সৌভিক মুখার্জী, কলকাতা: আন্দোলনের মঞ্চ থেকে সরাসরি হাসপাতালে ভর্তি হলেন মালদা উত্তর কেন্দ্রের বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু (Khagen Murmu)। দলীয় কর্মীদের অন্যায় গ্রেফতারির প্রতিবাদে শুক্রবার দুপুরবেলা থেকে চাঁচল থানার সামনে টানা ধর্নায় বসেছিলেন তিনি। প্রায় ২৪ ঘন্টা ধরে এই ধুন্ধুমার পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে অবস্থান চালিয়ে যান সাংসদ। তবে দীর্ঘক্ষণ আন্দোলন চালানোর জেরে শারীরিক অবস্থা খারাপ হয়ে যায় তাঁর।
হঠাৎ অসুস্থ হয়েই হাসপাতালে ভর্তি
সূত্রের খবর, শনিবার সকালে হঠাৎ করে অসুস্থ হয়ে পড়তেই দ্রুত তাঁকে চাঁচল সুপার স্পেশালিস্ট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, খগেন মুর্মুর রক্তচাপ হঠাৎ করে বেড়ে যায় এবং পুরনো সুগারের সমস্যা আরও ভয়াবহ আকার ধারণ করে। বর্তমানে তিনি চিকিৎসকদের পর্যবেক্ষণে রয়েছেন। উল্লেখ্য, তাঁর শারীরিক অবস্থার খোঁজ নিতে হাসপাতালে উপস্থিত হয়েছেন পুরাতন মালদার বিজেপি বিধায়ক গোপালচন্দ্র সাহা।
প্রসঙ্গত, এদিন ভোরে পুলিশ ধর্নাস্থল থেকে তাঁকে এবং বিজেপি কর্মীদের সরানোর চেষ্টা করলে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। যে পলিথিন টাঙিয়ে তাঁরা রাত কাটাচ্ছিলেন, সেটাই খুলে দেয় পুলিশ। তীব্র গরমে অসুস্থ হয়ে পড়েন এক মহিলা বিজেপি কর্মী। এরপর ধামসা, মাদল ইত্যাদি বাজিয়ে আইসি পূর্ণেন্দু কুণ্ডুর বিরুদ্ধে তাঁরা স্লোগান দিতে থাকে। এমনকি পুলিশের গাড়ি ঘেরাও এবং ধস্তাধস্তির মতো ঘটনাও ঘটে। পাশাপাশি আরো বেশ কয়েকজন মহিলা কর্মী আহত হন বলে অভিযোগ।
আরও পড়ুনঃ Tesla-র গাড়ি প্রথম গাড়ি ডেলিভার হল ভারতে, কার হাতে উঠল Model Y এর চাবি?
কেন চালানো হচ্ছিল এই ধর্না?
উল্লেখ্য, গত কয়েকদিন আগে চাঁচলের আশ্রমপাড়ায় বিজেপি ও তৃণমূলের মধ্যে গোষ্ঠী সংঘর্ষ চরমে পৌঁছেছিল। ঘটনায় ৭ জন আহত হয়েছিল। অভিযোগ উঠছে, যুব তৃণমূল নেতা জয়ন্ত দাস থানার এএসআইকে বেল্ট দিয়ে মারধর করেছিলেন। তবে পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার না করে উল্টে পাঁচজন বিজেপি কর্মীকে আটক করে দেয়। আর এর প্রতিবাদেই থানার সামনে রাতভর বিক্ষোভে বসেন তাঁরা।