স বিল্ডিং এর সামনে আটকানো হয় আর্মির গাড়ি। ঘটনাস্থলে রয়েছে কলকাতা পুলিশ।
ঠিক কী হয়েছিল?
জানা গিয়েছে, আজ অর্থাৎ মঙ্গলবার, রাইটার্স বিল্ডিংয়ের সামনে সেনাবাহিনীর একটি ট্রাককে আটকে দেয় কলকাতা পুলিশ। অভিযোগ, সেনাবাহিনীর ওই গাড়িটি বেপরোয়া গতিতে চালানো হচ্ছিল। আর ওই সময়ই ওই ট্রাকের পিছনেই ছিল কলকাতার পুলিশ কমিশনার মনোজ বর্মার গাড়ি। ট্রাকটি বিপজ্জনক ভাবে ডান দিকে বাঁক নিয়েছিল। ফলে যেকোনও সময় বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারত। তাই ট্রাফিক আইন ভঙ্গ করার অভিযোগে ট্রাকটিকে আটকায় পুলিশ। পরে খবর দেওয়া হয় হেয়ার স্ট্রিট থানায়। প্রকাশ্যে এসেছে সেই ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ। যদিও এই সিসিটিভি ফুটেজ ইন্ডিয়াহুডের তরফে যাচাই করা সম্ভব হয়নি।
This morning, Kolkata Police Commissioner Manoj Verma was on his way to the Police Headquarters when an Army truck violated traffic rules by attempting to take a right turn. The truck was subsequently stopped by the Kolkata Police. @KolkataPolice #Army pic.twitter.com/884V260TUC
— Kamalika Sengupta (@KamalikaSengupt) September 2, 2025
অভিযোগ অস্বীকার সেনা কর্মীর
গতির কারণে রাইটার্স বিল্ডিংয়ের সামনে সেনাবাহিনীর গাড়ি এদিন আটকে রাখার অভিযোগ অস্বীকার করেন ওই ট্রাকে থাকা সেনাবাহিনীর এক কর্মী। জানা গিয়েছে, ফোর্ট উইলিয়াম থেকে পাসপোর্ট অফিস যাচ্ছিল সেনাবাহিনীর গাড়িটি। এদিন সকাল ১১টা নাগাদ সেই গাড়ি আটকানো হয়। কিন্তু আচমকা বেপরোয়া গতির অভিযোগ তুলে গাড়ি আটকে দেয় লালবাজার পুলিশ। কিন্তু ট্রাকে থাকা সেনা কর্মীর পাল্টা অভিযোগ গাড়ির গতি বেশি ছিল না। এদিকে ঘটনাটি এমন সময় ঘটে, যখন সেনার সঙ্গে রাজ্যের শাসক দলের সংঘাতের আবহ ধীরে ধীরে ভয়ংকর আকার ধারণ করছে। তাই সেক্ষেত্রে ওয়াকিবহাল মহল মনে করছে এই সংঘাত ভবিষ্যতে বড় আকার ধারণ করতে পারে।
আরও পড়ুন: দুর্গাপুরে রাস্তা বন্ধ করে তোলা আদায় তৃণমূলের! পোস্টারে ছয়লাপ ভিড়িঙ্গি
প্রসঙ্গত, গতকাল অর্থাৎ সোমবার দুপুরেই কেন্দ্রীয় সেনাবাহিনী মেয়ো রোডে তৃণমূলের ভাষা আন্দোলনের ধর্না মঞ্চ খুলে দেওয়া নিয়ে শাসকদল এবং কেন্দ্রের মধ্যে ব্যাপক তরজা শুরু হয়। আসলে বাংলা ভাষা এবং বাঙালিদের উপরে অত্যাচারের প্রতিবাদেই মেয়ো রোডে গান্ধি মূর্তির সামনে এই ধর্না মঞ্চ তৈরি করা হয়েছিল তৃণমূলের পক্ষ থেকে ৷ আর সেই খবর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কানে আসতেই মেয়ো রোডে হাজির হন তিনি ৷ এরপরই ঘটনাস্থল ছেড়ে ফিরে যান সেনা আধিকারিক এবং জওয়ানরা৷