সৌভিক মুখার্জী, কলকাতা: ঝাড়গ্রামে (Jhargram) ঘটে গেল এক মর্মান্তিক ঘটনা। রাজ্য পুলিশের জঙ্গলমহলের ব্যাটেলিয়ান সাব-ইন্সপেক্টর জয়দেব ভট্টাচার্য নাকি নিজের বাবা-মাকেই গুলি করে খুন করে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন। বছর ৩২ এর এই সাব ইন্সপেক্টর বুধবার গভীর রাতে ঝাড়গ্রাম পুলিশ লাইন সংলগ্ন ভাড়া বাড়িতেই এই ঘটনাটি ঘটিয়েছে বলে স্থানীয় সূত্র মারফৎ খবর।
কী ঘটেছিল সেদিন রাতে?
প্রতিবেশীরা বলছেন, গভীর রাতে হঠাৎ করে গুলির শব্দ শুনতে পেয়েছিলেন তাঁরা। সঙ্গে সঙ্গে পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে রক্তাক্ত অবস্থায় জয়দেব, তাঁর বাবা দেবব্রত চট্টোপাধ্যায় এবং মা শম্পা চট্টোপাধ্যায়কে উদ্ধার করেন। ঝাড়গ্রাম মেডিকেল কলেজে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাঁর বাবা-মাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এদিকে জয়দেব বর্তমানে গুরুতর আহত অবস্থায় চিকিৎসাধীন।
তবে পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, জয়দেব প্রথমে তাঁর বাবা-মাকে গুলি করে খুন করেছে। তারপর নিজেকেও গুলি করেছে। কিন্তু তদন্ত সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত পুলিশ এ বিষয়ে নিশ্চিত বলতে পারছে না। নিহতদের দেহ বর্তমানে ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে।
কী কারণে জয়দেবের দিকে আঙুল উঠছে?
স্থানীয়রা বলছে, জয়দেব আসানসোলের বাসিন্দা হলেও কর্মসূত্রে ঝাড়গ্রামের ভাড়া বাড়িতে থাকতেন। অবিবাহিত জয়দেবের বাবা-মা তাঁর সঙ্গেই থাকতেন। তদন্তকারীরা জানাচ্ছেন, জয়দেবের বাবা গুরুতর অসুস্থ ছিলেন। সে কারণে মানসিক চাপেও ভুগছিলেন জয়দেব। অনুমান করা হচ্ছে, এই দুশ্চিন্তার জেরেই হয়তো তাঁকে এরকম সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে। অন্যদিকে পুলিশ জানাচ্ছে, ২-৪ সেপ্টেম্বর ছুটি নিয়েছিলেন জয়দেব। আর এই তিন দিন কী ঘটেছে, তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।
আরও পড়ুনঃ বাংলাদেশে দুর্গা পুজোর আগেই রাতের অন্ধকারে প্রতিমাতে আগুন! গাইবান্ধায় পুড়ে ছাই ৫ মূর্তি
এদিকে জয়দেবের এক সহকর্মী বলেছেন, ‘স্যার তাঁর বাবা-মাকে ভীষণ পরিমাণে ভালোবাসতেন। এমন ঘটনা উনি ঘটাতেই পারেন না। আমি ভাবতেও পারছি না।’ ঘটনার পর গোটা ঝাড়গ্রাম জুড়ে আতঙ্ক নেমে এসেছে। বর্তমানে পুলিশ তদন্ত চালাচ্ছে। কে আসল দোষী এবং ময়নাতদন্তে কী রিপোর্ট আসে, সেদিকেই সকলের নজর।