বিক্রম ব্যানার্জী, কলকাতা: বিদেশি ওষুধের উপর 200 শতাংশ শুল্ক বসাতে পারেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (Trump 200 Percent Tariff)। সম্প্রতি এমন সতর্কতাই দিয়েছিলেন মার্কিন শাসক। এবার তা নিয়েই নিজের দেশেই তীব্র সমালোচিত হচ্ছেন তিনি। আসলে, ট্রাম্প যদি বিদেশি ওষুধের উপর চড়া শুল্ক চাপিয়ে দেন সেক্ষেত্রে আমেরিকার সাধারণ মানুষকে অতিরিক্ত অর্থ খরচ করে দামি ওষুধগুলি কিনতে হবে। আর তাতেই এবার মাথায় হাত পড়েছে আমেরিকানদের।
ঠিক কোন কারণে বিদেশি ওষুধের উপর 200 শতাংশ ট্যারিফের ভাবনা ট্রাম্পের ?
সংবাদ সংস্থা এপি-র তথ্য অনুযায়ী, আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আমদানিকৃত ওষুধের উপর ভারী শুল্ক আরোপ করার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছেন। আপাতত যা খবর, বিদেশি ওষুধের উপর ট্রাম্প প্রশাসন সরাসরি 200 শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক চাপাতে পারে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ট্রাম্প আসলে আমেরিকায় উৎপাদিত ওষুধগুলিকে গুরুত্ব দিতে চান। তাঁর প্রধান লক্ষ্য, আমেরিকায় ওষুধের উৎপাদন বাড়ানো। মূলত, সে কারণেই বিদেশি ওষুধের উপর মোটা শুল্ক চাপানোর চিন্তাভাবনা করছেন আমেরিকান প্রেসিডেন্ট।
ওষুধের উপর শুল্ক নিয়ে আমেরিকানরা চিন্তিত কেন?
বিশেষজ্ঞ মহলের একটা বড় অংশের দাবি, ট্রাম্প যদি বিদেশি ওষুধের উপর শুল্ক চাপিয়ে বসেন তবে, মেডিসিনের সাপ্লাই চেইন প্রভাবিত হবে। অন্যদিকে ওষুধের ঘাটতির জন্য বাজারে ঝুঁকি বাড়বে। মার্কিন বাজার বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আমেরিকার বাজারে ওষুধের ঘাটতি দেখা দিলে যথেষ্ট সমস্যায় পড়বেন সাধারণ মানুষ। তাছাড়াও, বিদেশি ওষুধের উপর 200 শতাংশ শুল্ক বসলে, সেগুলির দাম আমেরিকার বাজারে আকাশ ছোঁয়া হবে। যা কিনতে কাল ঘাম ছুটে যাবে আমেরিকানদের।
যদিও মার্কিন বাজার বিশেষজ্ঞরা দাবি করছেন, আমেরিকার বাজারে ওষুধের ঘাটতি দেখা দিলে তা এড়াতে অভ্যন্তরীন স্তরে উৎপাদন বৃদ্ধি করা প্রয়োজন। বলা বাহুল্য, সম্প্রতি আমেরিকা এবং ইউরোপের বাণিজ্য সিদ্ধান্তে ওষুধের পাশাপাশি বেশকিছু ইউরোপীয় পণ্যের উপর 15 শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছিল ওয়াশিংটন ডিসি। সেই সিদ্ধান্তের পর এবার ফের ওষুধের উপর আরও ভারী শুল্ক বসানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে ট্রাম্প প্রশাসন।
অবশ্যই পড়ুন: আজ থেকেই বন্ধ ব্লু লাইনের রাতের পরিষেবা! শেষ মেট্রো কটায় জানুন
কবে নাগাদ কার্যকর হতে পারে ট্রাম্পের 200 শতাংশ শুল্ক?
একাধিক রিপোর্ট অনুযায়ী হোয়াইট হাউস নাকি জানিয়েছে, ওষুধ সহ অন্যান্য পণ্যের উপর 200 শতাংশের মতো উচ্চ শুল্ক বসানো এবং তা কার্যকর করার জন্য সময় দেওয়া উচিত। এদিকে বেশ কিছু কোম্পানি ইতিমধ্যেই ওষুধের আমদানি বন্ধ করে দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। ঠিক সেই আবহে বিদেশি ওষুধের উপর চড়া শুল্ক বসানোর প্রস্তুতি চলছে জোড় কদমে। তবে ঠিক কবে নাগাদ ওষুধের উপর 200 শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হবে সে বিষয়ে কোনও সরকারি তথ্য মেলেনি। তবে জেফরিজের মার্কেট অ্যানালিস্ট ডেভিড উইন্ডেল সতর্ক বার্তা দিয়ে জানিয়েছেন, এমন উচ্চ শুল্কের সিদ্ধান্ত 2026 বা 2027 সালের আগে কার্যকর নাও হতে পারে।