বিক্রম ব্যানার্জী, কলকাতা: বিগত দিনগুলিতে ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্ক সংক্রান্ত গাজোয়ারির কারণে ক্রমশ খারাপ হয়েছে ভারত-আমেরিকা সম্পর্ক। বন্ধু বলে চেঁচিয়েও রাশিয়া থেকে তেল কেনার কারণে ভারতের উপর 50 শতাংশ শুল্ক চাপিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। আর সে কারণেই প্রধানমন্ত্রী মোদির সাথেও কিছুটা ভিন্ন খাতে বইছে ট্রাম্পের ব্যক্তিগত সম্পর্ক।
বন্ধু রাশিয়া থেকে তেল কেনা নিয়ে আমেরিকার কাছে ধাক্কা খাওয়া সত্ত্বেও পুরনো অবস্থান থেকে সরে দাঁড়ায়নি নয়া দিল্লি।বরং 50 শতাংশের চড়া শুল্ক পিঠে নিয়েই আমেরিকাকে চ্যালেঞ্জ করেছে ভারত! বিশ্লেষক মহলের একাংশের মতে, ট্রাম্প প্রশাসনের সিদ্ধান্তে এক চুলও মাথা ঝোঁকায়নি মোদি সরকার। আর সে কারণেই এবার আমেরিকার মতো ক্ষমতাশালী দেশের সামনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির এমন অবস্থান প্রশংসিত হচ্ছে ইজরায়েলি মিডিয়ায়।
অবশ্যই পড়ুন: ISL এর আগেই গড়াবে সুপার কাপ, দিনক্ষণ ঘোষণা করল ফেডারেশন
‘মোদির কাছ থেকে শেখা উচিত ইজরায়েলের!’
ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্ক সংক্রান্ত সমস্যা হোক কিংবা ভারত-পাকিস্তান সংঘর্ষ থামাতে আমেরিকান প্রেসিডেন্টের কর্তৃত্ব ফলানো, কোনও ক্ষেত্রেই মাথা নত করেনি নয়া দিল্লি। গত মে মাসে ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে হওয়া সংঘাত বন্ধ করার বিষয়ে ট্রাম্পের অভিভাবকত্ব পাকিস্তান মেনে নিলেও ভারতের তরফে বারবার সেই দাবি উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছিলেন, ভারত-পাকিস্তান সংঘাত বন্ধ হওয়ার নেপথ্যে কোনও তৃতীয় পক্ষের হাত নেই।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সাহস এবং বীরত্বের প্রশংসা করেছে ইজরায়েলের একাধিক সংবাদমাধ্যম। সম্প্রতি দেশটির শীর্ষস্থানীয় সংবাদমাধ্যম জেরুজালেম একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। যার শিরোনাম ছিল, মোদির কাছ থেকে ইজরায়েলে কী শিখতে পারে। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, ট্রাম্পের অভূতপূর্ব মৌখিক আক্রমণের মুখোমুখি হয়ে মোদি ক্ষমা চাইতে তাড়াহুড়ো করেননি, বরং জাতীয় সম্মান রক্ষা করে কঠোর জবাব দিয়েছেন। নিবন্ধে আরও বলা হয়, এটি আসলে স্পষ্ট বার্তা দিয়েছে যে ভারত কোনও অন্যায় মেনে নেবে না।
ওই সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনটিতে খান ইউনিসের উপর হামলায় সাংবাদিকদের মৃত্যুর জন্য ইজরায়েলের ক্ষমা চাওয়ার সিদ্ধান্তের সমালোচনা করা হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যেকোনও দেশের উচিত কঠিন এবং জটিল পরিস্থিতির মুখোমুখি হলেও তার জাতীয় স্বার্থ রক্ষা করা। ভারত শিখতে পেরেছে জাতীয় সম্মান বিলাসিতা নয় বরং একটি সুদূরপ্রসারী কৌশলগত সম্পদ। প্রকাশিত প্রবন্ধটি বলে, ইজরায়েল যদি তার সুনাম এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে চায়, তাহলে তাকে বিশ্বের কাছে দৃঢ় স্থিতিস্থাপকতা প্রদর্শন করতে হবে।